১৩৮টি স্থাপনায় লার্ভা ৫ লাখ টাকা জরিমানা

অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের অষ্টম দিনে গতকাল মোট ১৩ হাজার ৪৮৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৩৮টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৬টি মামলায় মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

গত ৬ জুন থেকে ৮ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ২৬৯টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৭৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ ৮ দিনে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উত্তরা এলাকায় মোট ৯৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৫টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৭১৫টি স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হালিমের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকায় ৮টি স্থাপনার মালিককে মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে ৩ হাজার ৪০৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৪৪৩টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজম ২, ৩, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৯টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।মহাখালী অঞ্চলে ১ হাজার ৫৬৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩২টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৮৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান মগবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৬টি স্থাপনার মালিকদের সতর্ক করেন। মিরপুর-১০ অঞ্চলে ১ হাজার ৬৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৬২৬টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে ১ হাজার ৮৯৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৩টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৩৮৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন ইন্দিরা রোড ও মনিপুরী পাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ইন্দিরা রোডের আগোরা সুপার শপকে সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার পূর্বের নির্দেশ পালন না করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ২৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ৮৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭০৪টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৪৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৪৯৭টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে ৫১০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৩৫২টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল অঞ্চলে  ৬১৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৫৬৮টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকা স্থানসমূহে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। চলমান এই অভিযানের পূর্বে ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের পূর্ব পর্যন্ত ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২ নম্বর মোট ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সে সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০ মে ২০২০ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনায় অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ১৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান

১৩৮টি স্থাপনায় লার্ভা ৫ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের অষ্টম দিনে গতকাল মোট ১৩ হাজার ৪৮৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৩৮টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৬টি মামলায় মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

গত ৬ জুন থেকে ৮ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ২৬৯টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৭৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ ৮ দিনে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উত্তরা এলাকায় মোট ৯৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৫টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৭১৫টি স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হালিমের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকায় ৮টি স্থাপনার মালিককে মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে ৩ হাজার ৪০৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৪৪৩টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজম ২, ৩, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৯টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।মহাখালী অঞ্চলে ১ হাজার ৫৬৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩২টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৮৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান মগবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৬টি স্থাপনার মালিকদের সতর্ক করেন। মিরপুর-১০ অঞ্চলে ১ হাজার ৬৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৬২৬টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে ১ হাজার ৮৯৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৩টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৩৮৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন ইন্দিরা রোড ও মনিপুরী পাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ইন্দিরা রোডের আগোরা সুপার শপকে সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার পূর্বের নির্দেশ পালন না করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ২৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ৮৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭০৪টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৪৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৪৯৭টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে ৫১০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৩৫২টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল অঞ্চলে  ৬১৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভা এবং ৫৬৮টি বাড়ি/স্থাপনায় অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

অ্যাডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকা স্থানসমূহে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। চলমান এই অভিযানের পূর্বে ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের পূর্ব পর্যন্ত ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২ নম্বর মোট ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সে সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে অ্যাডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০ মে ২০২০ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনায় অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ১৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।