৯ জেলায় নতুন শনাক্ত ১৪১

শিবচরে ৪

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

শিবচর হাসপাতালের আরএও ডা. এমদাদুল হক রাসেলসহ নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ঢাকায় পাঠানো নমুনা থেকে শনিবার ১৭ জনের রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. এমদাদুল হক রাসেল রয়েছেন। এছাড়া বাকি আক্রান্ত ৩ জন পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন ঢাকায় বসবাস করা অবস্থায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গ্রামের বাড়ি শিবচরে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

নতুন আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা ও তাদের হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার প্রস্তুতি চলছে।

নবাবগঞ্জে ৭

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের ৭ জনের মধ্যে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২ জন কলাকোপা, ১ জন বান্দুরা, ১ জন বক্সনগর ও ১ জন আগলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ২৫৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৪ জন। রোববার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খোকসায় ২

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ অপর এক পোশাক শ্রমিক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার দেয়া তথ্য মতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সায়েম এর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গত ১৮ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এছাড়া একই দিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয় পোশাক শ্রমিক রুহুলের। তার বাড়ি খোকসা উপজেলার গোপগ্রামে।

কিশোরগঞ্জে ৯১

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

করোনার মহাদুর্যোগের দিকে ধাবিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ! শনিবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন ৯১ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের ল্যাব ও ঢাকায় মোট ৪৫৬টি নমুনার পরীক্ষায় ৯১টি পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে ভৈরবে ৩৬, সদর উপজেলায় ২২, বাজিতপুরে ১৩, কুলিয়ারচরে ৬, কটিয়াদীতে ৫, করিমগঞ্জে ৩, তাড়াইলে ২ এবং পাকুন্দিয়া, নিকলী, ইটনা ও মিঠামইনে একটি করে নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ৩৬৫টি নমুনা। এদিন ভৈরবের ৩৮ জন সুস্থ ও একজন মারা গেছেন। শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন এক হাজার ২২০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪১৮ জন, আর মারা গেছেন ২০ জন। শনিবার আইসোলেশনে ছিলেন ৭৮৯ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ৯২ জন, আর বাসায় ছিলেন ৬৯৭ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ১০৮ জন।

সোনারগাঁয়ে ৬

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬ জনসহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত শনিবার বিকেলে পাওয়া তথ্যমতে সোনারগাঁয়ে নতুন ৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা। পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, সনমান্দি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার মিলিয়ে যে ক’জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এই পর্যন্ত সোনারগাঁয়ে মোট ৩৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ২২৮ জন। এই পর্যন্ত ১৫২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

চান্দিনায় ১০

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপিসহ নতুন করে ১০ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়। গত শনিবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে ওই ১০ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এ নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ শত ৬৬ জন। এ উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ শত ১১ জন। শনিবার মোট নতুন শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সিএইচসিপি, সাহাপাড়ায় ৩ জন, পানিপাড়ায় ২ জন, রারিরচরে ২ জন, দোল্লাই নবাবপুরে ২ জন রোগী শনাক্ত হন।

চুয়াডাঙ্গায় ৪

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদাহ আনসার ক্যাম্পের একজন আনসার সদস্যসহ আরও ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম.মারুফ হাসান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য আসে। এ দিন ৩৩ জনের ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে ৪টি পজিটিভ। এদের মধ্যে ডিঙ্গেদাহ আনসার ক্যাম্পের একজন সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ড পাড়ার করোনায় মৃত সোলায়মান আলীর পরিবারের তিনজন সদস্য। এদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী সদস্য রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন । আজ সুস্থ হয়েছেন দর্শনা থানার ৭ পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন। মোট সুস্থ ১০১ জন ও ২ জন মৃত্যু বরণ করেছেন।

মির্জাপুরে ৩

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গাজীপুর ফেরত একজনসহ নতুন করে তিনজনের করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১৪ জনে।

গতকাল সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।

নতুন আক্রান্তরা হলেন উপজেলার গোড়াই নাজিরপাড়ার এক খিশোরী (১৫), দুল্যাবেগম গ্রামের একজন (৪৫) এবং পৌর এলাকার কাণ্ঠালিয়া গ্রামের গাজীপুর ফেরত একজন (৩৪)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, আক্রান্তদের বাড়ি এবং তাদের আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জে ১৪

প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গত ২৪ঘন্টায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ উপজেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮১ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছে ২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২১৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। রেডজোন হিসেবে চিন্তিত করে জেলা প্রশাসন পুনরায় কঠিন লকডাউন দেয়া হলেও তা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। প্রশাসনের টহল জোরদার না থাকায় বেগমগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে জনসমাগম বেশি। নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮১ জন। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা। বেগমগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ জন।

