প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ জাতীয়করণ’ হলেও ওইসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দুই বছরেও আত্তীকৃত হয়নি। ফলে তাদের অনেকেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে অবসরে যাচ্ছেন, কেউ কেউ মারাও গেছেন। ওইসব প্রতিষ্ঠানে নতুন করে শিক্ষক নিতে না পারায় তৈরি হয়েছে চরম শিক্ষক সংকট। এ পরিস্থিতি উত্তোরণ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৫টি উপকমিটিতে কিছু কর্মকর্তাকে বাদ দেয়াসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়েছেন ‘সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি’ (সকশিস)।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সংগঠনের সহসভাপতি জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ‘৩০২টি বেসরকারি কলেজ ২০১৬ সালে মে মাসে সরকারি হলেও এখনও শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ হয়নি। ফলে চার হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে গেছেন। চার দফায় যাচাই বাচাইয়ের পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বির্তকিত কর্মকর্তাদের দিয়ে ফের যাচাই বাছাইয়ের কমিটি করা হয়েছে। আত্তীকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী করতে এসব করা হচ্ছে।’
শিক্ষক নেতারা দ্রুত পদ সৃজনের জন্য ১৪ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বা অথবা আদেশ জারির সময় থেকে সবাইকে আগামী ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে এডহক নিয়োগ কার্যকর করা, প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটিজনিত কারণে কাউকে আত্তীকরণ বঞ্চিত ও হয়রানি না করা, যাচাই-বাছাই কাজে অভিজ্ঞতা আছে-এমন ব্যক্তি এবং আত্তীকৃত হতে যাচ্ছেন তাদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্য পদগুলো পিএসসি’র মাধ্যমে প্রভাষক (নন-ক্যাডার) নিয়োগ দেয়া, এনাম কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ শিক্ষক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত পদ সৃজন, আত্তীকরণ বিধিমালা’২০১৮ এর অসঙ্গতি ও বৈষম্য দূরীকরণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপবিধিসমূহ প্রণয়নের কাজ দ্রুত শেষ করা, শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষা প্রশাসনের সব অধিদফতর ও পরিদফতরে আনুপাতিক আত্তীকৃতদের পদায়ন করা, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অনুযায়ী শিক্ষকদের পদমর্যাদা নির্ধারণ করা ইত্যাদি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতারা। এরমধ্যে ২৬ থেকে ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিখিত আবেদন, ৪ অক্টোবর সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অফিসের সামনে মানববন্ধন, ১১ অক্টোবর রাজধানীতে মানববন্ধন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকশিস সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নছরুল আযম, অনুপ রায়, মহি উদ্দিন বাবুল, রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক দিপু কুমার গোপ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘প্রতি উপজেলায় একটি কলেজ জাতীয়করণ’ হলেও ওইসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দুই বছরেও আত্তীকৃত হয়নি। ফলে তাদের অনেকেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে অবসরে যাচ্ছেন, কেউ কেউ মারাও গেছেন। ওইসব প্রতিষ্ঠানে নতুন করে শিক্ষক নিতে না পারায় তৈরি হয়েছে চরম শিক্ষক সংকট। এ পরিস্থিতি উত্তোরণ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৫টি উপকমিটিতে কিছু কর্মকর্তাকে বাদ দেয়াসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়েছেন ‘সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি’ (সকশিস)।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সংগঠনের সহসভাপতি জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ‘৩০২টি বেসরকারি কলেজ ২০১৬ সালে মে মাসে সরকারি হলেও এখনও শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ হয়নি। ফলে চার হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে গেছেন। চার দফায় যাচাই বাচাইয়ের পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বির্তকিত কর্মকর্তাদের দিয়ে ফের যাচাই বাছাইয়ের কমিটি করা হয়েছে। আত্তীকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী করতে এসব করা হচ্ছে।’
শিক্ষক নেতারা দ্রুত পদ সৃজনের জন্য ১৪ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বা অথবা আদেশ জারির সময় থেকে সবাইকে আগামী ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে এডহক নিয়োগ কার্যকর করা, প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটিজনিত কারণে কাউকে আত্তীকরণ বঞ্চিত ও হয়রানি না করা, যাচাই-বাছাই কাজে অভিজ্ঞতা আছে-এমন ব্যক্তি এবং আত্তীকৃত হতে যাচ্ছেন তাদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্য পদগুলো পিএসসি’র মাধ্যমে প্রভাষক (নন-ক্যাডার) নিয়োগ দেয়া, এনাম কমিটির সুপারিশ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ শিক্ষক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত পদ সৃজন, আত্তীকরণ বিধিমালা’২০১৮ এর অসঙ্গতি ও বৈষম্য দূরীকরণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপবিধিসমূহ প্রণয়নের কাজ দ্রুত শেষ করা, শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষা প্রশাসনের সব অধিদফতর ও পরিদফতরে আনুপাতিক আত্তীকৃতদের পদায়ন করা, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অনুযায়ী শিক্ষকদের পদমর্যাদা নির্ধারণ করা ইত্যাদি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতারা। এরমধ্যে ২৬ থেকে ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিখিত আবেদন, ৪ অক্টোবর সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অফিসের সামনে মানববন্ধন, ১১ অক্টোবর রাজধানীতে মানববন্ধন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকশিস সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নছরুল আযম, অনুপ রায়, মহি উদ্দিন বাবুল, রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক দিপু কুমার গোপ প্রমুখ।