ডেঙ্গুজ্বর ছড়াচ্ছে ব্যাপক আকারে

  • শতকরা ৭০ ভাগ বাড়িতে অ্যাডিস মশা
  • হবিগঞ্জে সিভিল সার্জনের মৃত্যু
  • ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩ জন আক্রান্ত

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন হাজরা মারা গেছেন। গত রোববার রাতে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ ও অ্যাডিস মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর অভিজাত এলাকার শতকরা ৭০ ভাগ বাড়িতে ডেঙ্গুজ্বর ও চিকুনগুনিয়ার বাহক অ্যাডিস মশার উপস্থিতি এবং প্রজননস্থলে লার্ভা পাওয়া গেছে। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতিতে রাজধানী এখন ডেঞ্জার জোনে আছে বলে উল্লেখ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাডিস মশার কামড়ে আরও ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ৭ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ও ৫ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিনিয়র কীটতত্ত্ববিদ রেজাউল করিম খান বলেন, প্রায় ৪০ কীটতত্ত্ববিদ ১৮ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১০টি টিমে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর ৫০টি ওয়ার্ডে জরিপ চালিয়েছেন। ২৭ জুলাই পর্যন্ত তারা এ অনুসন্ধান জরিপ চালাবেন। তাদের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে রাজধানী এখন ডেঞ্জার জোনে আছে বলে উল্লেখ করেছেন। শতকরা ৭০ ভাগের বেশি বাড়িতে এখন ডেঙ্গুজ্বর ও চিকুনগুনিয়ার বাহক অ্যাডিস মশার উপস্থিতি এবং প্রজনন স্থলে লার্ভা পাওয়া গেছে। তবে পুরান ঢাকার চেয়ে নতুন ও অভিজাত এলাকায় এ মশার উপস্থিতি বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ডেঙ্গুজ্বর, ডেঙ্গু হেমোরোজিক, ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮৩, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৮, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৩, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪৫, বারডেম হাসিপাতালে ৮, পুলিশ হাসপাতালে ১৫, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২৮, পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে ৫, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে মিলে ১২৩ জনসহ ঢাকা শহরে ৩৯৯, বিভাগগুলোয় ২ এবং ডেঙ্গু হেমোরোজিকে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৫০৯ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখন ভর্তি আছেন ১ হাজার ৬৬৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৩৪৯, মিটফোর্ডে ১৭১ ও শিশু হাসপাতালে ৭১ জন। এভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া ৩৬টি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আছেন ১২৪ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেলে ২১, ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ১১, স্কয়ার হাসপাতালে ৭, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৭, কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ১১, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৮, খিদমা হাসপাতালে ৪, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ১৩, পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪ জন আছেন।

আমাদের প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ মো. শাহ আলম জানান, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন হাজরা গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। গত রোববার নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, ৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে হবিগঞ্জের সির্ভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন শাহাদৎ হোসেন হাজরা। যোগদানের ১৩ দিনের মাথায় তিনি মারা গেলেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. আসাদুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু হেমোরোজিক হলে রক্তের দরকার। আর রক্তের প্লেটেলেট পরীক্ষা করতে হয়।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বর কমলেও অন্তত ৩ দিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। ওই সময় ডেঙ্গু রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। তার শরীরে ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তার লিভার, হার্ট ও ফুঁসফুস ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে তিনি বলেন। এছাড়া রাজধানীতে কেউ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ না করলে মশা তাকে কামড় দেয়ার পর অন্য কাউকে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, যে কোন জ্বর হলে তাকে ডেঙ্গু সন্দেহ করে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। রোগীকে বিশ্রামে থাকতে হবে। প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের প্রথমে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ওষুধ দেয়া উচিত নয়। কিন্তু যেসব রোগীর ডেঙ্গু হেমোরোজি ফিবার হবে, তাদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে রক্ত সঞ্চালনসহ অন্যান্য চিকিৎসা দিতে হবে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ , ৮ শ্রাবন ১৪২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গুজ্বর ছড়াচ্ছে ব্যাপক আকারে

