বাংলাদেশে প্রবেশকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের সসম্মানে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে এবং রাখাইন অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের উদ্যোগে গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু। মানববন্ধনে শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাসহ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান, সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. শাহাদাত হোসেন, অ্যাড. এসএম সবুর, মমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন, নাজমুল হক প্রধান, সম্পাদকম-লীর সদস্য অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী, আসলাম খান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধন কর্মসূচিতে শান্তি পরিষদের নেতারা বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের মধ্য দিয়ে নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে। কিন্তু এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার এখনও হয়নি। প্রাণভয়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশের ওপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যা বাংলাদেশের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এছাড়া এর ফলে বাংলাদেশের ওপর এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সসম্মানে দ্রুত তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক আদালতও তাদের সাম্প্রতিক রায়ে মায়ানমার সরকারকে বলেছেন, তারা যেন ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেখানে আর কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত না করে। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন শান্তি পরিষদের নেতারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের মতো প্যালেস্টাইনের নিরীহ জনগণও আজ হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনার নামে আবার নতুন করে প্যালেস্টাইন পরিস্থিতি জটিল করে তোলা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদী অপশক্তি কার্যত এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে প্যালেস্টাইনকে মুছে দিতে চাইছে। বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণ এই চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং প্যালেস্টাইনের বীর জনতার মতো সংগ্রামের প্রতি আবারও সংহতি জ্ঞাপন করছে। একই সাথে নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে প্যালেস্টাইনের মতো সংগ্রামের প্রতি আবারও আনুষ্ঠানিক সমর্থন এবং সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বাংলাদেশে প্রবেশকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের সসম্মানে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে এবং রাখাইন অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের উদ্যোগে গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু। মানববন্ধনে শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাসহ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান, সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. শাহাদাত হোসেন, অ্যাড. এসএম সবুর, মমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন, নাজমুল হক প্রধান, সম্পাদকম-লীর সদস্য অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী, আসলাম খান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানববন্ধন কর্মসূচিতে শান্তি পরিষদের নেতারা বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের মধ্য দিয়ে নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিচালিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে। কিন্তু এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার এখনও হয়নি। প্রাণভয়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আজ বাংলাদেশের ওপর বিরাট অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যা বাংলাদেশের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এছাড়া এর ফলে বাংলাদেশের ওপর এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সসম্মানে দ্রুত তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক আদালতও তাদের সাম্প্রতিক রায়ে মায়ানমার সরকারকে বলেছেন, তারা যেন ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেখানে আর কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত না করে। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন শান্তি পরিষদের নেতারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের মতো প্যালেস্টাইনের নিরীহ জনগণও আজ হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনার নামে আবার নতুন করে প্যালেস্টাইন পরিস্থিতি জটিল করে তোলা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদী অপশক্তি কার্যত এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে প্যালেস্টাইনকে মুছে দিতে চাইছে। বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণ এই চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং প্যালেস্টাইনের বীর জনতার মতো সংগ্রামের প্রতি আবারও সংহতি জ্ঞাপন করছে। একই সাথে নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে প্যালেস্টাইনের মতো সংগ্রামের প্রতি আবারও আনুষ্ঠানিক সমর্থন এবং সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।