আইডিআরএ’র প্রজ্ঞাপনে হতাশ সাধারণ বীমা কর্মকর্তারা

সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ মার্চ থেকে সাধারণ বীমা খাতে সব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে কমিশনের ভিত্তিতে ‘বীমা এজেন্ট হিসেবে’ পদায়ন করা হবে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন হলে বেসরকারি সাধারণ বীমা খাতে চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরি হবে। তাই আইডিআরএ কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপন নং নন-লাইফ ৭৫/২০২০ বাতিলের দাবিতে জানান তারা। গতকাল জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ (প্রস্তাবিত) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আইডিআরএ ৭৫/২০২০ প্রজ্ঞাপনের কারণে ১ মার্চ থেকে সাধারণ বীমা কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা বিলুপ্ত হয়ে পরিচয় হবে কমিশন এজেন্ট। এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ১ মার্চের পূর্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। দাবি আদায় না হলে বিকল্প কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান উপস্থিত নেতারা। লিখিত বক্তব্যে আরও দাবি করা হয়, কমিশন এজেন্টদের কোনদিন প্রমোশন হয় না, তাহলে ২ থেকে ৩ বছর পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসর গ্রহণ করলে কে বীমা খাতের নেতৃত্ব দেবেন? যাদের ২৫ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যারা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বা সিইও হবার যোগ্য তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? দেশে বর্তমানে ৪৫টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় ১৩৭০টি শাখা রয়েছে। এই সব শাখায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের অধীনে কমপক্ষে ৩০ জন উন্নয়ন কর্মকর্তা রয়েছেন। আইডিআরএ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে আমরা হতাশ ও নির্বাক হয়েছি। যদি এ প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে পাস হয়, তাহলে বীমা খাতে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।

আইডিআরএ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ মার্চ ২০২০ থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহে ব্যবসা আহরণের নিমিত্তে সব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কমিশনের ভিত্তিতে বীমা এজেন্ট হিসেবে পদায়ন করতে হবে। বীমা আইন ২০১০ এ ৫৮(১) ধারা অনুয়ায়ী, নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বীমা এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও কমিশন বা অন্য কোন নামে পরিশ্রমিক বা পরিতোষিক পরিশোধ না করার যে আইন রয়েছে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। শুধুমাত্র বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিকে এটি পালন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের এস ভিপি মো. বাকির মোর্শেদ। এ সময় প্রস্তাবিত সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আইডিআরএ’র প্রজ্ঞাপনে হতাশ সাধারণ বীমা কর্মকর্তারা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ মার্চ থেকে সাধারণ বীমা খাতে সব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে কমিশনের ভিত্তিতে ‘বীমা এজেন্ট হিসেবে’ পদায়ন করা হবে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন হলে বেসরকারি সাধারণ বীমা খাতে চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরি হবে। তাই আইডিআরএ কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপন নং নন-লাইফ ৭৫/২০২০ বাতিলের দাবিতে জানান তারা। গতকাল জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ (প্রস্তাবিত) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আইডিআরএ ৭৫/২০২০ প্রজ্ঞাপনের কারণে ১ মার্চ থেকে সাধারণ বীমা কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা বিলুপ্ত হয়ে পরিচয় হবে কমিশন এজেন্ট। এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ১ মার্চের পূর্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। দাবি আদায় না হলে বিকল্প কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান উপস্থিত নেতারা। লিখিত বক্তব্যে আরও দাবি করা হয়, কমিশন এজেন্টদের কোনদিন প্রমোশন হয় না, তাহলে ২ থেকে ৩ বছর পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসর গ্রহণ করলে কে বীমা খাতের নেতৃত্ব দেবেন? যাদের ২৫ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যারা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বা সিইও হবার যোগ্য তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? দেশে বর্তমানে ৪৫টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় ১৩৭০টি শাখা রয়েছে। এই সব শাখায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের অধীনে কমপক্ষে ৩০ জন উন্নয়ন কর্মকর্তা রয়েছেন। আইডিআরএ যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে আমরা হতাশ ও নির্বাক হয়েছি। যদি এ প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে পাস হয়, তাহলে বীমা খাতে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।

আইডিআরএ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ মার্চ ২০২০ থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহে ব্যবসা আহরণের নিমিত্তে সব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কমিশনের ভিত্তিতে বীমা এজেন্ট হিসেবে পদায়ন করতে হবে। বীমা আইন ২০১০ এ ৫৮(১) ধারা অনুয়ায়ী, নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বীমা এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও কমিশন বা অন্য কোন নামে পরিশ্রমিক বা পরিতোষিক পরিশোধ না করার যে আইন রয়েছে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। শুধুমাত্র বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিকে এটি পালন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের এস ভিপি মো. বাকির মোর্শেদ। এ সময় প্রস্তাবিত সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।