ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত অ্যাডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে এক জনসচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় অ্যাডিস মশার উৎপত্তিস্থল, বংশ বিস্তার, রোগ-জীবাণু বহন, মানুষকে আক্রান্ত করাসহ বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১২৬ দেশে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫০ কোটির অধিক মানুষ বা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ দেশের মধ্যে ১০টিতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের রেকর্ড থাকলেও গত আগস্টে ছিল এযাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ওই মাসে সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড হয়, যার অধিকাংশই ছিল রাজধানীতে। তবে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরও একই সময়ে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমরা খুঁজে বের করেছি কোথায় কোথায় অ্যাডিস মশা প্রজনন করে, কোথায় এদের ঘনত্ব বেশি, কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়।

সভায় জানানো হয়, ডিএনসিসি মশক নিধন কার্যক্রম আরও বেগবান করতে এরই মধ্যে ২০০টি ফগার মেশিন, ২৩৮টি পালস ফগ মেশিন, ১৫০টি হার্টসন হস্তচালিত মেশিন, ৩৪০টি প্লাস্টিক হস্তচালিত মেশিন, দুটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন, ১০টি মোটরসাইকেল ফগার ও হস্তচালিত মেশিন, ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার/পাওয়ার স্প্রে মেশিন ক্রয়পূর্বক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন ক্রয় করার পরিকল্পনা আছে।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়েকের সভাপতিত্বে সভায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, মোহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস, আবেদ আলীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত অ্যাডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে এক জনসচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় অ্যাডিস মশার উৎপত্তিস্থল, বংশ বিস্তার, রোগ-জীবাণু বহন, মানুষকে আক্রান্ত করাসহ বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১২৬ দেশে ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫০ কোটির অধিক মানুষ বা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ দেশের মধ্যে ১০টিতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের রেকর্ড থাকলেও গত আগস্টে ছিল এযাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ওই মাসে সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড হয়, যার অধিকাংশই ছিল রাজধানীতে। তবে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরও একই সময়ে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমরা খুঁজে বের করেছি কোথায় কোথায় অ্যাডিস মশা প্রজনন করে, কোথায় এদের ঘনত্ব বেশি, কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়।

সভায় জানানো হয়, ডিএনসিসি মশক নিধন কার্যক্রম আরও বেগবান করতে এরই মধ্যে ২০০টি ফগার মেশিন, ২৩৮টি পালস ফগ মেশিন, ১৫০টি হার্টসন হস্তচালিত মেশিন, ৩৪০টি প্লাস্টিক হস্তচালিত মেশিন, দুটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন, ১০টি মোটরসাইকেল ফগার ও হস্তচালিত মেশিন, ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার/পাওয়ার স্প্রে মেশিন ক্রয়পূর্বক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন ক্রয় করার পরিকল্পনা আছে।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়েকের সভাপতিত্বে সভায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, মোহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস, আবেদ আলীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।