প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালী প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। এই সড়কে অ্যাম্বুলেন্সযোগে যাতায়াতকারী গর্ভবতীসহ বিভিন্ন রোগীর চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ সড়কে প্রতিদিন পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য যানবাহন ও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে । দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই! জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগ সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শুরু হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা-বাঁশখালীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বাঁশখালী অংশটি তৈলারদ্বীপ সেতু থেকে টৈটং পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করলেও বাকী অংশটুকুতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত ভরাটের জন্য সড়ক বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ চালালেও কার্পেটিং উঠে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘী থেকে জলদী পর্যন্ত সড়কের জ্বরাজীর্ণ অংশে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ স্থায়ীভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুকুরিয়ার এক্কাইত্যা পুকুর পাড়, সাধনপুরের বাণীগ্রাম বাজার ও সোনার টিলা, কালীপুর ছফিরের দোকান, বৈলছড়ি বাজারের উত্তরাংশ, সরলের পাইরাং ও দেলাইয়ার দোকান, পৌরসভার উত্তর জলদী ও দক্ষিণ জলদী, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বলের সিকদার দোকান থেকে শেখেরখীল রাস্তার মাথা পর্যন্ত ও পুইছড়ির প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজারের উত্তরাংশে সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর। এসব স্থানের কিছু কিছু গর্ত ভরাট কার্যক্রম চালাচ্ছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে সেই গর্ত ভরাট কার্যক্রমও চলছে অনেকটা ঝিমিয়ে। সিমেন্ট, রড ও মাটি বোঝাই অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে এ সড়কটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালী প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। এই সড়কে অ্যাম্বুলেন্সযোগে যাতায়াতকারী গর্ভবতীসহ বিভিন্ন রোগীর চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ সড়কে প্রতিদিন পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য যানবাহন ও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে । দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই! জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগ সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শুরু হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা-বাঁশখালীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বাঁশখালী অংশটি তৈলারদ্বীপ সেতু থেকে টৈটং পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করলেও বাকী অংশটুকুতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত ভরাটের জন্য সড়ক বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ চালালেও কার্পেটিং উঠে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘী থেকে জলদী পর্যন্ত সড়কের জ্বরাজীর্ণ অংশে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ স্থায়ীভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুকুরিয়ার এক্কাইত্যা পুকুর পাড়, সাধনপুরের বাণীগ্রাম বাজার ও সোনার টিলা, কালীপুর ছফিরের দোকান, বৈলছড়ি বাজারের উত্তরাংশ, সরলের পাইরাং ও দেলাইয়ার দোকান, পৌরসভার উত্তর জলদী ও দক্ষিণ জলদী, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বলের সিকদার দোকান থেকে শেখেরখীল রাস্তার মাথা পর্যন্ত ও পুইছড়ির প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজারের উত্তরাংশে সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর। এসব স্থানের কিছু কিছু গর্ত ভরাট কার্যক্রম চালাচ্ছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে সেই গর্ত ভরাট কার্যক্রমও চলছে অনেকটা ঝিমিয়ে। সিমেন্ট, রড ও মাটি বোঝাই অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে এ সড়কটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে।