অভিবাসী ইস্যুতে মেক্সিকোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ দুই নেতার আলোচনায় অভিবাসী ইস্যু ছাড়াও প্রাধান্য পাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো। গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোববার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আগে শুক্রবার এল সালভেদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ঢল নিয়ন্ত্রণে মেক্সিকোকে ৪৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটিকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ সময়ের ব্যবস্থা নিতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে তাদের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ না করলে সব ধরনের মেক্সিকান পণ্য আমদানির ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। শুল্ক আরোপের এ হার প্রতি মাসে বাড়তে থাকবে। গত ১০ জুন থেকে এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা কার্যকরের কথা ছিল। এ নিয়ে মীমাংসা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। পরে দুই দেশের এক যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, গোটা সীমান্তে অভিবাসনসংক্রান্ত কর্মসূচি বিস্তৃত করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে মেক্সিকো। রোববারের বৈঠকে অভিবাসী ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।ব্যর্থ হলে দেশটির বিরুদ্ধে শানিস্তমূলক শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি ছিল ওয়াশিংটনের। গত মাসে মেক্সিকো ২১ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার পর যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রমে ইচ্ছুক শরণার্থীর সংখ্যা জুনে এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কয়েকমাস আগে তীরের কাছাকাছি উপুড় হয়ে পড়ে থাকা এল আভিবাশন প্রত্যাশি অস্কার (২৫) ও তাঁর দুই বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়ার মরদেহের ছবি সম্প্রতি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে উপচে পড়া শরণার্থীদের সাহায্য করতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।