প্রথমবারের মতো জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামীকাল বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এবারের বাজেট গতানুগতিক না করে বাজেটে কিছুটা ভিন্নতা আনতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। এবার বাজেট বক্তব্য ছোট করা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তাবায়নমুখী বাজেট হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রাম ও শহরের উন্নয়ন বৈষম্য কমিয়ে আনতে এবং গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিত করার দিকনির্দেশনা থাকবে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে।
বাজেটে রূপকল্প ২০২১-এর অধীনে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা, রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের কৌশল, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকীর যেসব অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, সে ব্যাপারে নির্দেশনা, এসডিজি অর্জন এবং সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যাবে।
সূত্র জানায়, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ ধারাকে কাজে লাগিয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রপ্তানিতে থাকবে প্রণোদনা। দীর্ঘদিনের মন্দা কাটাতে শেয়ারবাজারেও প্রণোদনা থাকবে। শিক্ষিত বেকারের হার কমিয়ে কর্মসংস্থানমুখী বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে সাধারণ জনগণ। গ্রামের মানুষকে জীবনের তাগিদে যেন শহরে ছুটতে না হয়, সেজন্য গ্রামবান্ধব কর্মসূচিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার।
চরম দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেয়া হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিনিয়োগে। এ লক্ষ্যে ভ্যাট ও কর না বাড়িয়ে ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিয়ে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নে বাড়ানো হবে সরকারি বিনিয়োগ।
বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এডিপির আকার ২ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে। এবার বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইতোমধ্যে বাজেটের ব্যাপারে আভাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন- আবাসন, শেয়ারবাজার, রপ্তানি খাতে থাকছে নগদ প্রণোদনার ঘোষণা। কমানো হতে পারে করপোরেট কর-হার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রাস্তাঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, কর-কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, আর্থিক ও শিক্ষা খাত সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুখবর দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ সমাপ্ত করতে থাকছে বিশেষ নির্দেশনা।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে। যদিও চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি খাতের বাম্পার ফলন আর উচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার। এছাড়া নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নতুন আইনে ভ্যাটের জাল আরও বিস্তৃত হবে। বর্তমানে ১৯৯১ সালের আইনে নির্দিষ্ট খাতে (৩৯টি) প্রযোজ্য হারে ‘উৎসে’ ভ্যাট আদায় করা হয়। নতুন আইনে উৎসে ভ্যাট কর্তনের পরিধি ব্যাপক বাড়ানো হচ্ছে। এখন শুধু আমদানি পর্যায়ে বাণিজ্যিক পণ্যে (কমার্শিয়াল ইমপোর্টার) ‘অগ্রিম’ ভ্যাট (এটিভি) আদায় করা হয়।
নতুন আইনে বাণিজ্যিকসহ সব পণ্যে অগ্রিম ভ্যাট দিতে হবে। ফলে ভ্যাটের আওতা ব্যাপক বাড়বে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সারাদেশে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। এজন্য প্রতিটি উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৫২ হাজার কোটি টাকা এনবিআর ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয় হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটে তা ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। বিশাল আকারের বাজেটে বাড়বে ঘাটতিও। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ঘাটতি পূরণে বরাবরের মতো সরকারকে অভ্যন্তরীণ কিছু উৎসের ওপর নির্ভর করতে হবে। এ জন্য বাড়ানো হচ্ছে ব্যাংক ঋণের পরিকল্পনা। অন্যদিকে কমিয়ে আনা হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি থেকে বের হয়ে আসার দিকনির্দেশনা থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বেসরকারি খাতে। এবারের বাজেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে।
সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বাজেটের খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০
রোকন মাহমুদ
প্রথমবারের মতো জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামীকাল বাজেট উপস্থাপন করবেন তিনি। এবারের বাজেট গতানুগতিক না করে বাজেটে কিছুটা ভিন্নতা আনতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। এবার বাজেট বক্তব্য ছোট করা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তাবায়নমুখী বাজেট হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রাম ও শহরের উন্নয়ন বৈষম্য কমিয়ে আনতে এবং গ্রামে শহরের সুবিধা নিশ্চিত করার দিকনির্দেশনা থাকবে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে।
বাজেটে রূপকল্প ২০২১-এর অধীনে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা, রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের কৌশল, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকীর যেসব অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, সে ব্যাপারে নির্দেশনা, এসডিজি অর্জন এবং সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যাবে।
সূত্র জানায়, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ ধারাকে কাজে লাগিয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রপ্তানিতে থাকবে প্রণোদনা। দীর্ঘদিনের মন্দা কাটাতে শেয়ারবাজারেও প্রণোদনা থাকবে। শিক্ষিত বেকারের হার কমিয়ে কর্মসংস্থানমুখী বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে সাধারণ জনগণ। গ্রামের মানুষকে জীবনের তাগিদে যেন শহরে ছুটতে না হয়, সেজন্য গ্রামবান্ধব কর্মসূচিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার।
চরম দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেয়া হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিনিয়োগে। এ লক্ষ্যে ভ্যাট ও কর না বাড়িয়ে ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিয়ে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নে বাড়ানো হবে সরকারি বিনিয়োগ।
বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এডিপির আকার ২ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে। এবার বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইতোমধ্যে বাজেটের ব্যাপারে আভাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন- আবাসন, শেয়ারবাজার, রপ্তানি খাতে থাকছে নগদ প্রণোদনার ঘোষণা। কমানো হতে পারে করপোরেট কর-হার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রাস্তাঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, কর-কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, আর্থিক ও শিক্ষা খাত সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুখবর দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ সমাপ্ত করতে থাকছে বিশেষ নির্দেশনা।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে। যদিও চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি খাতের বাম্পার ফলন আর উচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার। এছাড়া নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নতুন আইনে ভ্যাটের জাল আরও বিস্তৃত হবে। বর্তমানে ১৯৯১ সালের আইনে নির্দিষ্ট খাতে (৩৯টি) প্রযোজ্য হারে ‘উৎসে’ ভ্যাট আদায় করা হয়। নতুন আইনে উৎসে ভ্যাট কর্তনের পরিধি ব্যাপক বাড়ানো হচ্ছে। এখন শুধু আমদানি পর্যায়ে বাণিজ্যিক পণ্যে (কমার্শিয়াল ইমপোর্টার) ‘অগ্রিম’ ভ্যাট (এটিভি) আদায় করা হয়।
নতুন আইনে বাণিজ্যিকসহ সব পণ্যে অগ্রিম ভ্যাট দিতে হবে। ফলে ভ্যাটের আওতা ব্যাপক বাড়বে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সারাদেশে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। এজন্য প্রতিটি উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৫২ হাজার কোটি টাকা এনবিআর ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয় হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটে তা ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। বিশাল আকারের বাজেটে বাড়বে ঘাটতিও। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ঘাটতি পূরণে বরাবরের মতো সরকারকে অভ্যন্তরীণ কিছু উৎসের ওপর নির্ভর করতে হবে। এ জন্য বাড়ানো হচ্ছে ব্যাংক ঋণের পরিকল্পনা। অন্যদিকে কমিয়ে আনা হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি থেকে বের হয়ে আসার দিকনির্দেশনা থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বেসরকারি খাতে। এবারের বাজেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে।
সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বাজেটের খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন।