সাধারণ রোগীদের সেবা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে রিট

সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে আসা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাওয়া হয়েছে রিটে।

শনিবার ইমেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ-সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকার-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। ওই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গত ১১ মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়। অথচ সরকারের সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক সাধারণ রোগীদের করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে একটি করোনা টেস্ট করাতে রোগীর জন্য ৪ থেকে ৫দিন সময় লাগতে পারে। অথচ গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট করানো এবং সে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা অসম্ভব হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রুল শুনানিকালে সরেকারের নির্দেশনা মেনে সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ওই নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগে জড়িতের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে

সাধারণ রোগীদের সেবা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে রিট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে আসা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাওয়া হয়েছে রিটে।

শনিবার ইমেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। তারা হলেন- অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ-সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকার-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। ওই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গত ১১ মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়। অথচ সরকারের সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক সাধারণ রোগীদের করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে একটি করোনা টেস্ট করাতে রোগীর জন্য ৪ থেকে ৫দিন সময় লাগতে পারে। অথচ গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট করানো এবং সে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা অসম্ভব হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে। রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রুল শুনানিকালে সরেকারের নির্দেশনা মেনে সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ওই নির্দেশনা ভঙ্গের অভিযোগে জড়িতের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, রিটে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।