ভ্যাট রিটার্ন অর্ধেকে নেমেছে

করোনার কারণে মূল্যসংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রিটার্ন জমা অর্ধেকে নেমে এসেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দুই মাস যাবত সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটির মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর যেমন বেচাকেনা নেই, তেমনি মাসিক ভ্যাট রিটার্ন জমায় আগ্রহও নেই।

নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হয়। গত শুক্রবার চলতি মাসের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ওই দিন সারাদেশের ২৫২টি সার্কেল অফিস বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে ১ লাখ ৭৮ হাজার ভ্যাট নিবন্ধন নেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে এক লাখের মতো প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে রিটার্ন জমা অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। চলতি মাসে (মে) সাড়ে ৪২ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে রিটার্ন জমা হয়েছিল সাড়ে ৩১ হাজার। রাজস্ব আদায় ছিল তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সাধারণ ছুটি থাকায় হিসাবনিকাশ করার কর্মীরা ছুটিতে আছেন। সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও পুরোপুরি বন্ধ। এমন অবস্থায় কোনভাবেই নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট রিটার্ন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

শনিবার, ২৩ মে ২০২০ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ রমজান ১৪৪১

ভ্যাট রিটার্ন অর্ধেকে নেমেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

করোনার কারণে মূল্যসংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রিটার্ন জমা অর্ধেকে নেমে এসেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দুই মাস যাবত সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটির মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর যেমন বেচাকেনা নেই, তেমনি মাসিক ভ্যাট রিটার্ন জমায় আগ্রহও নেই।

নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হয়। গত শুক্রবার চলতি মাসের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ওই দিন সারাদেশের ২৫২টি সার্কেল অফিস বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে ১ লাখ ৭৮ হাজার ভ্যাট নিবন্ধন নেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে এক লাখের মতো প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে রিটার্ন জমা অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। চলতি মাসে (মে) সাড়ে ৪২ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে রিটার্ন জমা হয়েছিল সাড়ে ৩১ হাজার। রাজস্ব আদায় ছিল তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সাধারণ ছুটি থাকায় হিসাবনিকাশ করার কর্মীরা ছুটিতে আছেন। সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও পুরোপুরি বন্ধ। এমন অবস্থায় কোনভাবেই নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট রিটার্ন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।