নতুন মাইলফলক দেশের রপ্তানি আয়ে

  • ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়
  • প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১০ শতাংশ

নতুন মাইলফলকে দেশের পণ্য রপ্তানি। পোশাক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বিদায়ী অর্থবছরে শুধু পণ্য রপ্তানি আয়-ই ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছিল। এছাড়া সেবা রপ্তানি যোগ হলে এটি আরও বাড়বে। সদ্য বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই পোশাক খাত থেকে এসেছে। গত অর্থবছর ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬১ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, এতে দেখা গেঝেÑ ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আগের বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

অর্থনীতির গবেষক জায়েদ বখত বলেন, এবার পুরো বছর ধরেই রপ্তানিতে মোটামুটি ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রেমিট্যান্সের পাশপাশি রপ্তানি আয়ের ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। আমদানি বাড়ার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েনি। তবে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে এই আয় মোটেই ‘ভালো নয়’ মন্তব্য করে জায়েদ বখত বলেন, অনেক দিন ধরেই আমরা রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কথা বলছি। কিন্তু খুব বেশি কাজ হচ্ছে না। এদিকে আমাদের এখন বেশি নজর দিতে হবে।

এই প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি খুশি নন পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সেখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্ধেকেরও কমÑ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা আমাদের পোশাকের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। বেশি পোশাক রপ্তানি করে কম আয় করছি। এখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিকারকরাও এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কম দামে অর্ডার নিচ্ছে। বায়ারাও এই সুযোগ নিয়ে কম দামে পোশাক কিনছে। আমাদের এখন পোশাকের দাম বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, মালিক ও শ্রমিকÑ সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তা না হলে এখন যে ১০/১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেটিও ভবিষ্যতে থাকবে না।

রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ (৩৪.১৩ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। তা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ। গত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। অভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের উৎস চামড়া শিল্পের খরা কাটছে না। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি নিয়েই শেষ হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি। গত এ খাতের রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১০১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরে আয় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। লক্ষ্য ধরা ছিল ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে এই খাতে দেখা দিয়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৬ কোটি ১১ ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। এ খাতের লক্ষ্য ছিল ৩৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানি করে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৯০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে শাকসবজি রপ্তানিতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তামাক রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ। শুকনা খাবার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। চা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

ওষুধ রপ্তানিতে ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে ১৩ কোটি ডলারের ওষুধ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এ সময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ধরা ছিল ১১ কোটি ২২ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ (১৬.৪২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

নতুন মাইলফলক দেশের রপ্তানি আয়ে

রোকন মাহমুদ

  • ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়
  • প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১০ শতাংশ

নতুন মাইলফলকে দেশের পণ্য রপ্তানি। পোশাক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বিদায়ী অর্থবছরে শুধু পণ্য রপ্তানি আয়-ই ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছিল। এছাড়া সেবা রপ্তানি যোগ হলে এটি আরও বাড়বে। সদ্য বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই পোশাক খাত থেকে এসেছে। গত অর্থবছর ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬১ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, এতে দেখা গেঝেÑ ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আগের বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

অর্থনীতির গবেষক জায়েদ বখত বলেন, এবার পুরো বছর ধরেই রপ্তানিতে মোটামুটি ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রেমিট্যান্সের পাশপাশি রপ্তানি আয়ের ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। আমদানি বাড়ার পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েনি। তবে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে এই আয় মোটেই ‘ভালো নয়’ মন্তব্য করে জায়েদ বখত বলেন, অনেক দিন ধরেই আমরা রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কথা বলছি। কিন্তু খুব বেশি কাজ হচ্ছে না। এদিকে আমাদের এখন বেশি নজর দিতে হবে।

এই প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি খুশি নন পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সেখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্ধেকেরও কমÑ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা আমাদের পোশাকের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। বেশি পোশাক রপ্তানি করে কম আয় করছি। এখানে আমাদের পোশাক রপ্তানিকারকরাও এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কম দামে অর্ডার নিচ্ছে। বায়ারাও এই সুযোগ নিয়ে কম দামে পোশাক কিনছে। আমাদের এখন পোশাকের দাম বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, মালিক ও শ্রমিকÑ সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তা না হলে এখন যে ১০/১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেটিও ভবিষ্যতে থাকবে না।

রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ (৩৪.১৩ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। তা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ। গত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। অভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের উৎস চামড়া শিল্পের খরা কাটছে না। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি নিয়েই শেষ হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি। গত এ খাতের রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১০১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরে আয় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। লক্ষ্য ধরা ছিল ১১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে এই খাতে দেখা দিয়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৬ কোটি ১১ ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। এ খাতের লক্ষ্য ছিল ৩৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন কৃষিপণ্য রপ্তানি করে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৯০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে শাকসবজি রপ্তানিতে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তামাক রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ। শুকনা খাবার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। চা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

ওষুধ রপ্তানিতে ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে ১৩ কোটি ডলারের ওষুধ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এ সময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ধরা ছিল ১১ কোটি ২২ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ (১৬.৪২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।