সিজারের সময় গর্ভের শিশুর মাথা কাটলেন ডাক্তার

যশোর কিংস হাসপাতালে এক প্রসূতির সিজার করার সময় গর্ভের শিশুর মাথা কেটে ফেলেছেন ডা. আতিকুর রহমান। ঘটনার দু’দিন পর ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে যশোর সদরের সতীঘাটা পান্থাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম হোসেনের সন্তান।

ইকরাম হোসেন জানান, তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তি হন ডা. আতিকুর রহমানের মালিকানাধীন কিংস হাসপাতালে। ভর্তির পর পরই কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ডা. আতিকুর তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় গর্ভে থাকা শিশুর মাথায় অপারেশন কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের পোঁচ লাগে। এতে মাথার তালুতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।’

প্রসূতির স্বজনরা ভূমিষ্ঠ শিশুর মাথায় রক্ত দেখে একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলে ডা. আতিক তাদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘এটা কিছু নয়, সামান্য ব্যাপার।’ ওই অবস্থায় দু’দিন তার হাসপাতালে রেখে দেন শিশুকে। তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০টায় যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক বলেন, শিশুর মাথা কাটা রয়েছে। কী কারণে কাটা হয়েছে, তা জানি না।

এ ব্যাপারে ডা. আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা তেমন কোন বড় ঘটনা নয়। এটা অপারেশনের সময় হতেই পারে।’

প্রসঙ্গত, ডা. আতিকুর রহমান গাইনি বিশেষজ্ঞ নন। তিনি ছিলেন যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার।

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০

সিজারের সময় গর্ভের শিশুর মাথা কাটলেন ডাক্তার

যশোর অফিস

যশোর কিংস হাসপাতালে এক প্রসূতির সিজার করার সময় গর্ভের শিশুর মাথা কেটে ফেলেছেন ডা. আতিকুর রহমান। ঘটনার দু’দিন পর ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে যশোর সদরের সতীঘাটা পান্থাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম হোসেনের সন্তান।

ইকরাম হোসেন জানান, তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তি হন ডা. আতিকুর রহমানের মালিকানাধীন কিংস হাসপাতালে। ভর্তির পর পরই কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ডা. আতিকুর তার স্ত্রীর অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় গর্ভে থাকা শিশুর মাথায় অপারেশন কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের পোঁচ লাগে। এতে মাথার তালুতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।’

প্রসূতির স্বজনরা ভূমিষ্ঠ শিশুর মাথায় রক্ত দেখে একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলে ডা. আতিক তাদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘এটা কিছু নয়, সামান্য ব্যাপার।’ ওই অবস্থায় দু’দিন তার হাসপাতালে রেখে দেন শিশুকে। তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০টায় যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক বলেন, শিশুর মাথা কাটা রয়েছে। কী কারণে কাটা হয়েছে, তা জানি না।

এ ব্যাপারে ডা. আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা তেমন কোন বড় ঘটনা নয়। এটা অপারেশনের সময় হতেই পারে।’

প্রসঙ্গত, ডা. আতিকুর রহমান গাইনি বিশেষজ্ঞ নন। তিনি ছিলেন যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার।