বাংলাদেশের নীতি আগের অবস্থানেই আছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আমাদের (বাংলাদেশের) নীতি আজও বলবৎ রয়েছে। ওআইসির সভাতেও আমাদের নীতির পক্ষে কথা বলেছি। ফলে এনিয়ে সন্দেহের কোন কারণ নেই। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ২৪তম কার্যদিবসে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন প্যালেস্টাইন নিয়ে বাংলাদেশের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটা পরিকল্পনা করেছে, যা পালেস্টাইনিদের ওপর আঘাত আসতে পারে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পালেস্টাইনের পক্ষে হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। এটা কী ট্রাম্প প্রীতির কারণেই নিশ্চুপ কি-না, এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জাতি জানতে চায়। মেনন আরও বলেন, পালেস্টাইন সমস্যা দীর্ঘ দিনের। পালেস্টাইন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে পালেস্টাইনিদের সংগ্রামে সমর্থন করা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের নেতানিয়াহুকে সামনে নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যা সমস্যা সমাধানের চুক্তি সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে সমস্ত পালেস্টাইনকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিকল্পনার মধ্যে যেটুক প্যালেস্টাইনের জমি রয়েছে সেটি হচ্ছে পুরনো প্যালেস্টাইনের মাত্র ১২ শতাংশ। তাও এটাকে বিক্ষিপ্তভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে তাদের যোগাযোগ অব্যহত রাখতে হবে। ওই পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, প্যালেস্টাইনের সমাধানের ক্ষেত্রে প্যালেস্টাইনে কোন আর্মি থাকতে পারবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিরস্ত্র করতে হবে। এই প্যালেস্টাইনের পক্ষে বাংলাদেশ সব সময় দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের রজতজয়ন্তী উৎসবে যে তিন বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছিলেন পালেস্টাইন নেতা ইয়াসির আরাফাত। অথচ অবাক হচ্ছি ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন শব্দ নেই, একটি শব্দও তারা উচ্চারণ করে নাই।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ চিরকাল প্যালেস্টাইনের পক্ষে। প্যালেস্টাইনের জনগণ ওই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখান করেছে, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রত্যাখান করেছে, ওআইসি প্রত্যাখান করেছে, তারপরেও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে নিশ্চুপ। এটা কী ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেবের ভয়ে কি না, আমার জানা নেই। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক’দিন পর ভারত যাবেন, সেখানে মোদির সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সেখানে বাংলাদেশে কোন অবস্থানে থাকবে? এটা কোন ধরনের পররাষ্ট্র নীতি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করছি।

এ সময় নিজ আসনে দাঁড়িয়ে জবাব দিতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানতে চান মন্ত্রী ৩০০ ধারায় বিবৃতি দিতে চান কী না? ফ্লোর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু এটুকু বলেন, প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আমাদের (বাংলাদেশের) নীতি আজও বলবৎ রয়েছে। ফলে এনিয়ে সন্দেহের কোন কারণ নেই।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১ ফল্গুন ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল সানি ১৪৪১

প্যালেস্টাইনকে নিয়ে মেননের উদ্বেগ

বাংলাদেশের নীতি আগের অবস্থানেই আছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আমাদের (বাংলাদেশের) নীতি আজও বলবৎ রয়েছে। ওআইসির সভাতেও আমাদের নীতির পক্ষে কথা বলেছি। ফলে এনিয়ে সন্দেহের কোন কারণ নেই। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ২৪তম কার্যদিবসে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন প্যালেস্টাইন নিয়ে বাংলাদেশের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটা পরিকল্পনা করেছে, যা পালেস্টাইনিদের ওপর আঘাত আসতে পারে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পালেস্টাইনের পক্ষে হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। এটা কী ট্রাম্প প্রীতির কারণেই নিশ্চুপ কি-না, এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জাতি জানতে চায়। মেনন আরও বলেন, পালেস্টাইন সমস্যা দীর্ঘ দিনের। পালেস্টাইন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে পালেস্টাইনিদের সংগ্রামে সমর্থন করা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের নেতানিয়াহুকে সামনে নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যা সমস্যা সমাধানের চুক্তি সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে সমস্ত পালেস্টাইনকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিকল্পনার মধ্যে যেটুক প্যালেস্টাইনের জমি রয়েছে সেটি হচ্ছে পুরনো প্যালেস্টাইনের মাত্র ১২ শতাংশ। তাও এটাকে বিক্ষিপ্তভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে তাদের যোগাযোগ অব্যহত রাখতে হবে। ওই পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, প্যালেস্টাইনের সমাধানের ক্ষেত্রে প্যালেস্টাইনে কোন আর্মি থাকতে পারবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিরস্ত্র করতে হবে। এই প্যালেস্টাইনের পক্ষে বাংলাদেশ সব সময় দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের রজতজয়ন্তী উৎসবে যে তিন বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছিলেন পালেস্টাইন নেতা ইয়াসির আরাফাত। অথচ অবাক হচ্ছি ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন শব্দ নেই, একটি শব্দও তারা উচ্চারণ করে নাই।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ চিরকাল প্যালেস্টাইনের পক্ষে। প্যালেস্টাইনের জনগণ ওই পরিকল্পনাকে প্রত্যাখান করেছে, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রত্যাখান করেছে, ওআইসি প্রত্যাখান করেছে, তারপরেও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে নিশ্চুপ। এটা কী ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেবের ভয়ে কি না, আমার জানা নেই। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক’দিন পর ভারত যাবেন, সেখানে মোদির সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সেখানে বাংলাদেশে কোন অবস্থানে থাকবে? এটা কোন ধরনের পররাষ্ট্র নীতি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করছি।

এ সময় নিজ আসনে দাঁড়িয়ে জবাব দিতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানতে চান মন্ত্রী ৩০০ ধারায় বিবৃতি দিতে চান কী না? ফ্লোর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু এটুকু বলেন, প্যালেস্টাইন সম্পর্কে আমাদের (বাংলাদেশের) নীতি আজও বলবৎ রয়েছে। ফলে এনিয়ে সন্দেহের কোন কারণ নেই।