পুরানা পল্টনে কারখানা পরিদর্শন কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকদের অবস্থান

সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধ করে দেয়া গার্মেন্ট কারখানা টেন্ডি আউটওয়্যার লি.-এর ৫ শতাধিক শ্রমিক বকেয়া ৩ মাসের বেতনের দাবিকে রাজধানীর পুরানাপল্টন রোডে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৫ শতাধিক শ্রমিক এ অবস্থান নেয়। রাত ৮ পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

আন্দোলকারী শ্রমিক কাটার ম্যান নজরুলসহ শ্রমিকরা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় ২০১৭ সালে টেন্ডি আউটওয়্যার লি. নামে এ কারখানায় প্রায় ১২ শতাধিক শ্রমিক কাজ করত। কারখানাটিতে বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট তৈরি হতো। শুরুতে কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত থাকলেও হঠাৎ করে বিভিন্ন টালবাহনা শুরু করে মালিক। মূল মালিক ব্যারিস্টার কবির শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়মিত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরওয়ার নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয় শ্রম অধিদফতর এবং বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রথম ৬ মাস ভালো চললেও ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর নভেম্বর মাসে বেতন দিলেও ডিসেম্বর মাসে বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরমধ্যে অবৈধভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। বর্তমানে কর্তব্যরত ৫ শতাধিক শ্রমিককে কিছু না জানিয়ে গত জানুযারি মাসের ২২ তারিখে আকস্মিক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। শ্রমিকরা জানুয়ারি মাসসহ বকেয়া ৩ মাসের বেতন দাবি করলে মালিকপক্ষ নানা টালবাহানা শুরু করে। এরপর অবৈধভাবে কারখানা বন্ধ, এবং শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা কারাখানার সামনে আন্দোলন শুরু করে। এ অবস্থায় গত ২ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিকে বিজিএমইএর কার্যালয়ে গেলে তারা কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে মালিক পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু এখন এসে শ্রম অধিদফতর বলছে এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। সবকিছু বিজিএমইএ জানে। অপরদিক বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে বিষয়টি কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সমাধান করবে।

এদিকে নির্ধারিত তারিখে মালিক পক্ষের কেউ আসেনি এবং বকেয়া পরিশোধের বিষয়েও কথা বলেনি। তাই শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে। তাদের দাবি ৫ শতাধিক শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক। তা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বকেয়া বেতনের দাবিতে

পুরানা পল্টনে কারখানা পরিদর্শন কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকদের অবস্থান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধ করে দেয়া গার্মেন্ট কারখানা টেন্ডি আউটওয়্যার লি.-এর ৫ শতাধিক শ্রমিক বকেয়া ৩ মাসের বেতনের দাবিকে রাজধানীর পুরানাপল্টন রোডে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৫ শতাধিক শ্রমিক এ অবস্থান নেয়। রাত ৮ পর্যন্ত শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

আন্দোলকারী শ্রমিক কাটার ম্যান নজরুলসহ শ্রমিকরা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় ২০১৭ সালে টেন্ডি আউটওয়্যার লি. নামে এ কারখানায় প্রায় ১২ শতাধিক শ্রমিক কাজ করত। কারখানাটিতে বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট তৈরি হতো। শুরুতে কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত থাকলেও হঠাৎ করে বিভিন্ন টালবাহনা শুরু করে মালিক। মূল মালিক ব্যারিস্টার কবির শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়মিত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরওয়ার নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয় শ্রম অধিদফতর এবং বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রথম ৬ মাস ভালো চললেও ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর নভেম্বর মাসে বেতন দিলেও ডিসেম্বর মাসে বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরমধ্যে অবৈধভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। বর্তমানে কর্তব্যরত ৫ শতাধিক শ্রমিককে কিছু না জানিয়ে গত জানুযারি মাসের ২২ তারিখে আকস্মিক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। শ্রমিকরা জানুয়ারি মাসসহ বকেয়া ৩ মাসের বেতন দাবি করলে মালিকপক্ষ নানা টালবাহানা শুরু করে। এরপর অবৈধভাবে কারখানা বন্ধ, এবং শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা কারাখানার সামনে আন্দোলন শুরু করে। এ অবস্থায় গত ২ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিকে বিজিএমইএর কার্যালয়ে গেলে তারা কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে মালিক পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু এখন এসে শ্রম অধিদফতর বলছে এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। সবকিছু বিজিএমইএ জানে। অপরদিক বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলছে বিষয়টি কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সমাধান করবে।

এদিকে নির্ধারিত তারিখে মালিক পক্ষের কেউ আসেনি এবং বকেয়া পরিশোধের বিষয়েও কথা বলেনি। তাই শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে। তাদের দাবি ৫ শতাধিক শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক। তা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।