এক মাস ধরে বন্যহাতির তাণ্ডব ! দিশেহারা কৃষক

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা সীমান্তে থামছে না বন্য হাতির তাণ্ডব। ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে ২ উপজেলার কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছে। প্রায় মাস ব্যাপি তাণ্ডবে সীমান্তের কৃষক সর্বস্বান্ত হতে বসেছে। কখনো রাতে আবার কখনো দিনে বন্য হাতির দল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকা ধান, পাটসহ নানা ধরনের আবাদী ফসল খেয়ে ধ্বংস করছে। এমনকি ইরি-বোরো জমিতে সেচের জন্য রাখা শ্যালো মেশিনগুলো হাতি তার সুঁড় প্যাচিয়ে উঠিয়ে পায়ের চাপে পিষ্ট করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর জমির ফসল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। সামনের দিন গুলো কি খেয়ে বাঁচবে এনিয়ে কৃষকের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৫৭ হতে ১০৭২ পর্যন্ত, মিয়াপাড়া, আলগারচর, খেওয়ারচর, চুলিয়ারচর, বারবান্দা, বড়াইবাড়ীসহ প্রায় ১০ কিমি সীমান্ত জুড়েই বুনো হাতির ভয়াবহ তান্ডব চলে। এ ব্যাপারে সীমান্তবর্তী আলগার চর গ্রামের গ্রামের রবিউল, মজনু, হায়দার, আইয়ুব আলী, সামছুল, ছমের, সিকান্দার, ফুলচাঁন বলেন প্রতি বছর ফসলের মৌসুমে ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে আমরা সর্বশান্ত হই। হাতি তাড়াতে পটকা, ঢাক-ঢোল ও আগুন জ্বালিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছি। এব্যাপারে সরকারি কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় তারা চরম অসহায়ত্ব বোধ করছে। এ বিষয় বালিয়ামারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান ভারতীয় বন্যহাতি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন জানান, প্রতি বছর ভারতীয় হাতির তান্ডবে আমার সীমান্ত এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতির তান্ডবে কৃষকের ২৫/৩০ হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান খেয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, প্রতিরাতে হাতি এসে সীমান্ত এলাকায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে করে কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

রাজিবপুর-রৌমারী সীমান্ত

এক মাস ধরে বন্যহাতির তাণ্ডব ! দিশেহারা কৃষক

প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা সীমান্তে থামছে না বন্য হাতির তাণ্ডব। ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে ২ উপজেলার কৃষক দিশাহারা হয়ে পড়েছে। প্রায় মাস ব্যাপি তাণ্ডবে সীমান্তের কৃষক সর্বস্বান্ত হতে বসেছে। কখনো রাতে আবার কখনো দিনে বন্য হাতির দল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকা ধান, পাটসহ নানা ধরনের আবাদী ফসল খেয়ে ধ্বংস করছে। এমনকি ইরি-বোরো জমিতে সেচের জন্য রাখা শ্যালো মেশিনগুলো হাতি তার সুঁড় প্যাচিয়ে উঠিয়ে পায়ের চাপে পিষ্ট করছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর জমির ফসল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। সামনের দিন গুলো কি খেয়ে বাঁচবে এনিয়ে কৃষকের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৫৭ হতে ১০৭২ পর্যন্ত, মিয়াপাড়া, আলগারচর, খেওয়ারচর, চুলিয়ারচর, বারবান্দা, বড়াইবাড়ীসহ প্রায় ১০ কিমি সীমান্ত জুড়েই বুনো হাতির ভয়াবহ তান্ডব চলে। এ ব্যাপারে সীমান্তবর্তী আলগার চর গ্রামের গ্রামের রবিউল, মজনু, হায়দার, আইয়ুব আলী, সামছুল, ছমের, সিকান্দার, ফুলচাঁন বলেন প্রতি বছর ফসলের মৌসুমে ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে আমরা সর্বশান্ত হই। হাতি তাড়াতে পটকা, ঢাক-ঢোল ও আগুন জ্বালিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছি। এব্যাপারে সরকারি কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় তারা চরম অসহায়ত্ব বোধ করছে। এ বিষয় বালিয়ামারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান ভারতীয় বন্যহাতি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন জানান, প্রতি বছর ভারতীয় হাতির তান্ডবে আমার সীমান্ত এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতির তান্ডবে কৃষকের ২৫/৩০ হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান খেয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে। এ বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, প্রতিরাতে হাতি এসে সীমান্ত এলাকায় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে করে কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।