পাহাড়ধসে নিহত ১ আহত ৭

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় চার দিনের টানা বর্ষণে জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। জেলার দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ধসে যুগেন্দ্র চাকমার (৪০) মুত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসের ঘটনায় চার পরিবারে ৭ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও নাম পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণে দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের দুর্গম উল্টাছড়ি গ্রামের একটি পাহাড়ের চূড়ায় থাকা চারটি বাড়ি ধসে পড়ে। এ সময় যুগেন্দ্র বাসায় ছিলেন। ঘরসহ ধসে পড়লে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এতে ৭ জনের বেশি আহত হলেও তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।

বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল অনেক দুর্গম এলাকায়। তাই তাৎক্ষণিক যাওয়া সম্ভব নয়।

গতকাল সকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়িতে একটি পরিত্যক্ত দোকানের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত সোমবার সকালে শহরের মোহাম্মদপুর এলাকা আরসিসি সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে।

গত মঙ্গলবার শালবাগান এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। টানা অতিবৃষ্টিতে মহালছড়ি উপজেলার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস ও চোংরাছড়ি এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সোমবার দুপুর থেকে। সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু সড়ক যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহর পাহাড়ের ঝুঁকিতে থাকা ৩০ পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছে প্রশাসন। গত মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভা ও পুলিশের পক্ষ থেকে শালবন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। চার দিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গি ও মাইনি নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, পেরাছড়া, গঞ্জপাড়া, গোলাবাড়িসহ বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

খাগড়াছড়ি সদরে পানিবন্দী ও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের জন্য ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় ৯ উপজেলায় ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ছাড়া জেলা সদরের শালবন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং ও অভিযান চালাতে দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে ৮ শতাধিক পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারের অধিক পরিবার। ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস কিংবা বন্যার আশঙ্কা থাকায় তাদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতেও প্রশাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও খাবার মজুদ রাখা হয়েছি।

অতিবৃষ্টিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। জেলা শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা।

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম জানান, এরই মধ্যে পৌর শহরে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

অন্যদিকে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আর দুর্যোগের আশঙ্কায় পুরো জেলায় ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। প্রবল বর্ষণে জেলার চেঙ্গি, মাইনি, ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার প্লাবিত দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে শান্তিনগর, অপর্ণা চৌধুরীপাড়া, রাজ্যমণিপাড়া, গঞ্জপাড়া, কালাডেবা, বটতলী, গুগড়াছড়ি, বাস টার্মিনাল, কলেজপাড়া, খবংপুড়িয়া, শব্দমিয়াপাড়া বন্যাকবলিত হয়েছে। নিচু ও কিছু উঁচু এলাকায় প্লাবিত হওয়ায় খাগড়াছড়ি সদরের ১৫০ থেকে ২০০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার আংশিক বৃষ্টি শুরু হলেও পুরোদমে মঙ্গলবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির শহরতলি ও ৯টি উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। চার দিনে খাগড়াছড়িতে প্রায় ১৭২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বর্ষণে গত চার দিনে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

খাগড়াছড়ি

পাহাড়ধসে নিহত ১ আহত ৭

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় চার দিনের টানা বর্ষণে জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। জেলার দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ধসে যুগেন্দ্র চাকমার (৪০) মুত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসের ঘটনায় চার পরিবারে ৭ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও নাম পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণে দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের দুর্গম উল্টাছড়ি গ্রামের একটি পাহাড়ের চূড়ায় থাকা চারটি বাড়ি ধসে পড়ে। এ সময় যুগেন্দ্র বাসায় ছিলেন। ঘরসহ ধসে পড়লে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এতে ৭ জনের বেশি আহত হলেও তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।

বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ জীবন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল অনেক দুর্গম এলাকায়। তাই তাৎক্ষণিক যাওয়া সম্ভব নয়।

গতকাল সকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়িতে একটি পরিত্যক্ত দোকানের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত সোমবার সকালে শহরের মোহাম্মদপুর এলাকা আরসিসি সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে।

গত মঙ্গলবার শালবাগান এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। টানা অতিবৃষ্টিতে মহালছড়ি উপজেলার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস ও চোংরাছড়ি এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সোমবার দুপুর থেকে। সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু সড়ক যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহর পাহাড়ের ঝুঁকিতে থাকা ৩০ পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছে প্রশাসন। গত মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভা ও পুলিশের পক্ষ থেকে শালবন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। চার দিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গি ও মাইনি নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, পেরাছড়া, গঞ্জপাড়া, গোলাবাড়িসহ বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

খাগড়াছড়ি সদরে পানিবন্দী ও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের জন্য ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় ৯ উপজেলায় ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ছাড়া জেলা সদরের শালবন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং ও অভিযান চালাতে দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে ৮ শতাধিক পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারের অধিক পরিবার। ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস কিংবা বন্যার আশঙ্কা থাকায় তাদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতেও প্রশাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও খাবার মজুদ রাখা হয়েছি।

অতিবৃষ্টিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এছাড়া পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। জেলা শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকসহ সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা।

খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম জানান, এরই মধ্যে পৌর শহরে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

অন্যদিকে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আর দুর্যোগের আশঙ্কায় পুরো জেলায় ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। প্রবল বর্ষণে জেলার চেঙ্গি, মাইনি, ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার প্লাবিত দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে শান্তিনগর, অপর্ণা চৌধুরীপাড়া, রাজ্যমণিপাড়া, গঞ্জপাড়া, কালাডেবা, বটতলী, গুগড়াছড়ি, বাস টার্মিনাল, কলেজপাড়া, খবংপুড়িয়া, শব্দমিয়াপাড়া বন্যাকবলিত হয়েছে। নিচু ও কিছু উঁচু এলাকায় প্লাবিত হওয়ায় খাগড়াছড়ি সদরের ১৫০ থেকে ২০০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার আংশিক বৃষ্টি শুরু হলেও পুরোদমে মঙ্গলবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির শহরতলি ও ৯টি উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। চার দিনে খাগড়াছড়িতে প্রায় ১৭২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বর্ষণে গত চার দিনে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।