তিন মাস পর

চালু হলো আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট

করোনাভাইরাসের কারণে তিন মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বাংলাদেশ থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে গত সোমবার রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকায় আসে। এর মাধ্যমে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল হয় এমন ১৭টি দেশের মধ্যে কেবল চীনের সঙ্গেই প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট চালু রাখা হয় সীমিত পরিসরে। গত ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয় বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়।

এ বিষয় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে রাত ২টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। এরপর রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৭৪ জন যাত্রী নিয়ে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যায় কাতার এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ। কাতার এয়ারওয়েজ আপাতত এভাবে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ২১ জুন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লন্ডন রুটে ফ্লাইট চালু করা হবে।

আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই কাজ চালাতে হবে এয়ারলাইন্সগুলোকে। বেবিচক সূত্র জানায়, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এয়ারক্রাফটের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে।

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

তিন মাস পর

চালু হলো আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসের কারণে তিন মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বাংলাদেশ থেকে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে গত সোমবার রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকায় আসে। এর মাধ্যমে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল হয় এমন ১৭টি দেশের মধ্যে কেবল চীনের সঙ্গেই প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট চালু রাখা হয় সীমিত পরিসরে। গত ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয় বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়।

এ বিষয় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে রাত ২টা ১০ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। এরপর রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৭৪ জন যাত্রী নিয়ে দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যায় কাতার এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ। কাতার এয়ারওয়েজ আপাতত এভাবে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ২১ জুন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লন্ডন রুটে ফ্লাইট চালু করা হবে।

আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই কাজ চালাতে হবে এয়ারলাইন্সগুলোকে। বেবিচক সূত্র জানায়, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এয়ারক্রাফটের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে।