বনায়নের নামে চলছে হরিলুট

[মিশ্র চিরহরিৎ বন লাউয়াছড়া মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের নিকটবর্তী এই বর্ষারণ্য বিরল প্রজাতির উল্লুক, গিবনের যেমন বিচরণ ক্ষেত্র, তেমনি নানা জাতের বৃক্ষ, গুল্ম আর জীব-অনুজীবেরও আবাসস্থল। ‘সংবাদ’এর নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ঘুরে এসে জানাচ্ছেন লাউয়াছড়ার বর্তমান অবস্থা। তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের শেষ পর্ব প্রকাশিত হলো আজ।]

লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে শুধু বনই উজাড় হচ্ছে না, একদিকে যেমন বন্যপ্রাণীকূল বনছাড়া হচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক বনায়নের নামে চলছে হরিলুট। ‘বেড়ায় ক্ষেত খায়’ কিংবা ‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ থাকার মতো বন রক্ষার নামে নেয়া বনবিভাগের নানা কর্মসূচি লাউয়াছড়া বনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরজমিনে লাউয়াছড়া বনাঞ্চল ঘুরে, স্থানীয় জনসাধারণ আর লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বনসংলগ্ন গ্রামগুলোর দরিদ্র মানুষেরা বন উজার করে এমন ধারণা বিবেচনায় নিয়ে বনবিভাগ ১৯৯৬ সালে ২৭৮০ হেক্টর আয়তনের বনটির ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান’ ঘোষণা করে। কালাছড়া ও চাউতলি বিটের অধীন বনের অবশিষ্ঠ ১৫৩০ হেক্টর জায়গা সামাজিক বনায়নের আওতায় বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল মানুষদের বরাদ্দ দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেয়। বনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য গঠন করে হরেক রকম কমিটি। জাতীয় উদ্যান দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক পাবে সরকার। আর বাকি অর্থ কমিটি মারফত খরচ হবে বন ব্যবস্থাপনায়। বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল মানুষেরা সামাজিক বনায়নের আওতায় জায়গা বরাদ্দ পেলে বনও উজার হবে না, বন্যপ্রাণীরাও বিচরণ করবে স্বাচ্ছন্দে। কিন্তু দুই যুগ না পেরুতেই বনবিভাগের এই কর্মসূচির ফল হয়েছে উল্টো। সামাজিক বনায়নের আওতায় বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল বনজীবীদের জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দকৃত জায়গার নব্বই ভাগই বরাদ্দ পেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ব্যাক্তিরা; যাদের অনেকে বিত্তবান ও প্রভাবশালী। বরাদ্দ প্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। কেউ অসচ্ছল ব্যক্তির নামে বরাদ্দ নিয়েছেন, কেউ বরাদ্দ নিয়েছেন স্বনামেই। অনৈতিক লেনদেন ছাড়া এমন গুরুতর অনিয়ম হতে পারে না বলে জানান লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান।

শুধু সামাজিক বনায়নের জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম নয়, বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে বরাদ্দপ্রাপ্তরা বনের বিপুল পরিমাণ জায়গায় অমূল্য বনজ সম্পদ ধ্বংস করেছে। রোপণ করেছে শুধু ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়া গাছ। বনভূমির বাস্তুসংস্থান, জীববৈচিত্র কিংবা বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও তার খাদ্যের কথা বিবেচনায় রাখা হয়নি। এই প্রতিবেদক নিজেও চাউতলি বীটে বৃক্ষ কর্তনের এক মহাযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা শ্রমিকেরা ট্রাক দিয়ে গাছ নেয়ার জন্য দীর্ঘ ও প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করেছে ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করে। উঁচু উঁচু টিলাতে বড় বড় করাত দিয়ে একদিকে গাছ কাটা চলছে, তেমনি হাতি দিয়ে কাটা গাছ নামানো হচ্ছে নিচে। এমন হুলুস্থুলের মধ্যে বন্যপ্রাণীকূল নিরাপদে বিচরণ করতে পারার কথা নয়, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শামসুল হক। বরাদ্দপ্রাপ্তরা বরাদ্দের মেয়াদ শেষে শুধু তাদের রোপণ করা গাছ কেটে নেয়ার কথা থাকলেও এমন দেশি গাছও কাটার জন্য চিহ্নিত করা আছে যা তারা রোপণও করেনি। তাদের কাটার কথাও নয়। এই চিহিৃতকরণের কাজটি করেছে বনবিভাগের লোকেরাই। তবে লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলন নামের সংগঠনটি কাটার জন্য দেশি গাছ চিহ্নিতকরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করলে বনবিভাগ ওই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে।

