কয়েক দিনের ধারাবাহিক ভারি বৃষ্টিপাতে জুলাইর শুরু থেকেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে চীনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল। এতে কমপক্ষে ৬১ জনের প্রাণহানির ঘটেছে। ওইসব অঞ্চল থেকে প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চীনা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) চীনের জিয়াংশি প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা রয়েছে; যা টানা চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। এতে বন্যার মাত্রা আরও বাড়বে। এদিকে বন্যার কারণে জিয়াংশি প্রদেশে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে ট্রেন। ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় চীনের পূর্ব ঝেজিয়াং ও জিয়াংজি প্রদেশ, গুয়াংজি ঝুয়াং, চংকিং মিউনিসিপ্যালিটি, সিচুয়ান ও গুইঝো প্রদেশের বাসিন্দাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এসব এলাকায় গত কয়েক দিনের গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল গত কয়েক বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। ঝড়ো হাওয়ার কারণে ১ লাখ ২৬ হাজার ১০০ হেক্টর শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ১৬শ’ ঘর-বাড়ি। আরও ৭ হাজার ৯শ’ বাড়ি বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরাসরি ২৬৯ কোটি ইউয়ান (প্রায় ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার) অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোককে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চারটি কার্যনির্বাহী দলকে এসব এলাকায় পাঠিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা মোকাবিলা সংক্রান্ত দফতর।
পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য জিয়ানজি প্রদেশে ৫০টি রাবার নৌকা মোতায়েন করেছে ন্যাশনাল ফুড এন্ড স্ট্রাটেজিক রিজার্ভস এডমিনিস্ট্রেশন। গ্রীষ্মকালে চীনের উত্তরাঞ্চলে খরা দেখা যায় এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা। এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জরুরি মন্ত্রণালয়।
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০
সংবাদ ডেস্ক
কয়েক দিনের ধারাবাহিক ভারি বৃষ্টিপাতে জুলাইর শুরু থেকেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে চীনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল। এতে কমপক্ষে ৬১ জনের প্রাণহানির ঘটেছে। ওইসব অঞ্চল থেকে প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চীনা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) চীনের জিয়াংশি প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা রয়েছে; যা টানা চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। এতে বন্যার মাত্রা আরও বাড়বে। এদিকে বন্যার কারণে জিয়াংশি প্রদেশে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে ট্রেন। ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় চীনের পূর্ব ঝেজিয়াং ও জিয়াংজি প্রদেশ, গুয়াংজি ঝুয়াং, চংকিং মিউনিসিপ্যালিটি, সিচুয়ান ও গুইঝো প্রদেশের বাসিন্দাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এসব এলাকায় গত কয়েক দিনের গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল গত কয়েক বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। ঝড়ো হাওয়ার কারণে ১ লাখ ২৬ হাজার ১০০ হেক্টর শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ১৬শ’ ঘর-বাড়ি। আরও ৭ হাজার ৯শ’ বাড়ি বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরাসরি ২৬৯ কোটি ইউয়ান (প্রায় ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার) অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোককে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চারটি কার্যনির্বাহী দলকে এসব এলাকায় পাঠিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা মোকাবিলা সংক্রান্ত দফতর।
পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য জিয়ানজি প্রদেশে ৫০টি রাবার নৌকা মোতায়েন করেছে ন্যাশনাল ফুড এন্ড স্ট্রাটেজিক রিজার্ভস এডমিনিস্ট্রেশন। গ্রীষ্মকালে চীনের উত্তরাঞ্চলে খরা দেখা যায় এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা। এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জরুরি মন্ত্রণালয়।