যশোরের কেশবপুর প্রেস ক্লাবের পাশে খোজাখালী খাল জবরদখল করে গোপাল সাহা নামের এক স্কুলশিক্ষক পাকাঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে বিলের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ফুঁসে উঠেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর পৌর এলাকার মধ্যকুল থেকে খোজাখালি নামের একটি খালের উৎপত্তি হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে শ্রীগঞ্জ বাজারের পাশে হরিহর নদীতে মিশেছে। এই খাল দিয়ে বিল বলধালী, টেপুর বিল, হাবাসপোল বিলসহ পূর্বাংশের ১০/১২ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এলাকার জনগণের দাবির মুখে গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই খাল খনন করলেও বিলগুলোতে এখনও পানি থৈ থৈ করছে। খনন কাজ এখনও শেষ হযনি বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে। এরপরও আসন্ন মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যে বিলসংলগ্ন এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
এদিকে, ১৫ দিন আগে থেকে শহরের সাহা পাড়ার প্রয়াত অমিত সাহার ছেলে ও কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোপাল সাহা কেশবপুর প্রেস ক্লাবের পাশে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাঠ গোলার পেছনের খোজাখালী খালের প্রায় অর্ধেক জবর দখল করে পাকা ও সেমিপাকা দুটি ঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। ঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা খোজাখালীর বুক থেকে ওই অবৈধ ঘর অপসারণের দায়ি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোপাল সাহা বলেন, আমার বাবা মারা যাবার আগে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গিয়েছিল। আমার জায়গায় আমি ঘর করেছি। কোনো সরকারি জায়গা দখল করা হয়নি।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গার পাশে ৫ থেকে ৭ ফুট রেখে ঘর করার কথা। বিষয়টি আমার জানা নেই। খাল দখল করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লা বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২০ , ২৫ পৌষ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুর প্রেস ক্লাবের পাশে খোজাখালী খাল জবরদখল করে গোপাল সাহা নামের এক স্কুলশিক্ষক পাকাঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে বিলের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ফুঁসে উঠেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর পৌর এলাকার মধ্যকুল থেকে খোজাখালি নামের একটি খালের উৎপত্তি হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে শ্রীগঞ্জ বাজারের পাশে হরিহর নদীতে মিশেছে। এই খাল দিয়ে বিল বলধালী, টেপুর বিল, হাবাসপোল বিলসহ পূর্বাংশের ১০/১২ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এলাকার জনগণের দাবির মুখে গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই খাল খনন করলেও বিলগুলোতে এখনও পানি থৈ থৈ করছে। খনন কাজ এখনও শেষ হযনি বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে। এরপরও আসন্ন মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যে বিলসংলগ্ন এলাকার কৃষকরা পানি নিষ্কাশনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
এদিকে, ১৫ দিন আগে থেকে শহরের সাহা পাড়ার প্রয়াত অমিত সাহার ছেলে ও কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোপাল সাহা কেশবপুর প্রেস ক্লাবের পাশে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাঠ গোলার পেছনের খোজাখালী খালের প্রায় অর্ধেক জবর দখল করে পাকা ও সেমিপাকা দুটি ঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। ঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা খোজাখালীর বুক থেকে ওই অবৈধ ঘর অপসারণের দায়ি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোপাল সাহা বলেন, আমার বাবা মারা যাবার আগে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গিয়েছিল। আমার জায়গায় আমি ঘর করেছি। কোনো সরকারি জায়গা দখল করা হয়নি।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গার পাশে ৫ থেকে ৭ ফুট রেখে ঘর করার কথা। বিষয়টি আমার জানা নেই। খাল দখল করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লা বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।