করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই

ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহলের দাবি থাকলেও তাতে সাড়া মেলেনি। আগামী অর্থবছরেও ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম, তাদের কোনো কর দিতে হবে না। করমুক্ত আয়সীমা এবার সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছিল এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো। তাদের যুক্তি ছিল, গত চার বছর ধরে করমুক্ত আয়ের সীমা একই অবস্থায় রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তাতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব রাখেন। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, এই সীমা বাড়ানো হলে অনেকেই করের আওতার বাইরে চলে যাবেনভ এতে সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণীর ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের করম্ক্তু আয়সীমা বিগত কয়েক বছর যাবৎ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারিত আছে। মহিলা করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা। এছাড়া অন্য কিছু ক্যাটাগরিতে করমুক্ত আয়সীমা আর একটু বেশি। যেসব মানদ-ে বিগত কয়েক বছর যাবৎ করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত আছে, এ বছরেও সেগুলোর তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক উন্নত দেশে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের কম। অনেক দেশে করমুক্ত কোনো আয়সীমা নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার চেয়ে কম। বাংলাদেশে বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের দেড়গুণের বেশি জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, এ অবস্থায় করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ালে বিদ্যমান করদাতাদের অনেকেই করের আওতার বাইরে চলে যাবেন। এতে করভিত্তি সংকুচিত হবে।

কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের ক্ষেত্রেও করহার গত কয়েক বছর ধরে অপরিবর্তিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, করদাতারা এ কর হারে কর প্রদানে অভ্যস্ত হয়েছেন। এসব বিবেচনায় আমি কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা, করহার ও ন্যূনতম কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।

আরও খবর
বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ
সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায়ই বড় চ্যালেঞ্জ
আ’লীগের ইশতেহার অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই
বাজেট বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কিছু নেই
দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে
জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 
আবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের : কোচ রোডস
পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পরিত্যক্ত
তিন মোড়ল ছাড়া বাকি দেশগুলোর প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বোধ আছে মনে করে না আইসিসি

শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০

করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহলের দাবি থাকলেও তাতে সাড়া মেলেনি। আগামী অর্থবছরেও ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ যাদের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কম, তাদের কোনো কর দিতে হবে না। করমুক্ত আয়সীমা এবার সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছিল এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো। তাদের যুক্তি ছিল, গত চার বছর ধরে করমুক্ত আয়ের সীমা একই অবস্থায় রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তাতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব রাখেন। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, এই সীমা বাড়ানো হলে অনেকেই করের আওতার বাইরে চলে যাবেনভ এতে সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণীর ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের করম্ক্তু আয়সীমা বিগত কয়েক বছর যাবৎ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারিত আছে। মহিলা করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা। এছাড়া অন্য কিছু ক্যাটাগরিতে করমুক্ত আয়সীমা আর একটু বেশি। যেসব মানদ-ে বিগত কয়েক বছর যাবৎ করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত আছে, এ বছরেও সেগুলোর তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক উন্নত দেশে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের কম। অনেক দেশে করমুক্ত কোনো আয়সীমা নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার চেয়ে কম। বাংলাদেশে বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা মাথাপিছু আয়ের দেড়গুণের বেশি জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, এ অবস্থায় করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ালে বিদ্যমান করদাতাদের অনেকেই করের আওতার বাইরে চলে যাবেন। এতে করভিত্তি সংকুচিত হবে।

কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের ক্ষেত্রেও করহার গত কয়েক বছর ধরে অপরিবর্তিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, করদাতারা এ কর হারে কর প্রদানে অভ্যস্ত হয়েছেন। এসব বিবেচনায় আমি কোম্পানি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা, করহার ও ন্যূনতম কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।