বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী খনন শুরু

উদ্ধার করা হবে দুটি নৌরুট

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪৭৭ কিলোমিটারের দুটি নৌরুটে যৌথভাবে নদী খনন সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। এই নদী খননের খরচের ৮০ শতাংশ ভারত ও ২০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র ভবনে দুই দেশের যৌথ মনিটরিং কমিটি (জেএমসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় বাংলাদেশের নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কান্তি বড়ালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও ভারতের নৌ-মন্ত্রণলয়ে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের অপর একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে নৌ-প্রটোকল চুক্তি আওতায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ থেকে দুইখাওয়া পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খননে বিষয়ে দুই দেশের যৌথ মনিটরিং কমিটি (জেটিসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটি সম্প্রতি সরেজমিনে নৌরুট দুটি পরিদর্শন করেছে। ইতিমধ্যে খনন কাজ শুরু করেছে। নদী খননের খরব দুই দেশ বহন করবে। বাংলাদেশ কর ও ভ্যাটসহ ৩৫ শতাংশ এবং ভারত ৬৫ শতাংশ বহন করবে।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে দুই দেশের নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠকে রাজশাহী থেকে পাকশী পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নদী যৌথভাবে খননের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। খননের খরচের ৮০ শতাংশ ভারত ও ২০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় ৫ ও ৬ নম্বর রুট হিসেবে ইছামতি নদীটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরইমধ্যে দুই দেশের যৌথ কারিগরি কমিটি (জেটিসি) ওই রুটে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ শেষ করেছে। ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী ৯৪ কিলোমিটার ও পাকশী থেকে আরিচা ১০২ কিলোমিটার নৌরুটে পর্যাপ্ত নাব্যতা রয়েছে। কিন্তু রাজশাহী থেকে পাকশী পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নৌরুটে পানির গভীরতা মাত্র এক দশমিক ৯ মিটার। এরমধ্যে ভারতের ৮ কিলোমিটার নৌপথও রয়েছে। অপর এক এজেন্ডায় আত্রাই নদীর ভারতের অংশে ৪২ কিলোমিটার নৌপথ খননের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুটি নৌরুট যৌথভাবে খনন কাজ শুরু হয়েছে। এই নৌরুটের নদী খনন কাজ মনিটর করছে এই কমিটি। দুই দেশের চারজন করে মোট ১৪ জন প্রতিনিধি রয়েছে এই কমিটিতে। জেএমসি’র মিটিংয়ে যমুনা ও কুশিয়ারা নদীর ২৮৫ কিলোমিটার ও ১৯২ কিলোমিটার নদী খনন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নৌ-মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চারটি (আপ-ডাউন হিসেবে আটটি) নৌরুট বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে ৮টি নৌরুট রয়েছে। সেগুলো হলো :

১. কলকাতা-হলদিয়া-রায়মংগল-চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-পান্ডু-শিলঘাট।

২. শিলঘাট-পান্ডু-ধুবরী-চিলমারী-বাহাদুরাবাদ-সিরাজগঞ্জ-আরিচা-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-হিজলা-বরিশাল-কাউখালী-মোংলা-খুলনা-চালনা-রায়মংগল-হলদিয়া-কলকাতা।

৩. কলকাতা-হলদিয়া-রায়মংগল-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ-আজমেরিগঞ্জ-মারকুলি-শেরপুর ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ।

৪. করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মারকুলি-আজমেরিগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-হিজলা-বরিশাল-কাউখালী-মোংলা-রায়মংগল-হলদিয়া-কলকাতা।

৫. রাজশাহী-গোদাগাড়ি-ধুলিয়ান।

৬. ধুলিয়ান-গোদাগাড়ি-রাজশাহী।

৭. করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মারকুলি-আজমেরিগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-পান্ডু-শিলঘাট।

৮. শিলঘাট-পান্ডু-ধুবরী-চিলমারী-বাহাদুরাবাদ-সিরাজগঞ্জ-আরিচা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ-আজমেরিগঞ্জ-মারকুলি-শেরপুর-ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদী ও সমুদ্রপথে পর্যটনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। প্রটোকল রুটে ভারতের আসামের ধুবড়ি ও বাংলাদেশের পানগাঁও বন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নদী খননের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নদী সংযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এজন্য অভিন্ন নদীর সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আসামের গুয়াহাটি ও জোরহাটের মধ্যে নদীপথে পর্যটকবাহী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভারতের চেন্নাই থেকে জাহাজে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে বৈঠক সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের নৌরুটের যৌথ মনিটরিং কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে প্রবাহিত নদী খনন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী খনন শুরু

