‘আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি এখনও বিকশিত হতে পারেনি’

দেশের সংস্কৃতিতে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি এখনও পুরোপুরি বিকশিত হতে পারেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাঙালি ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির পাশাপাশি আদিবাসী ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতিগুলো সমানতালে চর্চা হওয়া জরুরি বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘ভাষা উৎসব ২০২০’ উপলক্ষে ঢাবি পড়ুয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবীর শয়ন, ডাকসুর সদস্য যোশীয় সাংমা চিবলসহ বিভিন্ন বিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তারা সংখ্যানুপাতিক দৃষ্টিতে কম হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা সব গণতান্ত্রিক ইতিহাসসহ সব ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষের মধ্যে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সে চেতনা বারবার জয়ী হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক ও বহুজাতিক এই দেশে বাঙালি অন্য ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোকেও সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে সব ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোকে সম্মান জানানো হয়েছিল। যা ছিল ৫২’র ভাষা আন্দোলন মূল চেতনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাঙালি ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি আদিবাসী ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতিগুলো সমানতালে চর্চা হওয়া জরুরি। সেই ভাবনা থেকেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটা থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। উক্ত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিভিন্ন আদিবাসীদের মাতৃভাষায় কবিতা আবৃতি, আদিবাসীদের বিভিন্ন মাতৃভাষা গান করা, বিভিন্ন ব্যান্ডের পরিবেশনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশনা।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৮ ফল্গুন ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

‘আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি এখনও বিকশিত হতে পারেনি’

প্রতিনিধি, ঢাবি

দেশের সংস্কৃতিতে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি এখনও পুরোপুরি বিকশিত হতে পারেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাঙালি ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির পাশাপাশি আদিবাসী ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতিগুলো সমানতালে চর্চা হওয়া জরুরি বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘ভাষা উৎসব ২০২০’ উপলক্ষে ঢাবি পড়ুয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবীর শয়ন, ডাকসুর সদস্য যোশীয় সাংমা চিবলসহ বিভিন্ন বিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তারা সংখ্যানুপাতিক দৃষ্টিতে কম হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা সব গণতান্ত্রিক ইতিহাসসহ সব ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষের মধ্যে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সে চেতনা বারবার জয়ী হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক ও বহুজাতিক এই দেশে বাঙালি অন্য ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোকেও সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে সব ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোকে সম্মান জানানো হয়েছিল। যা ছিল ৫২’র ভাষা আন্দোলন মূল চেতনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাঙালি ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি আদিবাসী ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতিগুলো সমানতালে চর্চা হওয়া জরুরি। সেই ভাবনা থেকেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটা থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। উক্ত আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিভিন্ন আদিবাসীদের মাতৃভাষায় কবিতা আবৃতি, আদিবাসীদের বিভিন্ন মাতৃভাষা গান করা, বিভিন্ন ব্যান্ডের পরিবেশনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশনা।