বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সমাহার মৎস্য মেলায়

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয়েছে মৎস্য প্রদর্শনী। মৎস্য প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সমাহার। এসব মাছের প্রজাতি দীর্ঘদিন ধরে দেশের পাওয়া যাচ্ছে না। বাণিজ্যিকভাবেও এই প্রজাতির মাছের চাষ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ জুলাই গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে মৎস্য চাষ, রেণু উৎপাদনসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য আট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে স্বর্ণপদক এবং ৯টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রৌপ্য পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মৎস্য মেলায় রয়েছে নানা ধরনের মাছ। নতুন কিছু মাছের মধ্যে রয়েছে চিত্রা, পারশে, বড়ালি, গুলশা, ফলি, মেনিসহ বেশ কিছু বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। মৎস্য সপ্তাহের এই আয়োজনে মৎস্য চাষি, উদ্যোক্তাদের দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করে দেয়া, মাছ চাষের পদ্ধতি, পোনা উৎপাদন, মাছের খাদ্য প্রয়োগ প্রক্রিয়া, মাছের জন্য কীটনাশক ও মাছের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কলাকৌশল জানানো হচ্ছে। মৎস্য মেলার প্রদর্শনীতে রয়েছে মাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার। যেগুলো মৎস্য মেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে ফিশ বল, ফিশ ফিঙ্গার, ফিস কাটলেট, পাবদা, স্টার বাইম, কে বাটা, ইলিশ মাছ থেকে তৈরি খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন রকমের খাবার। মৎস্য মেলায় বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। তাদের সেবাসমূহ মৎস্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরছেন। তবে সেবাগুলো মৎস্য চাষিরা কিভাবে পাবেন সেটা তুলে ধরছেন। এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মৎস্যচাষিদের ঋণ সহায়তা দিয়েও কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। মেলায় মৎস্য অধিদফতরের সরকারি প্রকল্প পরিচালক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার ব্লু ইকোনমিকে প্রধান টার্গেট হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে আছি। তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। আর ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। আমাদের প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে তেমন কোন উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তাই আমরা সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

মেলায় অংশ নিয়েছে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি। তারা সমুদ্রে মাছ আহরণে কাজ করে যাচ্ছেন। মেরিন ফিশারিজ মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। মেরিন ফিশারিজের একাডেমি ইনস্ট্রাক্টর ফরহাদ আহমেদ বলেন, মেরিন ফিশারিজ সমুদ্রে মৎস্য আহরণে কাজ করে যাচ্ছে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জাহাজ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য আহরণে সহায়তা করা, মৎস আহরণের দিকনির্দেশনা দেয়া ও সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সমাহার মৎস্য মেলায়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয়েছে মৎস্য প্রদর্শনী। মৎস্য প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সমাহার। এসব মাছের প্রজাতি দীর্ঘদিন ধরে দেশের পাওয়া যাচ্ছে না। বাণিজ্যিকভাবেও এই প্রজাতির মাছের চাষ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ জুলাই গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে মৎস্য চাষ, রেণু উৎপাদনসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য আট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে স্বর্ণপদক এবং ৯টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে রৌপ্য পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মৎস্য মেলায় রয়েছে নানা ধরনের মাছ। নতুন কিছু মাছের মধ্যে রয়েছে চিত্রা, পারশে, বড়ালি, গুলশা, ফলি, মেনিসহ বেশ কিছু বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। মৎস্য সপ্তাহের এই আয়োজনে মৎস্য চাষি, উদ্যোক্তাদের দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করে দেয়া, মাছ চাষের পদ্ধতি, পোনা উৎপাদন, মাছের খাদ্য প্রয়োগ প্রক্রিয়া, মাছের জন্য কীটনাশক ও মাছের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কলাকৌশল জানানো হচ্ছে। মৎস্য মেলার প্রদর্শনীতে রয়েছে মাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার। যেগুলো মৎস্য মেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। বিশেষ কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে ফিশ বল, ফিশ ফিঙ্গার, ফিস কাটলেট, পাবদা, স্টার বাইম, কে বাটা, ইলিশ মাছ থেকে তৈরি খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন রকমের খাবার। মৎস্য মেলায় বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। তাদের সেবাসমূহ মৎস্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরছেন। তবে সেবাগুলো মৎস্য চাষিরা কিভাবে পাবেন সেটা তুলে ধরছেন। এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মৎস্যচাষিদের ঋণ সহায়তা দিয়েও কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। মেলায় মৎস্য অধিদফতরের সরকারি প্রকল্প পরিচালক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার ব্লু ইকোনমিকে প্রধান টার্গেট হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম অবস্থানে আছি। তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। আর ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। আমাদের প্রচুর পরিমাণে চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে তেমন কোন উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তাই আমরা সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

মেলায় অংশ নিয়েছে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি। তারা সমুদ্রে মাছ আহরণে কাজ করে যাচ্ছেন। মেরিন ফিশারিজ মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। মেরিন ফিশারিজের একাডেমি ইনস্ট্রাক্টর ফরহাদ আহমেদ বলেন, মেরিন ফিশারিজ সমুদ্রে মৎস্য আহরণে কাজ করে যাচ্ছে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জাহাজ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য আহরণে সহায়তা করা, মৎস আহরণের দিকনির্দেশনা দেয়া ও সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।