ছয় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সব নদনদীর পানিই বাড়ছে। ফলে বিভিন্ন জেলার বন্যাপরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে। যমুনা ব্রহ্মপুত্র শঙ্খ ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ইতোমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৩ লক্ষাধিক ও কুড়িগ্রামে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। নদীর পানি মহাসড়কে উঠে আসায় যোগাযোগ ব্যবস্থারও বেহাল দশা। বন্যা ও মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। তবে ত্রাণ সরবরাহ যথাযথ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। তবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে উঠে এসেছে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির এ চিত্র।

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠে যাওয়ায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ৮-১০ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। গত শনিবার রাত থেকেই যানজট শুরুর পর অপেক্ষমাণ গাড়ির সারি উভয়দিকে ৮-১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরে দুপুরের পর যান চলাচল শুরু হলেও তা ধীরগতিতে ছিল বলে জানা গেছে।

বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চন্দানাইশের বাগিচার হাট, দেওয়ানহাট, কসাই পাড়া, কেরানীহাট এলাকাসহ মহাসড়ক শংখ নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের উভয় পাশে হাজার হাজার যানবাহন আটকে পড়ে।

আমাদের পটিয়া সংবাদদাতা এম এইচ মুন্না জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রমের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। শঙ্খ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীর পাড়ের বিভিন্ন এলাকার তিন শক্ষাধিক মানুষ টানা কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। অনেকে নিজের জীবন বাঁচাতে পরিবারপরিজন নিয়ে ঘরের চালের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়া লোকজনকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এতে নারী-পুরুষ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষের এমন অভিযোগ।

কেরানিহাটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। টিনের চালায় আশ্রয় নেয়া বানভাসী মানুষ। চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে যুক্ত কর্ণফুলী, হালদা ও সাংগু নদী। এসব নদীতে পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বেড়ে তলিয়ে যায় লোকালয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া।

বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে ১০ মে. টন চাল ও ২শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হলেও বরাদ্দ বেড়ে এখন ২৫ মে. টন ও ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চর খাগড়িয়া এলাকাটি সাতকানিয়া-চন্দনাইশ সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় চন্দনাইশের এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাতকানিয়া লোহাগাড়ার এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর নির্বাচনী এলাকার হলেও দুই এমপির রশি টানাটানিতে এলাকার মানুষ যথাসময়ে ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছে না বলে স্থানীয় হেলাল উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ।

বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলা শহর থেকে ধীর গতিতে পানি নামলেও। আকাশে ভারি মেঘ ও থেমে থেমে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। থানচি,রুমা,রোয়াংছড়ি ও লামা চার উপজেলায় বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলা শহরসহ লামা পৌর সদরের প্রধান সড়কে চলছে নৌকা। রোববার দুপুরে লামা উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে এক বৃদ্ধা। নিহত ওই নারীর নাম নূর জাহান বেগম (৭৫)। লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে জান্নাত রুমি জানান- প্রবল বর্ষণে উপজেলার মধুঝিড়ি এলাকায় বসতবাড়িতে পাহাড় ধসে পড়লে নূর জাহান নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার নূর হোসেনের স্ত্রী।একই ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের পুত্র মোহাম্মদ ইরান এবং পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম নামে আরও ২ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এদিকে টানা সাতদিন ধরে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।রবিবার সকালে বন্যাদূর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শহরের জর্জ কোর্ট এলাকা, ায়ার সার্ভিস এলাকা, হোটেল পূরবী এলাকা, বালাঘাটার আম বাগান এলাকা, আর্মি পাড়া, এসপির বাংলো, ইসলামপুর, শেরে বাংলা নগর, উজানি পাড়া, মেম্বার পাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ এলাকা,কাশেম পাড়া,বালাঘাটা,কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা, বনানী সমিল এলাকা, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকাসহ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। চরন দুর্ভোগে রয়েছে হাজারো জনগণ। অন্যদিকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা ডুবে যাওয়ায় রোগীদের যাওয়া আসা করতে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ইতোমধ্যে ৪৫০ মে. টন খাদ্যশস্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরো জেলাতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩১টি করা হলেও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দূর্গত লোকজন বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে গত সাত দিনের টানা বর্ষণে জেলা শহরসহ বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের জীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বাজারে মজুদ সংকটের পাশপাশি কাঁচা তরিতরকারির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ , ১ শ্রাবন ১৪২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪০

