দেশে কমছে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা

১১ মাসে এলসি কমেছে ৩০ শতাংশ

বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের মধ্যেও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা কমছে। গত কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা গেছে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য ৪৩২ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া চাল, গম, চিনি, পিয়াজ, ওষুধসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের এলসি কমেছে। এলসি খোলার এ প্রবণতার কারণে নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে অর্থবছরের ১০ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছিল।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৬ কোটি ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এ হিসাবে ১১ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক হাজার ১৪৫ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মধ্যে শুধু অন্যান্য খাতের এলসি কমেছে এক হাজার ১০১ কোটি ডলার। মূলত গত অর্থবছরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বড় অঙ্কের এলসি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরঞ্জাম আমদানির জন্য গতবছরের ২০ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। তবে চুক্তি মোতাবেক ওই এলসির পুরো দায় পরিশোধ করবে রাশিয়া। এছাড়া বন্যায় গত বছর প্রচুর ফসলহানি হয়। এবার ফসল উৎপাদন স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের মতো চাল ও গম আমদানির চাহিদা নেই।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৪০১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আর এ সময়ে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি এসেছে অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯৩ কোটি ডলারের। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৫৬৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর ওই সময়ে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি এসেছিল অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৪৪০ কোটি ডলারের।

গত অর্থবছরের জুলাই-মে চাল আমদানির জন্য মাত্র ছয় কোটি ৮২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে খোলা হয় ১৯৮ কোটি ডলার। চালের এলসি কমেছে ৯৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯ , ৪ শ্রাবন ১৪২৫, ১৪ জিলকদ ১৪৪০

দেশে কমছে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা

১১ মাসে এলসি কমেছে ৩০ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের মধ্যেও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা কমছে। গত কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা গেছে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য ৪৩২ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া চাল, গম, চিনি, পিয়াজ, ওষুধসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের এলসি কমেছে। এলসি খোলার এ প্রবণতার কারণে নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে অর্থবছরের ১০ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছিল।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৬ কোটি ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এ হিসাবে ১১ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক হাজার ১৪৫ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মধ্যে শুধু অন্যান্য খাতের এলসি কমেছে এক হাজার ১০১ কোটি ডলার। মূলত গত অর্থবছরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বড় অঙ্কের এলসি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরঞ্জাম আমদানির জন্য গতবছরের ২০ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। তবে চুক্তি মোতাবেক ওই এলসির পুরো দায় পরিশোধ করবে রাশিয়া। এছাড়া বন্যায় গত বছর প্রচুর ফসলহানি হয়। এবার ফসল উৎপাদন স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের মতো চাল ও গম আমদানির চাহিদা নেই।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৪০১ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আর এ সময়ে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি এসেছে অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৯৩ কোটি ডলারের। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে ৫৬৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর ওই সময়ে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি এসেছিল অর্থাৎ এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ৪৪০ কোটি ডলারের।

গত অর্থবছরের জুলাই-মে চাল আমদানির জন্য মাত্র ছয় কোটি ৮২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে খোলা হয় ১৯৮ কোটি ডলার। চালের এলসি কমেছে ৯৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।