ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ হবে

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা, লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণ করা হবে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৩য় কার্যদিবসে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সদস্য বেগম শিরীন আখতারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রীর মো. নুরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এসব কথা জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে দক্ষিণ এশিয়া উপআঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার (সাসেক) রেল যোগাযোগ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের হালনাগাদ মাস্টারপ্ল্যান ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুমোদন করা হয়েছে। অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণসহ মোট ২০টি রেলপথ ও রেলসংযোগ নির্মাণ করা হবে।

প্রস্তাবিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৯৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৯৭৭ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ, ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার পুনর্বাসন, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেট, আইসিডি নির্মাণ, ওয়ার্কশপ, ১৬০টি লোকোমেটিভ, ১৮০৪ যাত্রীবাহী কোট সংগ্রহ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ ইক্যুইপমেন্টস সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নে রেলওয়ে শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

রেলওয়ের লিজ দেয়া ভূমি বেহাত হয়নি : সরকারি দলের সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলওয়ের লিজ দেয়া ভূমি বেহাত হয়নি। তবে কিছু কিছু লিজকৃত ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৪০৫ একর ৮৫ শতাংশ এবং বর্তমানে ভূমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ একর ৩৫ শতাংশ। বর্তমানে ৫৮ হাজার ৬০৬ একর ৫৭ শতাংশ ভূমি রেলের দখলে রয়েছে। ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গত ১৩ বছরে ভূমি লিজ দিয়ে রেলওয়ে ৪৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সংসদে প্রশ্নোত্তর

ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা, লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণ করা হবে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৩য় কার্যদিবসে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সদস্য বেগম শিরীন আখতারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রীর মো. নুরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এসব কথা জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে দক্ষিণ এশিয়া উপআঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার (সাসেক) রেল যোগাযোগ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের হালনাগাদ মাস্টারপ্ল্যান ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুমোদন করা হয়েছে। অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণসহ মোট ২০টি রেলপথ ও রেলসংযোগ নির্মাণ করা হবে।

প্রস্তাবিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৯৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৯৭৭ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ, ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার পুনর্বাসন, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেট, আইসিডি নির্মাণ, ওয়ার্কশপ, ১৬০টি লোকোমেটিভ, ১৮০৪ যাত্রীবাহী কোট সংগ্রহ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ ইক্যুইপমেন্টস সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নে রেলওয়ে শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

রেলওয়ের লিজ দেয়া ভূমি বেহাত হয়নি : সরকারি দলের সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলওয়ের লিজ দেয়া ভূমি বেহাত হয়নি। তবে কিছু কিছু লিজকৃত ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৪০৫ একর ৮৫ শতাংশ এবং বর্তমানে ভূমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ একর ৩৫ শতাংশ। বর্তমানে ৫৮ হাজার ৬০৬ একর ৫৭ শতাংশ ভূমি রেলের দখলে রয়েছে। ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গত ১৩ বছরে ভূমি লিজ দিয়ে রেলওয়ে ৪৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।