সোমবার, ২২ জুন ২০২০ , ৮ আষাঢ় ১৪২৭, ২৯ শাওয়াল ১৪৪১

৯ জেলায় নতুন শনাক্ত ১৪১

শিবচরে ৪

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

শিবচর হাসপাতালের আরএও ডা. এমদাদুল হক রাসেলসহ নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ঢাকায় পাঠানো নমুনা থেকে শনিবার ১৭ জনের রিপোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন করে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. এমদাদুল হক রাসেল রয়েছেন। এছাড়া বাকি আক্রান্ত ৩ জন পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন ঢাকায় বসবাস করা অবস্থায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গ্রামের বাড়ি শিবচরে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

নতুন আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা ও তাদের হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার প্রস্তুতি চলছে।

নবাবগঞ্জে ৭

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের ৭ জনের মধ্যে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২ জন কলাকোপা, ১ জন বান্দুরা, ১ জন বক্সনগর ও ১ জন আগলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ২৫৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৪ জন। রোববার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খোকসায় ২

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ অপর এক পোশাক শ্রমিক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার দেয়া তথ্য মতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সায়েম এর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গত ১৮ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এছাড়া একই দিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয় পোশাক শ্রমিক রুহুলের। তার বাড়ি খোকসা উপজেলার গোপগ্রামে।

কিশোরগঞ্জে ৯১

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

করোনার মহাদুর্যোগের দিকে ধাবিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ! শনিবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন ৯১ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের ল্যাব ও ঢাকায় মোট ৪৫৬টি নমুনার পরীক্ষায় ৯১টি পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে ভৈরবে ৩৬, সদর উপজেলায় ২২, বাজিতপুরে ১৩, কুলিয়ারচরে ৬, কটিয়াদীতে ৫, করিমগঞ্জে ৩, তাড়াইলে ২ এবং পাকুন্দিয়া, নিকলী, ইটনা ও মিঠামইনে একটি করে নমুনা পজিটিভ হয়েছে। নেগেটিভ হয়েছে ৩৬৫টি নমুনা। এদিন ভৈরবের ৩৮ জন সুস্থ ও একজন মারা গেছেন। শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন এক হাজার ২২০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪১৮ জন, আর মারা গেছেন ২০ জন। শনিবার আইসোলেশনে ছিলেন ৭৮৯ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ৯২ জন, আর বাসায় ছিলেন ৬৯৭ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ১০৮ জন।

সোনারগাঁয়ে ৬

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬ জনসহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত শনিবার বিকেলে পাওয়া তথ্যমতে সোনারগাঁয়ে নতুন ৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা। পিরোজপুর, মোগরাপাড়া, সনমান্দি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার মিলিয়ে যে ক’জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এই পর্যন্ত সোনারগাঁয়ে মোট ৩৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ২২৮ জন। এই পর্যন্ত ১৫২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

চান্দিনায় ১০

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপিসহ নতুন করে ১০ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়। গত শনিবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে ওই ১০ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এ নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ শত ৬৬ জন। এ উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ শত ১১ জন। শনিবার মোট নতুন শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সিএইচসিপি, সাহাপাড়ায় ৩ জন, পানিপাড়ায় ২ জন, রারিরচরে ২ জন, দোল্লাই নবাবপুরে ২ জন রোগী শনাক্ত হন।

চুয়াডাঙ্গায় ৪

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদাহ আনসার ক্যাম্পের একজন আনসার সদস্যসহ আরও ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম.মারুফ হাসান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য আসে। এ দিন ৩৩ জনের ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে ৪টি পজিটিভ। এদের মধ্যে ডিঙ্গেদাহ আনসার ক্যাম্পের একজন সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ড পাড়ার করোনায় মৃত সোলায়মান আলীর পরিবারের তিনজন সদস্য। এদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী সদস্য রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন । আজ সুস্থ হয়েছেন দর্শনা থানার ৭ পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন। মোট সুস্থ ১০১ জন ও ২ জন মৃত্যু বরণ করেছেন।

মির্জাপুরে ৩

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গাজীপুর ফেরত একজনসহ নতুন করে তিনজনের করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১৪ জনে।

গতকাল সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।

নতুন আক্রান্তরা হলেন উপজেলার গোড়াই নাজিরপাড়ার এক খিশোরী (১৫), দুল্যাবেগম গ্রামের একজন (৪৫) এবং পৌর এলাকার কাণ্ঠালিয়া গ্রামের গাজীপুর ফেরত একজন (৩৪)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, আক্রান্তদের বাড়ি এবং তাদের আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জে ১৪

প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গত ২৪ঘন্টায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ উপজেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮১ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছে ২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২১৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। রেডজোন হিসেবে চিন্তিত করে জেলা প্রশাসন পুনরায় কঠিন লকডাউন দেয়া হলেও তা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। প্রশাসনের টহল জোরদার না থাকায় বেগমগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে জনসমাগম বেশি। নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮১ জন। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা। বেগমগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ জন।