পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে

লেনদেন কমে ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

মূল্যসূচক-লেনদেন কমে সপ্তাহ শুরু করেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট কমেছে। আর অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি টাকার উপরে। আর সিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। তবে গতকাল বড় পতনের হাত থেকে ডিএসইকে বাচিয়েছে গ্রামীণফোন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল গ্রামীণফোন। লেনদেনের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় ২২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের এই দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম না বাড়লে এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আরও ২১ পয়েন্ট কমতো। আর দাম কমলে সূচকের পতন আরও বেশি হতো।

সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- সামিট পাওয়ার, ওরিয়ন ইনফিউশন, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, বিএসআরএম, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং লাফার্জহোলসিম।

অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ১৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮৯০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের। ব্যাংক এশিয়া ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশন ৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, লাফার্জহোলসিম, এমএল ডাইং, নর্দার্ন জুট, ওরিয়ন ইনফিউশন, প্রাইম ইসলামী লাইফ, রেনেটা, এসকে ট্রিমস, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে

লেনদেন কমে ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

image

মূল্যসূচক-লেনদেন কমে সপ্তাহ শুরু করেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট কমেছে। আর অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি টাকার উপরে। আর সিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। তবে গতকাল বড় পতনের হাত থেকে ডিএসইকে বাচিয়েছে গ্রামীণফোন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল গ্রামীণফোন। লেনদেনের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় ২২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের এই দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম না বাড়লে এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আরও ২১ পয়েন্ট কমতো। আর দাম কমলে সূচকের পতন আরও বেশি হতো।

সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- সামিট পাওয়ার, ওরিয়ন ইনফিউশন, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, বিএসআরএম, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং লাফার্জহোলসিম।

অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ১৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮৯০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের। ব্যাংক এশিয়া ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশন ৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, লাফার্জহোলসিম, এমএল ডাইং, নর্দার্ন জুট, ওরিয়ন ইনফিউশন, প্রাইম ইসলামী লাইফ, রেনেটা, এসকে ট্রিমস, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।