শেরপুর উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন কাম হলরুম নির্মাণ কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করছে।

প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে রয়েছে অত্যাধুনিক একটি ভবনসহ ৩শ আসন বিশিষ্ট একটি হলরুম। কার্যাদেশ পাবার পর প্রায় দুই মাস পূর্বে এর কাজ শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ উঠেছে, পুরাতন ভবনটি গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে তড়িঘড়ি করে ভেঙ্গে সেখানে শুরু করা হয়েছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। এছাড়া নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, প্রকল্পের সাইনবোর্ড স্থাপন না করাসহ চলছে নানা অনিয়ম। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১০ মে জারিকৃত উপজেলা পরিষদ কৃর্তক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজ সম্পাদনে অনুসরণীয় নির্দেশনার অধিকাংশই মানা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) শেরপুর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপন করাসহ অন্য নিদের্শনা বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

এলজিইডির ওপর এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম নির্মাণ উপজেলা পরিষদের হলেও কাজটি করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। তাই এটি দেখভাল করার দায়িত্বও তাদের। এতে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। তবে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি দাবি করেন।

সোমবার, ২২ জুন ২০২০ , ৮ আষাঢ় ১৪২৭, ২৯ শাওয়াল ১৪৪১

শেরপুর উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

image

শেরপুর (বগুড়া) : তড়িঘড়ি ভবন ভেঙে চলছে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ -সংবাদ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন কাম হলরুম নির্মাণ কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করছে।

প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে রয়েছে অত্যাধুনিক একটি ভবনসহ ৩শ আসন বিশিষ্ট একটি হলরুম। কার্যাদেশ পাবার পর প্রায় দুই মাস পূর্বে এর কাজ শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ উঠেছে, পুরাতন ভবনটি গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে তড়িঘড়ি করে ভেঙ্গে সেখানে শুরু করা হয়েছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। এছাড়া নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, প্রকল্পের সাইনবোর্ড স্থাপন না করাসহ চলছে নানা অনিয়ম। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১০ মে জারিকৃত উপজেলা পরিষদ কৃর্তক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজ সম্পাদনে অনুসরণীয় নির্দেশনার অধিকাংশই মানা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) শেরপুর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপন করাসহ অন্য নিদের্শনা বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

এলজিইডির ওপর এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম নির্মাণ উপজেলা পরিষদের হলেও কাজটি করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। তাই এটি দেখভাল করার দায়িত্বও তাদের। এতে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। তবে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি দাবি করেন।