বরাদ্দ দেয়া বনভূমিতে বন্যপ্রাণীর বিষয়টি বিবেচনায় না রেখে শুধুই ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়া গাছ লাগানোর ব্যাপারে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে গাছ লাগিয়ে তা কেটে দুটো পয়সার মুখ দেখতে হলে বরাদ্দপ্রাপ্তদের ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়াই লাগাতে হবে। তবে আগামীতে বরাদ্দকৃত জায়গার ২৫ ভাগে বন্যপ্রাণীর উপযোগী বৃক্ষ রোপণের বিধান রাখা হবে’। বনসংলগ্ন গ্রামের হতদরিদ্র মানুষেরা বরাদ্দ না পেয়ে সচ্ছল ও প্রভাবশালীদের বরাদ্দ পাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দপ্রাপ্তদের নামের তালিকায় যেখানে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম আছে সেখানে এই অভিযোগ আমি অস্বীকার করব কিভাবে, তবে এইসব ভূল অতীতে হয়েছে, আগামী দিনে হবে না।’

বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার নামে বনের এক অংশকে পার্ক বানানো ও বাকি অংশকে সামাজিক বনায়নের আওতায় বরাদ্দ দেয়াকে ‘সর্বনাশা পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে গবেষক পাভেল পার্থ জানান, লাউয়াছড়ার মতো বর্ষারণ্যের বিনাশ কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। বনের জন্য ভালো কিছু করতে হলে বন বিভাগের উচিত বনের মর্ম বোঝার চেষ্টা করা। বনে কোন তস্করের হাত পড়বে না, শুধু এইটুকু নিশ্চিত করা গেলেই প্রকৃতি তার আপন ঐশ্বর্যে লাউয়াছড়াকে সাজিয়ে দেবে।

আরও খবর
উৎপাদনে এগিয়ে সঞ্চালনে পিছিয়ে
নদীতীরের ১১৩ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করা হবে নৌপ্রতিমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশির অবস্থা আশঙ্কাজনক
ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার পুনর্বিবেচনার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে
দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত
ঘনিয়ে আসছে মামলার রায়ের দিন
খালেদার জামিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে নয় : কাদের
কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে আগের মতোই
নিহত ৬৭ জনের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত
চাকরি ৯৭৭ দিন, ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ৭৫০ দিন
গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
অমর একুশ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন
ক্ষণগণনা : আর ২৫ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

লাউয়াছড়া-শেষ পর্ব

বনায়নের নামে চলছে হরিলুট

কাজী শাহীদুল ইসলাম মৌলভীবাজার থেকে ফিরে

[মিশ্র চিরহরিৎ বন লাউয়াছড়া মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের নিকটবর্তী এই বর্ষারণ্য বিরল প্রজাতির উল্লুক, গিবনের যেমন বিচরণ ক্ষেত্র, তেমনি নানা জাতের বৃক্ষ, গুল্ম আর জীব-অনুজীবেরও আবাসস্থল। ‘সংবাদ’এর নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ঘুরে এসে জানাচ্ছেন লাউয়াছড়ার বর্তমান অবস্থা। তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের শেষ পর্ব প্রকাশিত হলো আজ।]

লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে শুধু বনই উজাড় হচ্ছে না, একদিকে যেমন বন্যপ্রাণীকূল বনছাড়া হচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক বনায়নের নামে চলছে হরিলুট। ‘বেড়ায় ক্ষেত খায়’ কিংবা ‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ থাকার মতো বন রক্ষার নামে নেয়া বনবিভাগের নানা কর্মসূচি লাউয়াছড়া বনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরজমিনে লাউয়াছড়া বনাঞ্চল ঘুরে, স্থানীয় জনসাধারণ আর লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বনসংলগ্ন গ্রামগুলোর দরিদ্র মানুষেরা বন উজার করে এমন ধারণা বিবেচনায় নিয়ে বনবিভাগ ১৯৯৬ সালে ২৭৮০ হেক্টর আয়তনের বনটির ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান’ ঘোষণা করে। কালাছড়া ও চাউতলি বিটের অধীন বনের অবশিষ্ঠ ১৫৩০ হেক্টর জায়গা সামাজিক বনায়নের আওতায় বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল মানুষদের বরাদ্দ দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেয়। বনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য গঠন করে হরেক রকম কমিটি। জাতীয় উদ্যান দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক পাবে সরকার। আর বাকি অর্থ কমিটি মারফত খরচ হবে বন ব্যবস্থাপনায়। বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল মানুষেরা সামাজিক বনায়নের আওতায় জায়গা বরাদ্দ পেলে বনও উজার হবে না, বন্যপ্রাণীরাও বিচরণ করবে স্বাচ্ছন্দে। কিন্তু দুই যুগ না পেরুতেই বনবিভাগের এই কর্মসূচির ফল হয়েছে উল্টো। সামাজিক বনায়নের আওতায় বনসংলগ্ন গ্রামের অসচ্ছল বনজীবীদের জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দকৃত জায়গার নব্বই ভাগই বরাদ্দ পেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ব্যাক্তিরা; যাদের অনেকে বিত্তবান ও প্রভাবশালী। বরাদ্দ প্রাপ্তদের মধ্যে শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। কেউ অসচ্ছল ব্যক্তির নামে বরাদ্দ নিয়েছেন, কেউ বরাদ্দ নিয়েছেন স্বনামেই। অনৈতিক লেনদেন ছাড়া এমন গুরুতর অনিয়ম হতে পারে না বলে জানান লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান।

