বাসা ও অফিস নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঈদ উপলক্ষে আনুমানিক ৬০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তাদের বাসা ও অফিসের নিরাপত্তায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছুটির সময়ে রাজধানীতে প্রবেশকারী সন্দেহভাজন নতুন ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখবে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দারা। হোটেলগুলোতেও থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। রাজধানীর মালিবাগ ও গুলিস্তানে বোমা হামলার পর ঈদকে সামনে রেখে নাশকতা এড়ানোর জন্য পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদে দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে বর্ডার রাখার ক্ষেত্রেও প্রত্যেকের তথ্য যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। সন্দেহভাজন কোন কিছু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের ?ছুটিতে প্রত্যেকটি টার্মিনাল ও স্টেশনেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজান হামলার আগে জঙ্গিরা ঢাকার বাইরে প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর তারা ঢাকায় এসে হামলা চালায়। তাই এই ঈদে সন্দেহভাজন যারাই ঢাকায় প্রবেশ করবে তারা বিভিন্ন টার্মিনাল ও স্টেশন থেকেই নজরদারিতে থাকবে।

গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ পুলিশের বিশেষ শাখার একটি পিকআপভ্যানে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তারসহ তিনজন আহত হন। বিস্ফোরণের পাঁচ ঘণ্টা পর এর দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই দায় স্বীকারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ট্রাফিক বক্সের পাশে হাতে তৈরি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও একজন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। এ দুটি হামলায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ঈদকে সামনে রেখে কোন হামলার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপির পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন হামলার আশঙ্কা নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০১৯ , ২১ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৯ রমজান ১৪৪০

৬০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে

বাসা ও অফিস নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদ উপলক্ষে আনুমানিক ৬০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তাদের বাসা ও অফিসের নিরাপত্তায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছুটির সময়ে রাজধানীতে প্রবেশকারী সন্দেহভাজন নতুন ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখবে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দারা। হোটেলগুলোতেও থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। রাজধানীর মালিবাগ ও গুলিস্তানে বোমা হামলার পর ঈদকে সামনে রেখে নাশকতা এড়ানোর জন্য পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদে দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে বর্ডার রাখার ক্ষেত্রেও প্রত্যেকের তথ্য যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। সন্দেহভাজন কোন কিছু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের ?ছুটিতে প্রত্যেকটি টার্মিনাল ও স্টেশনেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজান হামলার আগে জঙ্গিরা ঢাকার বাইরে প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর তারা ঢাকায় এসে হামলা চালায়। তাই এই ঈদে সন্দেহভাজন যারাই ঢাকায় প্রবেশ করবে তারা বিভিন্ন টার্মিনাল ও স্টেশন থেকেই নজরদারিতে থাকবে।

গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ পুলিশের বিশেষ শাখার একটি পিকআপভ্যানে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তারসহ তিনজন আহত হন। বিস্ফোরণের পাঁচ ঘণ্টা পর এর দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই দায় স্বীকারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে ট্রাফিক বক্সের পাশে হাতে তৈরি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও একজন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আহত হন। এ দুটি হামলায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ঈদকে সামনে রেখে কোন হামলার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপির পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন হামলার আশঙ্কা নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।