নির্দেশনা মেনে রেড জোন এলাকায় দ্রুত লকডাউন কার্যকর করুন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেড জোন ঘোষণা বা রেড জোন পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তখন রেড জোন ঘোষণা করা হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা ও সড়কপথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভেতরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করাসহ রেড জোনে মানতে হবে ১৩ দফা বিধিনিষেধ। গত সোমবার এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সারা বাংলাদেশের রেড জোন চিহ্নিত করে সুপারিশ করেছে।

জোন কার্যকর করা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে নির্দেশনা দিল সেটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং এই বাস্তবায়ন করার মূল কর্তৃত্বটা থাকতে হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। জেলার ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন এবং উপজেলার ক্ষেত্রে থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টা সমন্বয় করবেন। এবং সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরো বিষয়টা দেখভালো করবেন।

রেড জোনের বিষয়টা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। রেড জোনে কঠোরভাবে লকডাউনকার্যকর করতে হবে। লকডাউন কার্যকর হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। যে এলাকায় লকডাউন হবে সে এলাকার গরিব অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়িতে খাদ্য ও অপরিহার্য উপকরণ পৌঁছে দিতে হবে।

রেড জোনে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষার ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা শনাক্ত হলে আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। সুস্থ মানুষের থেকে আক্রান্তকে দূরে রাখতে হবে। এবং একই সঙ্গে আক্রান্তের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখিত কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। এবং এক্ষেত্রে যথার্থ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আর যদি এর কোন একটিরও ব্যত্যয় ঘটে তাহলে লকডাউন কার্যকর করা যাবে না, সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

নির্দেশনা মেনে রেড জোন এলাকায় দ্রুত লকডাউন কার্যকর করুন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেড জোন ঘোষণা বা রেড জোন পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তখন রেড জোন ঘোষণা করা হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা ও সড়কপথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভেতরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করাসহ রেড জোনে মানতে হবে ১৩ দফা বিধিনিষেধ। গত সোমবার এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সারা বাংলাদেশের রেড জোন চিহ্নিত করে সুপারিশ করেছে।

জোন কার্যকর করা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে নির্দেশনা দিল সেটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং এই বাস্তবায়ন করার মূল কর্তৃত্বটা থাকতে হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। জেলার ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন এবং উপজেলার ক্ষেত্রে থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টা সমন্বয় করবেন। এবং সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরো বিষয়টা দেখভালো করবেন।

রেড জোনের বিষয়টা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। রেড জোনে কঠোরভাবে লকডাউনকার্যকর করতে হবে। লকডাউন কার্যকর হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। যে এলাকায় লকডাউন হবে সে এলাকার গরিব অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়িতে খাদ্য ও অপরিহার্য উপকরণ পৌঁছে দিতে হবে।

রেড জোনে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষার ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা শনাক্ত হলে আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। সুস্থ মানুষের থেকে আক্রান্তকে দূরে রাখতে হবে। এবং একই সঙ্গে আক্রান্তের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

উল্লেখিত কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। এবং এক্ষেত্রে যথার্থ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আর যদি এর কোন একটিরও ব্যত্যয় ঘটে তাহলে লকডাউন কার্যকর করা যাবে না, সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়বে।