স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘টেকসই বিশ্বের জন্য লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্ব’ শিরোনামে লিঙ্গসমতা বিষয়ক বৈশ্বিক নেতাদের সভায় ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য লিঙ্গসমতা ও একীভূত সমাজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে সংসদ নেতা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারীরা রয়েছেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ৫০টি এবং বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার বলেন, বৈশ্বিকভাবে লিঙ্গসমতা আনয়নের জন্য ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পদক্ষেপসমূহকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে অতিদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সৃষ্টি, বিধবা ভাতা, প্রসূতি নারীদের ভাতা, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, প্ল্যানেট ৫০-৫০ অর্জন এখন সময়ের দাবি।
পিরে স্পিকার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এইচএলপিএফ এর পার্লামেন্টারি ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রোয়িং ইনিকুয়ালিটিস অ্যান্ড ডিসট্রাস্ট ইন গভর্নমেন্ট: ব্রেকিং দ্য সাইকেল’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি গ্যাব্রিয়েলা কুইভাস ব্যারন এ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘টেকসই বিশ্বের জন্য লিঙ্গসমতা ও নারী নেতৃত্ব’ শিরোনামে লিঙ্গসমতা বিষয়ক বৈশ্বিক নেতাদের সভায় ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য লিঙ্গসমতা ও একীভূত সমাজ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এসপিনোসা গার্সেজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে সংসদ নেতা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা এবং বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারীরা রয়েছেন। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ৫০টি এবং বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার বলেন, বৈশ্বিকভাবে লিঙ্গসমতা আনয়নের জন্য ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পদক্ষেপসমূহকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে অতিদরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সৃষ্টি, বিধবা ভাতা, প্রসূতি নারীদের ভাতা, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, প্ল্যানেট ৫০-৫০ অর্জন এখন সময়ের দাবি।
পিরে স্পিকার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এইচএলপিএফ এর পার্লামেন্টারি ফোরাম আয়োজিত ‘গ্রোয়িং ইনিকুয়ালিটিস অ্যান্ড ডিসট্রাস্ট ইন গভর্নমেন্ট: ব্রেকিং দ্য সাইকেল’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি গ্যাব্রিয়েলা কুইভাস ব্যারন এ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।