মৎস্যজীবী লীগের মৎস্য অফিসে হামলা ভাঙচুর

কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম

মৎস্যজীবী লীগ নেতা সূধীর চন্দ্র জীবনকে অতিথি না করে মৎস্যজীবীদের মাঝে জাল বিতরণ করায় দলবলসহ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত উপজেলা মৎস্য অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর এবং উপজেলা মৎস্য অফিসার খালেদ মোশারফকে গুরতর আহত করেছে। আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা মৎস্য অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নেতা মিঠাপুকুর উপজেলার বড়হজরতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একজন প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতার একান্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও মৎস্য কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, মৎস্যজীবীদের জন্য জাল বিতরণ করার জন্য সম্প্রতি হওয়া অনুষ্ঠানে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি সুধীর চন্দ জীবনকে অতিথি না করায় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুধির চন্দ্রের নেতৃত্বে ৬/৭ জন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করে। মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশারফের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠি দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে অফিসের লোকজন মৎস্য কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাইসি শারমিন কানন জানান, মৎস্য কর্মকর্তার মাথায় আঘাত পেয়েছে সিটি স্ক্যান করে রিপোর্ট পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূঁইয়া জানান প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করা ও অফিসের মালামাল ভাঙচুর করার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে বলে জানান। এদিকে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আকস্মিকভাবে অফিসে ঢুকে মৎস্য কর্মকর্তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হলো, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হলো এ সময় তাকে রক্ষা করতে অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মৎস্যজীবীরা হামলা করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেছে। তিনি রংপুরে একটি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মৎস্যজীবী লীগ নেতা সুধীর চন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জাল বিতরণে নেতাকে অতিথি না করায়

মৎস্যজীবী লীগের মৎস্য অফিসে হামলা ভাঙচুর

কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

মৎস্যজীবী লীগ নেতা সূধীর চন্দ্র জীবনকে অতিথি না করে মৎস্যজীবীদের মাঝে জাল বিতরণ করায় দলবলসহ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত উপজেলা মৎস্য অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর এবং উপজেলা মৎস্য অফিসার খালেদ মোশারফকে গুরতর আহত করেছে। আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা মৎস্য অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নেতা মিঠাপুকুর উপজেলার বড়হজরতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একজন প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ নেতার একান্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও মৎস্য কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, মৎস্যজীবীদের জন্য জাল বিতরণ করার জন্য সম্প্রতি হওয়া অনুষ্ঠানে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি সুধীর চন্দ জীবনকে অতিথি না করায় গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুধির চন্দ্রের নেতৃত্বে ৬/৭ জন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করে। মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশারফের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠি দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে অফিসের লোকজন মৎস্য কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাইসি শারমিন কানন জানান, মৎস্য কর্মকর্তার মাথায় আঘাত পেয়েছে সিটি স্ক্যান করে রিপোর্ট পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূঁইয়া জানান প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করা ও অফিসের মালামাল ভাঙচুর করার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে বলে জানান। এদিকে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আকস্মিকভাবে অফিসে ঢুকে মৎস্য কর্মকর্তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হলো, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হলো এ সময় তাকে রক্ষা করতে অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মৎস্যজীবীরা হামলা করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেছে। তিনি রংপুরে একটি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মৎস্যজীবী লীগ নেতা সুধীর চন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।