পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

রাঙ্গামাটিতে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রাঙ্গামাটিতে জরুরিভাবে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়। সভায় সম্ভাব্য পাহাড় ধসের কারণে যাতে কোনপ্রকার প্রাণহানি না ঘটে বা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে তার জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। এ সময় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ের ওপর ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের জন্য ২১টি আশ্রয় খোলা হয়েছে এবং ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার জন্য রাঙ্গামাটি শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া দশ উপজেলায় বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রয়োজনে সরকারি অফিসগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা ও শুকনো খাবার রাখার জন্য উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটিতে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসের কারণে দুই সেনা কর্মকর্তা ও ৩ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ বিপুল পরিমাণ ঘরবাড়ি ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

রাঙ্গামাটিতে টানা বৃষ্টি

পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

পার্বত্য অঞ্চল প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটিতে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রাঙ্গামাটিতে জরুরিভাবে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়। সভায় সম্ভাব্য পাহাড় ধসের কারণে যাতে কোনপ্রকার প্রাণহানি না ঘটে বা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে তার জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। এ সময় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ের ওপর ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের জন্য ২১টি আশ্রয় খোলা হয়েছে এবং ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার জন্য রাঙ্গামাটি শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া দশ উপজেলায় বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রয়োজনে সরকারি অফিসগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা ও শুকনো খাবার রাখার জন্য উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটিতে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসের কারণে দুই সেনা কর্মকর্তা ও ৩ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ বিপুল পরিমাণ ঘরবাড়ি ও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।