প্রধান আসামি হৃদয় গ্রেফতার

আরও ২ জন রিমান্ডে

রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রেনু হত্যার প্রধান আসামি হৃদয়কে গুলিস্তান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য শাহবাগ থানায় রেখে তার মা-বাবাকে ডাকা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেই তাকে বাড্ডা থানায় নেয়া হবে। এর আগে গত রোববার তিনজন ও সোমবার সকালে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। চারজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে জাফর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু’জনকে চারদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রিমান্ডকৃত আসামিরা হলো, মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থনার ইন্সপেক্টর আবদুল রাজ্জাক আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এর আগে সোমবার রাতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় নিহতের ভাগনে নাসির উদ্দিন অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, অতর্কিতভাবে ওই নারীকে স্কুলের অভিভাবক, উৎসুক জনতাসহ অনেকে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত।

জানা গেছে, নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। এরপর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তিনি এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ঘুরছিলেন। এ কারণেই তিনি বাড্ডার ওই স্কুলটিতে যান।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

তাসলিমা হত্যা

প্রধান আসামি হৃদয় গ্রেফতার

আরও ২ জন রিমান্ডে

আদালত বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রেনু হত্যার প্রধান আসামি হৃদয়কে গুলিস্তান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য শাহবাগ থানায় রেখে তার মা-বাবাকে ডাকা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেই তাকে বাড্ডা থানায় নেয়া হবে। এর আগে গত রোববার তিনজন ও সোমবার সকালে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। চারজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে জাফর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু’জনকে চারদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রিমান্ডকৃত আসামিরা হলো, মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থনার ইন্সপেক্টর আবদুল রাজ্জাক আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এর আগে সোমবার রাতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় নিহতের ভাগনে নাসির উদ্দিন অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, অতর্কিতভাবে ওই নারীকে স্কুলের অভিভাবক, উৎসুক জনতাসহ অনেকে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত।

জানা গেছে, নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। এরপর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তিনি এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ঘুরছিলেন। এ কারণেই তিনি বাড্ডার ওই স্কুলটিতে যান।