চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়াকে (২৫) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে থানাহাট চিলমারী উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিলমারী নৌবন্দরে অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তফাজ্জল হককে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়া ও তার সঙ্গীরা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে। তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তাকে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। আরও ২ লাখ টাকার জন্য তার ওপর চাপ দিয়ে আসছিল শামিম ও তার সঙ্গীরা।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, যমুনা ডিপোতে অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে বেশ কয়েকবার অর্থ হাতিয়ে নেয় ছাত্রলীগের এই চক্রটি। এরপর মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্তা করা হয়।

এছাড়াও ডিপোতে অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানির অস্থায়ী সিকিউরিটি গার্ড রিফাজুল ইসলাম রিয়াদকে চাকরিচ্যুতির পর ঘাটসংলগ্ন শ্রমিকরা নানাভাবে তফাজ্জল হককে হয়রানি শুরু করে। এতে ইন্ধন দেন কোম্পনির স্থায়ী জেনারেল ওয়ার্কার আবুল হোসেন ও অস্থায়ী সহকারী লতিফুর রহমান জুয়েল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে ১ লাখ টাকা পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও পরবর্তীতে আরও ২ লাখ টাকার দাবিতে চাপ দেয়া হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চিলমারী মডেল থানায় শামিমসহ অজ্ঞাত ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন তফাজ্জল হক।

অভিযুক্ত শামিম মিয়া চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ডেমনারপাড়া এলাকার মহসিন আলীর পুত্র।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চিলমারী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়াকে দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কুড়িগ্রামে

চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়াকে (২৫) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে থানাহাট চিলমারী উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিলমারী নৌবন্দরে অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তফাজ্জল হককে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়া ও তার সঙ্গীরা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে। তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তাকে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। আরও ২ লাখ টাকার জন্য তার ওপর চাপ দিয়ে আসছিল শামিম ও তার সঙ্গীরা।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, যমুনা ডিপোতে অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে বেশ কয়েকবার অর্থ হাতিয়ে নেয় ছাত্রলীগের এই চক্রটি। এরপর মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্তা করা হয়।

এছাড়াও ডিপোতে অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানির অস্থায়ী সিকিউরিটি গার্ড রিফাজুল ইসলাম রিয়াদকে চাকরিচ্যুতির পর ঘাটসংলগ্ন শ্রমিকরা নানাভাবে তফাজ্জল হককে হয়রানি শুরু করে। এতে ইন্ধন দেন কোম্পনির স্থায়ী জেনারেল ওয়ার্কার আবুল হোসেন ও অস্থায়ী সহকারী লতিফুর রহমান জুয়েল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে ১ লাখ টাকা পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও পরবর্তীতে আরও ২ লাখ টাকার দাবিতে চাপ দেয়া হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চিলমারী মডেল থানায় শামিমসহ অজ্ঞাত ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন তফাজ্জল হক।

অভিযুক্ত শামিম মিয়া চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ডেমনারপাড়া এলাকার মহসিন আলীর পুত্র।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চিলমারী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়াকে দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।