হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কার

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে (প্রিয়াবালা বিশ্বাস) সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের দাবি, প্রিয়া সাহার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তদন্তসাপেক্ষে তার বক্তব্যের বিচার দাবি করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল। অন্যদিকে তার বিষয়ে তড়িঘড়ি কিছু করতে রাজি নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা রয়েসয়ে অগ্রসর হচ্ছি, মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না। এদিকে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।

গতকাল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সংগঠনের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে (পিয়বালা বিশ্বাস) পরিষদের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।

গতকাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশের শুভবোধসম্পন্ন সব মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দেশের সব মানুষ তার এ অপকর্মের ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছে। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্ররোচনাকারী গোষ্ঠী-ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’ প্রিয়া সাহার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা কি না- জানতে চাইলে সুব্রত পাল বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা মনে করি এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার বক্তব্যের তদন্তসাপেক্ষে আমরা তার বিচার দাবি করি।’ আবার পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘তার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী কি না, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, তাদের তদন্তসাপেক্ষে আমরা বিচার দাবি করি।’

সুব্রত পাল বলেন, ‘ট্রাম্পের কাছে করা প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়। ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ উধাও হয়েছে, এ তথ্য বানোয়াট, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের কাছে বিচার চাওয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিওসহ সংগঠন দুটির অন্য নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ , ৮ শ্রাবন ১৪২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪০

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে (প্রিয়াবালা বিশ্বাস) সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের দাবি, প্রিয়া সাহার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তদন্তসাপেক্ষে তার বক্তব্যের বিচার দাবি করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল। অন্যদিকে তার বিষয়ে তড়িঘড়ি কিছু করতে রাজি নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা রয়েসয়ে অগ্রসর হচ্ছি, মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না। এদিকে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।

গতকাল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সংগঠনের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাকে (পিয়বালা বিশ্বাস) পরিষদের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।

গতকাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশের শুভবোধসম্পন্ন সব মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দেশের সব মানুষ তার এ অপকর্মের ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছে। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্ররোচনাকারী গোষ্ঠী-ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’ প্রিয়া সাহার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা কি না- জানতে চাইলে সুব্রত পাল বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা মনে করি এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার বক্তব্যের তদন্তসাপেক্ষে আমরা তার বিচার দাবি করি।’ আবার পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘তার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী কি না, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, তাদের তদন্তসাপেক্ষে আমরা বিচার দাবি করি।’

সুব্রত পাল বলেন, ‘ট্রাম্পের কাছে করা প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়। ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ উধাও হয়েছে, এ তথ্য বানোয়াট, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের কাছে বিচার চাওয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিওসহ সংগঠন দুটির অন্য নেতাকর্মীরা।