অজি পেস আক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই : সাকিব

ক্যারিবিয়ানদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ আরও ধারালো। বিশেষ করে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের গতির ঝড় সামলানো বড় চ্যালেঞ্জের। পুরনো বলে যেকোন সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন তারা। ক্যারিবিয়ানদের হারানো বাংলাদেশ অবশ্য এই পেস আক্রমণ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না! সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে মিলল তেমন আত্মবিশ্বাস।

টনটনের সুখস্মৃতি নিয়ে নটিংহ্যামে পৌঁছানো বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসটা আরও ?তুঙ্গে থাকার আভাস মিলল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার আগে। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ এই অস্ট্রেলিয়ারই। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সেরা পাঁচের মধ্যে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। স্টার্ক নিয়েছেন ১৩ উইকেট ও কামিন্স ১১টি। কম যাচ্ছেন না কেন রিচার্ডসনও। শেষ দুই ম্যাচে মাত্র ২১ গড়ে এই পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট।

তবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১২৪ রানের মুগ্ধতা ছড়ানো ইনিংসের পর অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী পেস বোলিং আক্রমণও বড় কিছু মনে হচ্ছে না সাকিবের কাছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। গত চার ম্যাচে আমরা বিশ্বকাপের সেরা পেসারদের বিপক্ষে খেলেছি। প্রতিটি দলে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে এমন কিছু বোলার ছিল। তাদের বিপক্ষে খেলে আমরা যথেষ্ট মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে সোমবার নটিংহামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এখানেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মাশরাফিরা। টনটনের জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে এখন বাংলাদেশ। তাতে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা ভালোভাবেই টিকে আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে সেই পথটা আরও উজ্জ্বল হবে।

সেমি-ফাইনালে খেলতে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ, সেটা সাকিবের কথায় স্পষ্ট, ‘আমরা সেমি-ফাইনাল খেলতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই বাকি ম্যাচগুলো খেলতে নামব। বড় মঞ্চে খেলতে হলে সব দলকেই হারাতে হবে।’

যদিও নটিংহামের মাঠে হয়ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের বিপক্ষে। কারণ ?এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা আগুনে বোলিংয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নটিংহামে ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণে পাকিস্তান মাত্র ২১.৪ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল ১০৫ রানে।

সেই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার গতিময় বোলারদের বিপক্ষে নামার আগে নির্ভার বাংলাদেশ। অন্তত সাকিবের কথায় সেটাই ফুটে উঠেছে। ওয়েবসাইট।

আরও খবর
বাস্তবায়ন হয়নি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা
মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে চিহ্নিত করবে সরকার
আজও সাকিবে ভর করে অজিদের হারাতে চায় টাইগাররা
বাংলাদেশের কাঁধে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা
দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২৪১
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা হচ্ছে
ঢাকার সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কমিটি
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল
অবশেষে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল ডন আল-আমিন
আ’লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সাব কমিটির সম্মেলন
বিশ্বে শরণার্থী ৭০ মিলিয়ন
পিডব্লিউসির বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা টিআইবির
সংরক্ষণাগার না থাকায় বিপাকে চাষিরা
জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

অজি পেস আক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই : সাকিব

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

ক্যারিবিয়ানদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ আরও ধারালো। বিশেষ করে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের গতির ঝড় সামলানো বড় চ্যালেঞ্জের। পুরনো বলে যেকোন সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন তারা। ক্যারিবিয়ানদের হারানো বাংলাদেশ অবশ্য এই পেস আক্রমণ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না! সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে মিলল তেমন আত্মবিশ্বাস।

টনটনের সুখস্মৃতি নিয়ে নটিংহ্যামে পৌঁছানো বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসটা আরও ?তুঙ্গে থাকার আভাস মিলল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার আগে। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ এই অস্ট্রেলিয়ারই। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সেরা পাঁচের মধ্যে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। স্টার্ক নিয়েছেন ১৩ উইকেট ও কামিন্স ১১টি। কম যাচ্ছেন না কেন রিচার্ডসনও। শেষ দুই ম্যাচে মাত্র ২১ গড়ে এই পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট।

তবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১২৪ রানের মুগ্ধতা ছড়ানো ইনিংসের পর অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী পেস বোলিং আক্রমণও বড় কিছু মনে হচ্ছে না সাকিবের কাছে, ‘অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। গত চার ম্যাচে আমরা বিশ্বকাপের সেরা পেসারদের বিপক্ষে খেলেছি। প্রতিটি দলে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে এমন কিছু বোলার ছিল। তাদের বিপক্ষে খেলে আমরা যথেষ্ট মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে সোমবার নটিংহামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এখানেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মাশরাফিরা। টনটনের জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে এখন বাংলাদেশ। তাতে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা ভালোভাবেই টিকে আছে তাদের। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে সেই পথটা আরও উজ্জ্বল হবে।

সেমি-ফাইনালে খেলতে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ, সেটা সাকিবের কথায় স্পষ্ট, ‘আমরা সেমি-ফাইনাল খেলতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই বাকি ম্যাচগুলো খেলতে নামব। বড় মঞ্চে খেলতে হলে সব দলকেই হারাতে হবে।’

যদিও নটিংহামের মাঠে হয়ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের বিপক্ষে। কারণ ?এখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা আগুনে বোলিংয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নটিংহামে ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণে পাকিস্তান মাত্র ২১.৪ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল ১০৫ রানে।

সেই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার গতিময় বোলারদের বিপক্ষে নামার আগে নির্ভার বাংলাদেশ। অন্তত সাকিবের কথায় সেটাই ফুটে উঠেছে। ওয়েবসাইট।