ভ্যাটের আওতায় আসছে নেটফ্লিক্স-অ্যামাজন

অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেল নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, কিংবা ভারতীয় জি-৫ সিরিজ ও প্রাইমের মতো জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সাইটগুলোর বিলের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) দিতে হবে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

জানা গেছে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, প্রাইম, ভারতীয় জি-৫ সিরিজের কয়েকটি চ্যানেল, হইচই, টিকটকসহ অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেলগুলো বেশ জনপ্রিয়। এসব চ্যানেল নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে দেখতে হয়। এতে কোন ধরনের ভ্যাট ছাড়াই বিপুল পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন থেকে এসব চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন করতে হলে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। এ নিয়ম আগেও ছিল। তবে ভ্যাট আদায় হতো না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন এ ভ্যাট আদায় করে এ জন্য চিঠি দিয়েছে এনবিআর। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডে সাবস্ক্রিপশন ফি জমা দিলে ব্যাংক সেখান থেকে ভ্যাট কর্তন করবে। ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সব ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোর গ্রাহকরা যে ফি প্রদান করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা অর্থ প্রদানের জন্য ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ অনুসারে, এই জাতীয় চ্যানেলগুলোর সাবস্ক্রিপশন সেবা হিসেবে বিবেচিত হয়। যার পরিসেবা কোড ০৯৯.২০। কিন্তু এনবিআর এ খাত থেকে কোন ভ্যাট পাচ্ছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো চাইলে এ সংক্রান্ত সেবার চার্জের হিসাবে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখতে পারে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক যেন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয় সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোকে ভ্যাটের আওতায় বিষয়ে বিধান সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যাংকগুলো ভ্যাট কর্তন না করায় বিধানটি এখনও কার্যকর হয়নি। চিঠিতে আরও বলা হয়, দেখা যাচ্ছে, এসব সাবস্ক্রিপশন ফি’র বিপরীতে এনবিআর কোন মূসক পাচ্ছে না। এ সেবাটির মূল্য পরিশোধ কার্যক্রমটি যেহেতু ক্রেডিট কার্ড নির্ভর, তাই সব বাণিজ্যিক ব্যাংক পরিশোধিত মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়পূর্বক ট্রেজারিতে পরিশোধ করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় এ বিষয়ে তারা কোন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারছে না বলে জানা যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে মূসক আদায় করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করা হলো।

শনিবার, ২০ জুন ২০২০ , ৬ আষাঢ় ১৪২৭, ২৭ শাওয়াল ১৪৪১

ভ্যাটের আওতায় আসছে নেটফ্লিক্স-অ্যামাজন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেল নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, কিংবা ভারতীয় জি-৫ সিরিজ ও প্রাইমের মতো জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সাইটগুলোর বিলের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) দিতে হবে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

জানা গেছে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, প্রাইম, ভারতীয় জি-৫ সিরিজের কয়েকটি চ্যানেল, হইচই, টিকটকসহ অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেলগুলো বেশ জনপ্রিয়। এসব চ্যানেল নির্ধারিত সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে দেখতে হয়। এতে কোন ধরনের ভ্যাট ছাড়াই বিপুল পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন থেকে এসব চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন করতে হলে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। এ নিয়ম আগেও ছিল। তবে ভ্যাট আদায় হতো না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন এ ভ্যাট আদায় করে এ জন্য চিঠি দিয়েছে এনবিআর। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডে সাবস্ক্রিপশন ফি জমা দিলে ব্যাংক সেখান থেকে ভ্যাট কর্তন করবে। ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সব ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোর গ্রাহকরা যে ফি প্রদান করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা অর্থ প্রদানের জন্য ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ অনুসারে, এই জাতীয় চ্যানেলগুলোর সাবস্ক্রিপশন সেবা হিসেবে বিবেচিত হয়। যার পরিসেবা কোড ০৯৯.২০। কিন্তু এনবিআর এ খাত থেকে কোন ভ্যাট পাচ্ছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো চাইলে এ সংক্রান্ত সেবার চার্জের হিসাবে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখতে পারে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক যেন এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয় সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোকে ভ্যাটের আওতায় বিষয়ে বিধান সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যাংকগুলো ভ্যাট কর্তন না করায় বিধানটি এখনও কার্যকর হয়নি। চিঠিতে আরও বলা হয়, দেখা যাচ্ছে, এসব সাবস্ক্রিপশন ফি’র বিপরীতে এনবিআর কোন মূসক পাচ্ছে না। এ সেবাটির মূল্য পরিশোধ কার্যক্রমটি যেহেতু ক্রেডিট কার্ড নির্ভর, তাই সব বাণিজ্যিক ব্যাংক পরিশোধিত মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়পূর্বক ট্রেজারিতে পরিশোধ করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় এ বিষয়ে তারা কোন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারছে না বলে জানা যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে মূসক আদায় করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করা হলো।