ধীরে ধীরে জমে ওঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। প্রথম দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থী কম থাকলেও দিন যত যাচ্ছে মেলা জমজমাট হচ্ছে। শুরুর দিকে বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে গতকাল বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে। আজকে পর মেলায় ক্রেতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

গতকাল বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, শুরুর দিকের চেয়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম বেশ ভালো। মাসব্যাপী এই মেলার মধ্যভাগে এসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন গত শুক্রবার ও শনিবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমে শেরেবাংলা নগরে মেলা প্রাঙ্গণে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পোশাকের সমাহারে মেলায় স্টল সাজিয়েছে ‘ড্রেসলাইন’। সেখানকার একজন বিক্রেতা জানান, গতকাল দর্শনার্থীর ভিড় বেশি ছিল। এত ভিড়ে বিক্রি অতটা ভালো হয়নি, কিন্তু কালকের চেয়ে আজকে বিক্রি বেশি হয়েছে। গতকাল তাদের স্টলে নতুন আটটি পোশাক এসেছে। এই রকম প্রতিদিনই স্টলে নতুন নতুন পণ্য আসতে থাকে।

মেলার মূল প্রবেশপথের বাঁ পাশে রয়েছে দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের স্টল। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বিভিন্ন হাড়ি পাতিল বিক্রি হচ্ছে এখানে। সেখানকার একজন কর্মী জানান, গত শনিবারের চেয়েও গতকাল ক্রেতার সংখ্যা বেশি। বিক্রিও খুব ভালো হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পোশাক, বিশেষ করে জ্যাকেট, ব্লেজার, শার্ট, প্যান্টের সংগ্রহ রয়েছে দেশি ব্র্যান্ড ‘সারা’র স্টলে। এই স্টলের একজন বিক্রেতাও বেশি বিক্রি হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের মতো অন্য কোন ব্র্যান্ড এত কম দামে পোশাক বিক্রি করে বলে মনে হয় না। আমাদের এখানে সর্বনিম্নে ৫০০ টাকার শার্টও পাওয়া যায়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের পোশাকের সংগ্রহই বেশি আছে বলেও জানান ‘সারা’-এর বিক্রয়কর্মী। আরমান নামে একজন দর্শনার্থী জানান, আগের চেয়েও এখন স্টলের সংখ্যা অনেক বেশি এবং বিক্রেতাদের সেবাও অনেকটাই ভালো। আগের বছরগুলোতে বিদেশি বিক্রেতারা অনেক লাভ করে গেছে মেলা থেকে। এবার সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে দেশি ব্যবসায়ীরা প্রচুর পণ্য বিক্রি করছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক।

মেলায় দেখা যায়, মেলায় বিভিন্ন স্টলে নানা রকম উপহার ও ছাড়ে পণ্য বিক্রি চলছে। ৪০৫ টাকা মূল্যের বসুন্ধরা নুডলস পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩২০ টাকায়। তা বাদেও এ প্যাকেজের সঙ্গে পাওয়া যাবে ৩টি গিফট। এর মধ্যে আছে একটি ঝুড়ি, একটি টিফিন বক্স আর একটি বাটি। মিনিস্টার ফ্রিজ কিনলে দেয়া হচ্ছে হরেক রকম উপহার, এর সঙ্গে থাকছে ভ্রমণ টিকিট।