কপিরাইট সুরক্ষার নামে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কপিরাইট সুরক্ষার নামে সম্প্রতি দেশের সংগীতশিল্পী, মিউজিক কোম্পানি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানি করা হচ্ছে দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন ৬ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম প্রডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিডিএ)। সেখানেই অভিযুক্ত এক আইনজীবী ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এখন থেকে একযোগে এ তিন সংগঠন কাজ করবে বলেও জানানো হয়। আইনজীবী ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠান এলসিএসসিএফের করা মামলায় ক’দিন আগে একজন ব্যান্ড তারকাকে জেলে যেতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাইলসের ৪০ বছর হয়েছে। এভাবে আরও যারা আছেন তাদের ক্যারিয়ারও অনেক বছরের। কিন্তু হঠাৎ বহিরাগতদের কারণে আমাদের হয়রানি হতে হচ্ছে। এমনকি জেলে পর্যন্ত যেতে হলো একজন মিউজিশিয়ানকে। এখন কি তাহলে আমরা জেলে যাব নাকি মিউজিক ছেড়ে দেব?’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আইনজীবী ওলোরা আফরিনের ‘লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম’ নামের প্রতিষ্ঠানটি কপিরাইট দেখার অনুমতি (সিএমও) নিয়েছে। তিনি কপিরাইট প্রশ্নে নানা ধরনের মামলা ও নোটিশ পাঠিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এ প্রতিষ্ঠানে সিনেমাসংশ্লিষ্ট কেউ নেই। সেই আইনজীবী নিজেও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত নন। তার দেয়া ‘অবৈধ, অনৈতিক ও অস্বাস্থ্যকর’ প্রস্তাবে কেউ রাজি না হলেই তার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান সেই আইনজীবী। যার শিকার হন ইউটিউব কনটেন্টের বাংলাদেশ অংশের দেখভাল করা কাইনেটিক নেটওয়ার্কের জুয়েল মোর্শেদ, নাফিস, জামশেদ ও সানজি। এমনকি কারাগারে যেতে হয় জামশেদকে। দ্রুত ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠানের সিএমও বাতিল চেয়ে সম্মিলিতভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান বাংলাদেশ ফিল্ম প্রডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফপিডিএ) সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।

শনিবার, ০৮ আগস্ট ২০২০ , ১৭ জিলহজ ১৪৪১, ২৪ শ্রাবণ ১৪২৭

কপিরাইট সুরক্ষার নামে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

কপিরাইট সুরক্ষার নামে সম্প্রতি দেশের সংগীতশিল্পী, মিউজিক কোম্পানি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানি করা হচ্ছে দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন ৬ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম প্রডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিডিএ)। সেখানেই অভিযুক্ত এক আইনজীবী ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এখন থেকে একযোগে এ তিন সংগঠন কাজ করবে বলেও জানানো হয়। আইনজীবী ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠান এলসিএসসিএফের করা মামলায় ক’দিন আগে একজন ব্যান্ড তারকাকে জেলে যেতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাইলসের ৪০ বছর হয়েছে। এভাবে আরও যারা আছেন তাদের ক্যারিয়ারও অনেক বছরের। কিন্তু হঠাৎ বহিরাগতদের কারণে আমাদের হয়রানি হতে হচ্ছে। এমনকি জেলে পর্যন্ত যেতে হলো একজন মিউজিশিয়ানকে। এখন কি তাহলে আমরা জেলে যাব নাকি মিউজিক ছেড়ে দেব?’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আইনজীবী ওলোরা আফরিনের ‘লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম’ নামের প্রতিষ্ঠানটি কপিরাইট দেখার অনুমতি (সিএমও) নিয়েছে। তিনি কপিরাইট প্রশ্নে নানা ধরনের মামলা ও নোটিশ পাঠিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এ প্রতিষ্ঠানে সিনেমাসংশ্লিষ্ট কেউ নেই। সেই আইনজীবী নিজেও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত নন। তার দেয়া ‘অবৈধ, অনৈতিক ও অস্বাস্থ্যকর’ প্রস্তাবে কেউ রাজি না হলেই তার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান সেই আইনজীবী। যার শিকার হন ইউটিউব কনটেন্টের বাংলাদেশ অংশের দেখভাল করা কাইনেটিক নেটওয়ার্কের জুয়েল মোর্শেদ, নাফিস, জামশেদ ও সানজি। এমনকি কারাগারে যেতে হয় জামশেদকে। দ্রুত ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠানের সিএমও বাতিল চেয়ে সম্মিলিতভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান বাংলাদেশ ফিল্ম প্রডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফপিডিএ) সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।