হুমকিতে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ
মাধবদী,পাইকরচরের খিলগাঁও, মহিষাশুড়ার দরগা বাড়ি ফসলি জমি ছাড়াও সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত ইটভাটাসহ ইটভাটা স্থাপন করায় জনস্বাস্থ্য ও ফসল হুমকিতে পড়েছে। অপরদিকে ফসলের জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেয়ায় উর্বরতা বিনষ্ট হচ্ছে । চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশের ভারসাম্য। এ ব্যপারে নরসিংদীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি । নিয়মনীতি উপপেক্ষা করলে বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলে অথবা আবাদি জমিতে স্থাপিত কোন ইটভাটা থাকলে তা চলতে দেয়া হবেনা।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শাহজাহান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ অনুমতি না দিলে আমাদের অনুমতি দেয়া প্রশ্নই আসেনা। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমবিএ ইটভাটার একজন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন মাসে মাসে এসে নিয়মিত টাকা নিয়ে যায় তাই কোন জমির মালিক বা ট্রলি চলাচলের ড্রাইভাসন রাস্তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কোন অভিযোগ করলে তাদের কোন সমস্যা হয়না। আর এ জন্যই তারা কোন লাইসেন্স বা নিয়মনীতির প্রতি তোয়ক্কা না করে ফসলি জমি ধ্বংস করে পরিবেশ দূষণ করে বছরের পর বছর অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে চলেছে। এ ব্যাপারে খিলগাঁও বথুয়াদী, ও বর্দেরকান্দার বেশ কিছু জমির মালিক ও কৃষিজীবীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বেশ ক’বারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কথা বলার জন্য মেঘনা বাজারের এম ইচ বি ইটভার মালিক। আ. হাইকে পাওয়া যায়নি। ম্যানেজার সুমন জানান, এ বছর আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি এবং ট্রেড লাইসেন্স পাইনি।
জিবিসি ভাটার রতি দেবনাথ একই কথা বলেন। জেড বি বি ইটভাটার মালিক জাকাত ভুঁইয়া জানান, আমাদের সব কাগজ ঠিক আছে ইউপি চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দেননি এ জন্য উকিল নোটিশ করেও ফল হয়নি । এস টি সি’র মালিক কিরণ খাঁনকে পাওয়া যায়নি ম্যনেজার কামরুল বলেছেন, এ বছর আমরা স্থানীয় পারমিশন পাইনি।এমএএইচ, এস বিসি ভাটার মালিক আ.হাই ও সুমন একই কথা বলেছেন।এ ব্যাপারে পাইকারচর ইপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা এক দিকে পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে অন্যদিকে সরকারি টেক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে না এসে ট্রেড লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধভাবে ইট ভাটা চালাচ্ছে।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৩ পৌষ ১৪২৬, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪১
হুমকিতে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ
প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)
মাধবদী,পাইকরচরের খিলগাঁও, মহিষাশুড়ার দরগা বাড়ি ফসলি জমি ছাড়াও সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত ইটভাটাসহ ইটভাটা স্থাপন করায় জনস্বাস্থ্য ও ফসল হুমকিতে পড়েছে। অপরদিকে ফসলের জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেয়ায় উর্বরতা বিনষ্ট হচ্ছে । চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশের ভারসাম্য। এ ব্যপারে নরসিংদীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি । নিয়মনীতি উপপেক্ষা করলে বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলে অথবা আবাদি জমিতে স্থাপিত কোন ইটভাটা থাকলে তা চলতে দেয়া হবেনা।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শাহজাহান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ অনুমতি না দিলে আমাদের অনুমতি দেয়া প্রশ্নই আসেনা। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমবিএ ইটভাটার একজন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন মাসে মাসে এসে নিয়মিত টাকা নিয়ে যায় তাই কোন জমির মালিক বা ট্রলি চলাচলের ড্রাইভাসন রাস্তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কোন অভিযোগ করলে তাদের কোন সমস্যা হয়না। আর এ জন্যই তারা কোন লাইসেন্স বা নিয়মনীতির প্রতি তোয়ক্কা না করে ফসলি জমি ধ্বংস করে পরিবেশ দূষণ করে বছরের পর বছর অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে চলেছে। এ ব্যাপারে খিলগাঁও বথুয়াদী, ও বর্দেরকান্দার বেশ কিছু জমির মালিক ও কৃষিজীবীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বেশ ক’বারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কথা বলার জন্য মেঘনা বাজারের এম ইচ বি ইটভার মালিক। আ. হাইকে পাওয়া যায়নি। ম্যানেজার সুমন জানান, এ বছর আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি এবং ট্রেড লাইসেন্স পাইনি।
জিবিসি ভাটার রতি দেবনাথ একই কথা বলেন। জেড বি বি ইটভাটার মালিক জাকাত ভুঁইয়া জানান, আমাদের সব কাগজ ঠিক আছে ইউপি চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দেননি এ জন্য উকিল নোটিশ করেও ফল হয়নি । এস টি সি’র মালিক কিরণ খাঁনকে পাওয়া যায়নি ম্যনেজার কামরুল বলেছেন, এ বছর আমরা স্থানীয় পারমিশন পাইনি।এমএএইচ, এস বিসি ভাটার মালিক আ.হাই ও সুমন একই কথা বলেছেন।এ ব্যাপারে পাইকারচর ইপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা এক দিকে পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে অন্যদিকে সরকারি টেক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে না এসে ট্রেড লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধভাবে ইট ভাটা চালাচ্ছে।