যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ট্যাংকার বিনিময়ের সম্ভাবনা নাকচ ইরানের

কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইরানের তেল ট্যাংকার বিনিময়ের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। লন্ডনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়িদিনেজাদ বলেন, ইরানে আটক ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার এবং জিব্রাল্টার প্রণালিতে আটক ইরানি সুপার তেল ট্যাংকার বিনিময় অসম্ভব। কারণ ব্রিটিশরা ইরানের তেলবাহী ট্যাংকারকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটক করেছে। আপরদিকে হরমুজ প্রণালিতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। কাজেই দুটি ভিন্ন কারণে আটক জাহাজের মধ্যে বিনিময় সম্ভব নয়।

ব্রিটিশ নৌবাহিনী গত ৪ জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালির আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলবাহী ইরানি ট্যাংকার ‘গ্রেস-ওয়ান’ আটক করে। ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে দাবি করে ব্রিটেন জানায়, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ওয়াশিংটনের অনুরোধে লন্ডন ওই এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পরবর্তীতে গত ১৯ জুলাই পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি অতিক্রমের সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’ জব্দ করে ইরান।

এ সম্পর্কে ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খাররাজির বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে দুই দেশের হাতে আটক ট্যাংকার বিনিময়ের প্রতি ইঙ্গিত করে। খাররাজি সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, ব্রিটিশরা তাদের হাতে অবৈধভাবে আটক ইরানি তেল ট্যাংকার ছেড়ে দেবে বলে তিনি আশা করছেন।

অন্যদিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ইরানের হাতে আটক ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারের মুক্তির পথও সুগম হবে।

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ট্যাংকার বিনিময়ের সম্ভাবনা নাকচ ইরানের

সংবাদ ডেস্ক

image

হামিদ বায়িদিনেজাদ

কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইরানের তেল ট্যাংকার বিনিময়ের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। লন্ডনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়িদিনেজাদ বলেন, ইরানে আটক ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার এবং জিব্রাল্টার প্রণালিতে আটক ইরানি সুপার তেল ট্যাংকার বিনিময় অসম্ভব। কারণ ব্রিটিশরা ইরানের তেলবাহী ট্যাংকারকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটক করেছে। আপরদিকে হরমুজ প্রণালিতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। কাজেই দুটি ভিন্ন কারণে আটক জাহাজের মধ্যে বিনিময় সম্ভব নয়।

ব্রিটিশ নৌবাহিনী গত ৪ জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালির আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলবাহী ইরানি ট্যাংকার ‘গ্রেস-ওয়ান’ আটক করে। ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে দাবি করে ব্রিটেন জানায়, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ওয়াশিংটনের অনুরোধে লন্ডন ওই এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পরবর্তীতে গত ১৯ জুলাই পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি অতিক্রমের সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’ জব্দ করে ইরান।

এ সম্পর্কে ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খাররাজির বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে দুই দেশের হাতে আটক ট্যাংকার বিনিময়ের প্রতি ইঙ্গিত করে। খাররাজি সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, ব্রিটিশরা তাদের হাতে অবৈধভাবে আটক ইরানি তেল ট্যাংকার ছেড়ে দেবে বলে তিনি আশা করছেন।

অন্যদিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ইরানের হাতে আটক ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারের মুক্তির পথও সুগম হবে।