বাকী বিল্লাহ

image

  • শতকরা ৭০ ভাগ বাড়িতে অ্যাডিস মশা
  • হবিগঞ্জে সিভিল সার্জনের মৃত্যু
  • ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩ জন আক্রান্ত

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন হাজরা মারা গেছেন। গত রোববার রাতে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ ও অ্যাডিস মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর অভিজাত এলাকার শতকরা ৭০ ভাগ বাড়িতে ডেঙ্গুজ্বর ও চিকুনগুনিয়ার বাহক অ্যাডিস মশার উপস্থিতি এবং প্রজননস্থলে লার্ভা পাওয়া গেছে। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতিতে রাজধানী এখন ডেঞ্জার জোনে আছে বলে উল্লেখ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাডিস মশার কামড়ে আরও ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ৭ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ও ৫ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিনিয়র কীটতত্ত্ববিদ রেজাউল করিম খান বলেন, প্রায় ৪০ কীটতত্ত্ববিদ ১৮ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১০টি টিমে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর ৫০টি ওয়ার্ডে জরিপ চালিয়েছেন। ২৭ জুলাই পর্যন্ত তারা এ অনুসন্ধান জরিপ চালাবেন। তাদের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে রাজধানী এখন ডেঞ্জার জোনে আছে বলে উল্লেখ করেছেন। শতকরা ৭০ ভাগের বেশি বাড়িতে এখন ডেঙ্গুজ্বর ও চিকুনগুনিয়ার বাহক অ্যাডিস মশার উপস্থিতি এবং প্রজনন স্থলে লার্ভা পাওয়া গেছে। তবে পুরান ঢাকার চেয়ে নতুন ও অভিজাত এলাকায় এ মশার উপস্থিতি বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ডেঙ্গুজ্বর, ডেঙ্গু হেমোরোজিক, ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮৩, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৮, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৩, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪৫, বারডেম হাসিপাতালে ৮, পুলিশ হাসপাতালে ১৫, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২৮, পিলখানায় বিজিবি হাসপাতালে ৫, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে মিলে ১২৩ জনসহ ঢাকা শহরে ৩৯৯, বিভাগগুলোয় ২ এবং ডেঙ্গু হেমোরোজিকে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৫০৯ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখন ভর্তি আছেন ১ হাজার ৬৬৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৩৪৯, মিটফোর্ডে ১৭১ ও শিশু হাসপাতালে ৭১ জন। এভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া ৩৬টি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আছেন ১২৪ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেলে ২১, ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ১১, স্কয়ার হাসপাতালে ৭, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৭, কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ১১, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৮, খিদমা হাসপাতালে ৪, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ১৩, পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪ জন আছেন।

আমাদের প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ মো. শাহ আলম জানান, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন হাজরা গত কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। গত রোববার নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, ৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে হবিগঞ্জের সির্ভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন শাহাদৎ হোসেন হাজরা। যোগদানের ১৩ দিনের মাথায় তিনি মারা গেলেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. আসাদুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু হেমোরোজিক হলে রক্তের দরকার। আর রক্তের প্লেটেলেট পরীক্ষা করতে হয়।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বর কমলেও অন্তত ৩ দিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। ওই সময় ডেঙ্গু রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। তার শরীরে ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তার লিভার, হার্ট ও ফুঁসফুস ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে তিনি বলেন। এছাড়া রাজধানীতে কেউ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ না করলে মশা তাকে কামড় দেয়ার পর অন্য কাউকে কামড় দিলে তিনিও আক্রান্ত হবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, যে কোন জ্বর হলে তাকে ডেঙ্গু সন্দেহ করে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। রোগীকে বিশ্রামে থাকতে হবে। প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের প্রথমে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ওষুধ দেয়া উচিত নয়। কিন্তু যেসব রোগীর ডেঙ্গু হেমোরোজি ফিবার হবে, তাদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে রক্ত সঞ্চালনসহ অন্যান্য চিকিৎসা দিতে হবে।