মাটিরাঙ্গার গালুয়াটিলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার হয়নি ১৫ বছরেও

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাজীপাড়া ও আযমরাইপাড়া গালুয়া টিলার মধ্যবর্তী সংযোগ সেতুটি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যাতায়াতে স্বল্প সময় ব্যয় হয় বিধায়, তাইন্দং থেকে মাটিরাঙ্গা সদরে প্রবেশ করার সহজ পথ হিসেবে বেশির ভাগ মানুষের নির্ভরতা ছিল এই সড়কটি। পৌরসভার মধ্যবর্তী স্থানে যোগাযোগের এমন দূরাবস্থার জন্য উভয় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পৌর ব্যবস্থাপনার উদাসিনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডের প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক সেতুটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করলেও সেতুটির দুইধারের এপ্রোচ নির্মাণ মানসম্মত না হওয়ায় অল্পকিছুদিনের মধ্যেই সেতুটির দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে হাজার হাজার মানুষের সহজ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন কৃষিজপণ্য জাত বিক্রি করতে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় লাগছে। এ ছাড়া গালুয়াটিলা, আযমরাইপাড়া ও পলাশপুর এলাকার মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও সেতুর অভাবে স্কুলে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পৌর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলা উদ্দিন লিটন জানান, সেতুটির বর্তমান অচলাবস্থা দূর করতে পাশে একটি রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণসহ সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। এতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা বরাদ্ধ দেয়ার মতো সামর্থ্য এই মুহূর্তে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নাই। তবে বিষয়টি তিনি একাধিকবার মাসিক সভা ও উন্নয়নমূলক মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান।

এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র মো: শামছুল হক, সেতুটির দু’পাশের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ পূর্বক প্রকল্প গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্ট ওযার্ড কাউন্সিলরকে। সেতুটির সংস্কার সম্পর্কিত প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে আগামী অর্থ বছরেই এই সেতুটির দুইপাশের মাটি ভরাটসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারে অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

মাটিরাঙ্গার গালুয়াটিলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার হয়নি ১৫ বছরেও

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

image

খাগড়াছড়ি : মাটিরাঙ্গার গালুয়াটিলা সেতুর বিধ্বস্ত সংযোগ সড়ক -সংবাদ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাজীপাড়া ও আযমরাইপাড়া গালুয়া টিলার মধ্যবর্তী সংযোগ সেতুটি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যাতায়াতে স্বল্প সময় ব্যয় হয় বিধায়, তাইন্দং থেকে মাটিরাঙ্গা সদরে প্রবেশ করার সহজ পথ হিসেবে বেশির ভাগ মানুষের নির্ভরতা ছিল এই সড়কটি। পৌরসভার মধ্যবর্তী স্থানে যোগাযোগের এমন দূরাবস্থার জন্য উভয় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পৌর ব্যবস্থাপনার উদাসিনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন র্বোডের প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক সেতুটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করলেও সেতুটির দুইধারের এপ্রোচ নির্মাণ মানসম্মত না হওয়ায় অল্পকিছুদিনের মধ্যেই সেতুটির দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে হাজার হাজার মানুষের সহজ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি, ফলমূলসহ বিভিন্ন কৃষিজপণ্য জাত বিক্রি করতে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় লাগছে। এ ছাড়া গালুয়াটিলা, আযমরাইপাড়া ও পলাশপুর এলাকার মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও সেতুর অভাবে স্কুলে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পৌর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলা উদ্দিন লিটন জানান, সেতুটির বর্তমান অচলাবস্থা দূর করতে পাশে একটি রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণসহ সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। এতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা বরাদ্ধ দেয়ার মতো সামর্থ্য এই মুহূর্তে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নাই। তবে বিষয়টি তিনি একাধিকবার মাসিক সভা ও উন্নয়নমূলক মতবিনিময় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান।

এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র মো: শামছুল হক, সেতুটির দু’পাশের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ পূর্বক প্রকল্প গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্ট ওযার্ড কাউন্সিলরকে। সেতুটির সংস্কার সম্পর্কিত প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে আগামী অর্থ বছরেই এই সেতুটির দুইপাশের মাটি ভরাটসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারে অর্থ বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।