বাংলাদেশ সফরে আসবেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। শীঘ্রই দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে তার সফরসূচি নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি দিল্লি সফর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথ গ্রহণের পরদিন গত শুক্রবার হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গতকাল রাতে এ বিষয়ে সংবাদকে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হায়দ্রাবাদ হাউজে সাক্ষাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

কবে নাগাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন, সংবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সে বিষয়টি এখনই চূড়ান্ত নয়। রাষ্ট্রপতি মৌখিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে হামিদ-মোদি বৈঠকের পর রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্তুষ্টির সঙ্গে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদি। এ সময় দুই নেতাই একমত হন যে, এ সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই সাক্ষাতের সময় দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন পৌঁছে দেন। জানানো হয়, শেখ হাসিনা আগে থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সফরে ব্যস্ত থাকার কারণে এবারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।

ওই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা দুদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটি ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে আছে। তিনি বলেন, স্থল সীমান্ত নির্ধারণসহ বেশকিছু জটিল অমীমাংসিত সমস্যা নিরসনে গত পাঁচ বছরে দুই দেশ অত্যন্ত পরিপক্কতা এবং ধৈর্য দেখিয়েছে। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপনে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট (প্রতিবেশী প্রথম) নীতির অধীনে আগামী ৮ ও ১০ জুন নরেন্দ্র মোদির যথাক্রমে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সফরের কথা রয়েছে। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ইতোমধ্যে আলোর মুখ দেখেছে।

সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯ , ২০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৮ রমজান ১৪৪০

বাংলাদেশ সফরে আসবেন নরেন্দ্র মোদি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। শীঘ্রই দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে তার সফরসূচি নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি দিল্লি সফর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথ গ্রহণের পরদিন গত শুক্রবার হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গতকাল রাতে এ বিষয়ে সংবাদকে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হায়দ্রাবাদ হাউজে সাক্ষাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

কবে নাগাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন, সংবাদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সে বিষয়টি এখনই চূড়ান্ত নয়। রাষ্ট্রপতি মৌখিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে হামিদ-মোদি বৈঠকের পর রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্তুষ্টির সঙ্গে এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদি। এ সময় দুই নেতাই একমত হন যে, এ সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই সাক্ষাতের সময় দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন পৌঁছে দেন। জানানো হয়, শেখ হাসিনা আগে থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সফরে ব্যস্ত থাকার কারণে এবারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।

ওই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা দুদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটি ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে আছে। তিনি বলেন, স্থল সীমান্ত নির্ধারণসহ বেশকিছু জটিল অমীমাংসিত সমস্যা নিরসনে গত পাঁচ বছরে দুই দেশ অত্যন্ত পরিপক্কতা এবং ধৈর্য দেখিয়েছে। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপনে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, ‘নেইবারহুড ফার্স্ট (প্রতিবেশী প্রথম) নীতির অধীনে আগামী ৮ ও ১০ জুন নরেন্দ্র মোদির যথাক্রমে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা সফরের কথা রয়েছে। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা ইতোমধ্যে আলোর মুখ দেখেছে।