উদ্ধার করা হবে দুটি নৌরুট

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪৭৭ কিলোমিটারের দুটি নৌরুটে যৌথভাবে নদী খনন সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। এই নদী খননের খরচের ৮০ শতাংশ ভারত ও ২০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র ভবনে দুই দেশের যৌথ মনিটরিং কমিটি (জেএমসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় বাংলাদেশের নৌ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কান্তি বড়ালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও ভারতের নৌ-মন্ত্রণলয়ে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের অপর একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে নৌ-প্রটোকল চুক্তি আওতায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ থেকে দুইখাওয়া পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খননে বিষয়ে দুই দেশের যৌথ মনিটরিং কমিটি (জেটিসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটি সম্প্রতি সরেজমিনে নৌরুট দুটি পরিদর্শন করেছে। ইতিমধ্যে খনন কাজ শুরু করেছে। নদী খননের খরব দুই দেশ বহন করবে। বাংলাদেশ কর ও ভ্যাটসহ ৩৫ শতাংশ এবং ভারত ৬৫ শতাংশ বহন করবে।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে দুই দেশের নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠকে রাজশাহী থেকে পাকশী পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নদী যৌথভাবে খননের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। খননের খরচের ৮০ শতাংশ ভারত ও ২০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় ৫ ও ৬ নম্বর রুট হিসেবে ইছামতি নদীটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরইমধ্যে দুই দেশের যৌথ কারিগরি কমিটি (জেটিসি) ওই রুটে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ শেষ করেছে। ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী ৯৪ কিলোমিটার ও পাকশী থেকে আরিচা ১০২ কিলোমিটার নৌরুটে পর্যাপ্ত নাব্যতা রয়েছে। কিন্তু রাজশাহী থেকে পাকশী পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার নৌরুটে পানির গভীরতা মাত্র এক দশমিক ৯ মিটার। এরমধ্যে ভারতের ৮ কিলোমিটার নৌপথও রয়েছে। অপর এক এজেন্ডায় আত্রাই নদীর ভারতের অংশে ৪২ কিলোমিটার নৌপথ খননের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুটি নৌরুট যৌথভাবে খনন কাজ শুরু হয়েছে। এই নৌরুটের নদী খনন কাজ মনিটর করছে এই কমিটি। দুই দেশের চারজন করে মোট ১৪ জন প্রতিনিধি রয়েছে এই কমিটিতে। জেএমসি’র মিটিংয়ে যমুনা ও কুশিয়ারা নদীর ২৮৫ কিলোমিটার ও ১৯২ কিলোমিটার নদী খনন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নৌ-মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চারটি (আপ-ডাউন হিসেবে আটটি) নৌরুট বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে ৮টি নৌরুট রয়েছে। সেগুলো হলো :

১. কলকাতা-হলদিয়া-রায়মংগল-চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-পান্ডু-শিলঘাট।

২. শিলঘাট-পান্ডু-ধুবরী-চিলমারী-বাহাদুরাবাদ-সিরাজগঞ্জ-আরিচা-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-হিজলা-বরিশাল-কাউখালী-মোংলা-খুলনা-চালনা-রায়মংগল-হলদিয়া-কলকাতা।

৩. কলকাতা-হলদিয়া-রায়মংগল-মোংলা-কাউখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ-আজমেরিগঞ্জ-মারকুলি-শেরপুর ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ।

৪. করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মারকুলি-আজমেরিগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-হিজলা-বরিশাল-কাউখালী-মোংলা-রায়মংগল-হলদিয়া-কলকাতা।

৫. রাজশাহী-গোদাগাড়ি-ধুলিয়ান।

৬. ধুলিয়ান-গোদাগাড়ি-রাজশাহী।

৭. করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মারকুলি-আজমেরিগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-পান্ডু-শিলঘাট।

৮. শিলঘাট-পান্ডু-ধুবরী-চিলমারী-বাহাদুরাবাদ-সিরাজগঞ্জ-আরিচা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-ভৈরববাজার-আশুগঞ্জ-আজমেরিগঞ্জ-মারকুলি-শেরপুর-ফেঞ্চুগঞ্জ-জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নদী ও সমুদ্রপথে পর্যটনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। প্রটোকল রুটে ভারতের আসামের ধুবড়ি ও বাংলাদেশের পানগাঁও বন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নদী খননের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নদী সংযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এজন্য অভিন্ন নদীর সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আসামের গুয়াহাটি ও জোরহাটের মধ্যে নদীপথে পর্যটকবাহী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভারতের চেন্নাই থেকে জাহাজে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে বৈঠক সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের নৌরুটের যৌথ মনিটরিং কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে প্রবাহিত নদী খনন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।