বন্যা : আরও অবনতি

ছয় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

সংবাদ ডেস্ক

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সব নদনদীর পানিই বাড়ছে। ফলে বিভিন্ন জেলার বন্যাপরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে। যমুনা ব্রহ্মপুত্র শঙ্খ ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ইতোমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৩ লক্ষাধিক ও কুড়িগ্রামে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। নদীর পানি মহাসড়কে উঠে আসায় যোগাযোগ ব্যবস্থারও বেহাল দশা। বন্যা ও মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। তবে ত্রাণ সরবরাহ যথাযথ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। তবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে উঠে এসেছে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির এ চিত্র।

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠে যাওয়ায় ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ৮-১০ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিল যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। গত শনিবার রাত থেকেই যানজট শুরুর পর অপেক্ষমাণ গাড়ির সারি উভয়দিকে ৮-১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরে দুপুরের পর যান চলাচল শুরু হলেও তা ধীরগতিতে ছিল বলে জানা গেছে।

বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চন্দানাইশের বাগিচার হাট, দেওয়ানহাট, কসাই পাড়া, কেরানীহাট এলাকাসহ মহাসড়ক শংখ নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের উভয় পাশে হাজার হাজার যানবাহন আটকে পড়ে।

আমাদের পটিয়া সংবাদদাতা এম এইচ মুন্না জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রমের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। শঙ্খ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীর পাড়ের বিভিন্ন এলাকার তিন শক্ষাধিক মানুষ টানা কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। অনেকে নিজের জীবন বাঁচাতে পরিবারপরিজন নিয়ে ঘরের চালের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়া লোকজনকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এতে নারী-পুরুষ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার মানুষের এমন অভিযোগ।

কেরানিহাটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। টিনের চালায় আশ্রয় নেয়া বানভাসী মানুষ। চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে যুক্ত কর্ণফুলী, হালদা ও সাংগু নদী। এসব নদীতে পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বেড়ে তলিয়ে যায় লোকালয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া।

বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে ১০ মে. টন চাল ও ২শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হলেও বরাদ্দ বেড়ে এখন ২৫ মে. টন ও ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চর খাগড়িয়া এলাকাটি সাতকানিয়া-চন্দনাইশ সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় চন্দনাইশের এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাতকানিয়া লোহাগাড়ার এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর নির্বাচনী এলাকার হলেও দুই এমপির রশি টানাটানিতে এলাকার মানুষ যথাসময়ে ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছে না বলে স্থানীয় হেলাল উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ।

বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলা শহর থেকে ধীর গতিতে পানি নামলেও। আকাশে ভারি মেঘ ও থেমে থেমে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। থানচি,রুমা,রোয়াংছড়ি ও লামা চার উপজেলায় বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলা শহরসহ লামা পৌর সদরের প্রধান সড়কে চলছে নৌকা। রোববার দুপুরে লামা উপজেলায় পাহাড় ধসে মারা গেছে এক বৃদ্ধা। নিহত ওই নারীর নাম নূর জাহান বেগম (৭৫)। লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে জান্নাত রুমি জানান- প্রবল বর্ষণে উপজেলার মধুঝিড়ি এলাকায় বসতবাড়িতে পাহাড় ধসে পড়লে নূর জাহান নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার নূর হোসেনের স্ত্রী।একই ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের পুত্র মোহাম্মদ ইরান এবং পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম নামে আরও ২ জন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এদিকে টানা সাতদিন ধরে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।রবিবার সকালে বন্যাদূর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শহরের জর্জ কোর্ট এলাকা, ায়ার সার্ভিস এলাকা, হোটেল পূরবী এলাকা, বালাঘাটার আম বাগান এলাকা, আর্মি পাড়া, এসপির বাংলো, ইসলামপুর, শেরে বাংলা নগর, উজানি পাড়া, মেম্বার পাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ এলাকা,কাশেম পাড়া,বালাঘাটা,কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা, বনানী সমিল এলাকা, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকাসহ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। চরন দুর্ভোগে রয়েছে হাজারো জনগণ। অন্যদিকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা ডুবে যাওয়ায় রোগীদের যাওয়া আসা করতে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ইতোমধ্যে ৪৫০ মে. টন খাদ্যশস্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরো জেলাতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩১টি করা হলেও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দূর্গত লোকজন বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে গত সাত দিনের টানা বর্ষণে জেলা শহরসহ বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের জীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বাজারে মজুদ সংকটের পাশপাশি কাঁচা তরিতরকারির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।