আ’লীগ কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী পক্ষ মুখোমুখি

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলার অভিযোগ

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ি ও নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। হামলায় আওয়ামী লীগের কামারাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানের ৭ থেকে ৮ জন সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কামারাঙ্গীরচর থানা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসেন এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রাথী রতনের সমর্থকের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গতকাল ফের দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে থানায় লিখিতভাবে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যার বিরুদ্ধে দোষ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলামের একটি জনসভা ছিল। রাত সাড়ে ১১টায় ঘাটাইল এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর হিসেবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা সাইদুর রহমান রতনের সমর্থকরা তার পোস্টার লাগাতে যায়। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর হোসেনের (ঘুড়ি প্রতীক) লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থী রতনের লোকজনকে মারপিট করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর দ্ইু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ঘে কাউন্সিলল প্রার্থীদের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড় দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করেন। রাতের এ সংঘর্ষের জেরে গতকাল জুমার নামাজের পর বিকেল ৩টায় রতনের নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হোসেনের সমর্থকরা। এ ঘটনার পর থেকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুর রহমান রতন জানান, তিনি কামারাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমান কাউন্সিলর হোসেন এলাকায় বিতর্কিত। কাউন্সিলর হিসেবে সে এলাকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটাইল এলাকায় আমার সমর্থক ১০ থেকে ১২ জন পোস্টার লাগাতে গেলে রতনের নেতৃত্বে ১শ’ লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার লোকজনকে ঘেরাও করে বেধম মারধর করে। খবর পেয়ে আমি পুলিশকে জানাই। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে হোসেনের লোকজন বেশি দেখে ফিরে আসে। এরপর রাতে হোসেনের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বিকেল ৩টায় হোসেনের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনা ডেকেছে। কিন্তু তারা কোন মামলা নিতে চাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দক্ষিণের ৫৬নং ওয়ার্ড

আ’লীগ কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী পক্ষ মুখোমুখি

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলার অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ি ও নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। হামলায় আওয়ামী লীগের কামারাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানের ৭ থেকে ৮ জন সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কামারাঙ্গীরচর থানা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসেন এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রাথী রতনের সমর্থকের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গতকাল ফের দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে থানায় লিখিতভাবে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যার বিরুদ্ধে দোষ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলামের একটি জনসভা ছিল। রাত সাড়ে ১১টায় ঘাটাইল এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর হিসেবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা সাইদুর রহমান রতনের সমর্থকরা তার পোস্টার লাগাতে যায়। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর হোসেনের (ঘুড়ি প্রতীক) লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থী রতনের লোকজনকে মারপিট করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর দ্ইু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ঘে কাউন্সিলল প্রার্থীদের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড় দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা করেন। রাতের এ সংঘর্ষের জেরে গতকাল জুমার নামাজের পর বিকেল ৩টায় রতনের নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হোসেনের সমর্থকরা। এ ঘটনার পর থেকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুর রহমান রতন জানান, তিনি কামারাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমান কাউন্সিলর হোসেন এলাকায় বিতর্কিত। কাউন্সিলর হিসেবে সে এলাকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটাইল এলাকায় আমার সমর্থক ১০ থেকে ১২ জন পোস্টার লাগাতে গেলে রতনের নেতৃত্বে ১শ’ লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার লোকজনকে ঘেরাও করে বেধম মারধর করে। খবর পেয়ে আমি পুলিশকে জানাই। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে হোসেনের লোকজন বেশি দেখে ফিরে আসে। এরপর রাতে হোসেনের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বিকেল ৩টায় হোসেনের নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনা ডেকেছে। কিন্তু তারা কোন মামলা নিতে চাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।