থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সরগরম

দেশ বিদেশের পর্যটক ছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কক্সবাজারের গ্রাম পর্যায়েও এ ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় লোকজনও রুম বুকিং দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। থার্টি ফাস্ট কি জানে না এমন লোকজনও ওইদিন দর্শনীয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

অনেকেই ইতোমধ্যে কক্সবাজারে সপরিবারে অবস্থান করতে মনস্থির করেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার শহরে বসবাসরত আত্মীয় স্বজনকে আগাম জানিয়ে দিচ্ছেন ৩১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে অবস্থান করার বিষয়টি। এই দর্শনীয় দিনের বাকি আরো ৪ দিন হলেও ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকে ভরপুর হয়ে গেছে। পর্যটকরা এবার মহেশখালীর আদিনাথ, বৌদ্ধমন্দির ও সোনাদিয়া মূখী হয়ে পড়েছে। সকাল বেলায় মহেশখালী পার হওয়া যেন দুরহ ব্যাপার। ৬ নং জেটিঘাটে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের কর্মচারী জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন ইতোমধ্যে মহেশখালীতে পর্যটকের আগমন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ভাটার সময় জেটি দিয়ে যাতায়ত সমস্যা হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। চকরিয়ার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ৩১ তারিখ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাড়া করেছে স্থানীয় লোকজন। মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এতে সকল স্থরের মানুষের মাঝে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

রামুর ঈদগড়ের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টু জানিয়েছেন, ঈদগড় থেকেও বিপুল সংখ্যক লোক কক্সবাজার যাবে। গত বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের সময় এমন সাড়া না পড়লেও এবার ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের স্থান সংকুলন হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকায় মানুষের মাঝে আস্থা বেড়েছে। হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতা আবুল কাসেম সিকদার জানান, ইতোমধ্যে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটন এসেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাই নেই। যেদিকে তাকাই শুধু পর্যটক আর পর্যটক। এতে দীর্ঘদিন পর পর্যটন শিল্পে আশার সঞ্চার হয়েছে। আগত লোকজনের মধ্যে স্থানীয় লোকজনও রয়েছে।

আরও খবর
মাধবদীতে ফসলি জমিতে ইটভাটা
দুই জেলায় চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
তিন জেলায় মরদেহ উদ্ধার
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ড্রেসিং
পাথরঘাটায় নিরীহদের জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা
সুবর্ণচরের চরবাটা ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার
টঙ্গীতে চাকরি পেল ৬৮ প্রতিবন্ধী-দুস্থ
হিলি সীমান্তে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক
সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন রিমান্ডে
দুই জেএমবি সদস্য আটক
পিরোজপুরে ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেফতার ৪
হালুখালী নদীতে সেতু নির্মাণের খবরে উল্লাস
‘স্কুলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে’
চাঁপাইয়ে পুলিশ পরিচয়ে যুবককে অপহরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন সংগ্রহের লটারি
গাজীপুরে এবিটির ২ সদস্য আটক
ত্রিশালে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ঠাকুরগাঁওয়ের শীতার্তরা পাচ্ছে না সরকারি শীতবস্ত্র
সৈয়দপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কম্বল বিতরণে অনিয়ম
রাজিবপুর-রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতির তাণ্ডব
খুলনার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৩ পৌষ ১৪২৬, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪১

থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সরগরম

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

দেশ বিদেশের পর্যটক ছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কক্সবাজারের গ্রাম পর্যায়েও এ ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় লোকজনও রুম বুকিং দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। থার্টি ফাস্ট কি জানে না এমন লোকজনও ওইদিন দর্শনীয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

অনেকেই ইতোমধ্যে কক্সবাজারে সপরিবারে অবস্থান করতে মনস্থির করেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার শহরে বসবাসরত আত্মীয় স্বজনকে আগাম জানিয়ে দিচ্ছেন ৩১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে অবস্থান করার বিষয়টি। এই দর্শনীয় দিনের বাকি আরো ৪ দিন হলেও ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকে ভরপুর হয়ে গেছে। পর্যটকরা এবার মহেশখালীর আদিনাথ, বৌদ্ধমন্দির ও সোনাদিয়া মূখী হয়ে পড়েছে। সকাল বেলায় মহেশখালী পার হওয়া যেন দুরহ ব্যাপার। ৬ নং জেটিঘাটে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের কর্মচারী জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন ইতোমধ্যে মহেশখালীতে পর্যটকের আগমন রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ভাটার সময় জেটি দিয়ে যাতায়ত সমস্যা হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। চকরিয়ার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ৩১ তারিখ কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাড়া করেছে স্থানীয় লোকজন। মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এতে সকল স্থরের মানুষের মাঝে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

রামুর ঈদগড়ের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টু জানিয়েছেন, ঈদগড় থেকেও বিপুল সংখ্যক লোক কক্সবাজার যাবে। গত বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের সময় এমন সাড়া না পড়লেও এবার ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজারের স্থান সংকুলন হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকায় মানুষের মাঝে আস্থা বেড়েছে। হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতা আবুল কাসেম সিকদার জানান, ইতোমধ্যে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটন এসেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাই নেই। যেদিকে তাকাই শুধু পর্যটক আর পর্যটক। এতে দীর্ঘদিন পর পর্যটন শিল্পে আশার সঞ্চার হয়েছে। আগত লোকজনের মধ্যে স্থানীয় লোকজনও রয়েছে।