শুধু সামাজিক বনায়নের জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম নয়, বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে বরাদ্দপ্রাপ্তরা বনের বিপুল পরিমাণ জায়গায় অমূল্য বনজ সম্পদ ধ্বংস করেছে। রোপণ করেছে শুধু ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়া গাছ। বনভূমির বাস্তুসংস্থান, জীববৈচিত্র কিংবা বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও তার খাদ্যের কথা বিবেচনায় রাখা হয়নি। এই প্রতিবেদক নিজেও চাউতলি বীটে বৃক্ষ কর্তনের এক মহাযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা শ্রমিকেরা ট্রাক দিয়ে গাছ নেয়ার জন্য দীর্ঘ ও প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করেছে ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করে। উঁচু উঁচু টিলাতে বড় বড় করাত দিয়ে একদিকে গাছ কাটা চলছে, তেমনি হাতি দিয়ে কাটা গাছ নামানো হচ্ছে নিচে। এমন হুলুস্থুলের মধ্যে বন্যপ্রাণীকূল নিরাপদে বিচরণ করতে পারার কথা নয়, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শামসুল হক। বরাদ্দপ্রাপ্তরা বরাদ্দের মেয়াদ শেষে শুধু তাদের রোপণ করা গাছ কেটে নেয়ার কথা থাকলেও এমন দেশি গাছও কাটার জন্য চিহ্নিত করা আছে যা তারা রোপণও করেনি। তাদের কাটার কথাও নয়। এই চিহিৃতকরণের কাজটি করেছে বনবিভাগের লোকেরাই। তবে লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলন নামের সংগঠনটি কাটার জন্য দেশি গাছ চিহ্নিতকরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করলে বনবিভাগ ওই গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে।

বরাদ্দ দেয়া বনভূমিতে বন্যপ্রাণীর বিষয়টি বিবেচনায় না রেখে শুধুই ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়া গাছ লাগানোর ব্যাপারে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে গাছ লাগিয়ে তা কেটে দুটো পয়সার মুখ দেখতে হলে বরাদ্দপ্রাপ্তদের ইউক্যালিপটাস আর একাশিয়াই লাগাতে হবে। তবে আগামীতে বরাদ্দকৃত জায়গার ২৫ ভাগে বন্যপ্রাণীর উপযোগী বৃক্ষ রোপণের বিধান রাখা হবে’। বনসংলগ্ন গ্রামের হতদরিদ্র মানুষেরা বরাদ্দ না পেয়ে সচ্ছল ও প্রভাবশালীদের বরাদ্দ পাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দপ্রাপ্তদের নামের তালিকায় যেখানে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম আছে সেখানে এই অভিযোগ আমি অস্বীকার করব কিভাবে, তবে এইসব ভূল অতীতে হয়েছে, আগামী দিনে হবে না।’

বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার নামে বনের এক অংশকে পার্ক বানানো ও বাকি অংশকে সামাজিক বনায়নের আওতায় বরাদ্দ দেয়াকে ‘সর্বনাশা পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে গবেষক পাভেল পার্থ জানান, লাউয়াছড়ার মতো বর্ষারণ্যের বিনাশ কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। বনের জন্য ভালো কিছু করতে হলে বন বিভাগের উচিত বনের মর্ম বোঝার চেষ্টা করা। বনে কোন তস্করের হাত পড়বে না, শুধু এইটুকু নিশ্চিত করা গেলেই প্রকৃতি তার আপন ঐশ্বর্যে লাউয়াছড়াকে সাজিয়ে দেবে।