সংবাদপত্র শিল্প অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি

করোনাকালীন সংকটে সংবাদপত্র শিল্প এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি বলে জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। এ পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলো টিকে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার কথাও বলছে সংগঠনটি। বিশেষ করে পৃষ্ঠা সংখ্যা কমিয়ে, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করেও এ অনিশ্চিত পরিস্থিতি কতটা সামাল দেয়া যাবে- তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। সংবাদপত্র একটি সেবা শিল্প হিসেবে স্বীকৃত হয়েও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে দাবি-দাওয়া পেশ করা হলেও সরকারের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। বলেছে, মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পগুলো যে সহযোগিতা পায়, সংবাদপত্র তা থেকেও বঞ্চিত, বরং দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা শিল্পের প্রতি সরকারের উদাসীনতা ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান করোনাকালীন সংকটে বিশ্ব এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সব অর্থনৈতিক গতিশীলতা ও স্বাভাবিক জীবন থমকে গেছে। এমন অবস্থায় সংবাদপত্র শিল্প এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সংবাদপত্র শিল্পও প্রকটভাবে একই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পাঠক ও পত্রিকা প্রচারসংখ্যা কমে গেছে। বিজ্ঞাপনও কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। পত্রিকাগুলো টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা কমিয়ে, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করেও এ অনিশ্চিত পরিস্থিতি কতটা সামাল দেয়া যাবে, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে আগে কখনও আসেনি। আমরা এমন অবস্থায়ও সব প্রতিকূলতা সামলে পত্রিকা প্রকাশ অব্যাহত রেখেছি। পাঠকদের কাছে সংবাদ পৌঁছে দেয়ার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে দিইনি। আমরা এই ঝুঁকির সম্মুখীন শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে সংবাদপত্র একটি সেবা শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর প্রথম লক্ষ্য বৃহত্তর পরিসরে দেশ ও জনগণের সেবা করা। কিন্তু এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন সাহায্য-সহযোগিতা সংবাদপত্র শিল্প কখনও পায়নি। সেবা শিল্প তো নয়ই, মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পগুলো যে সহযোগিতা পায়, সংবাদপত্র শিল্প তা থেকেও বঞ্চিত। এসব অবস্থা বিবেচনা করে সংবাদপত্রগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে, সরকারের তরফ থেকে কখনও তা আমলে নেয়া হয়নি, বরং দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা শিল্পের প্রতি উদাসীনতা ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ অব্যাহত রেখে জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দিন দিন তাদের পেশাগত ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। তাদের কাজ করতে হচ্ছে নানাবিধ চাপ ও হুমকির মুখে। সংবাদ প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীরা সেলফ সেন্সরশিপ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একটি সুস্থ ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক।

বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের যত্রতত্র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের আলাদা কোন রক্ষাকবচ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সেখানে এর বিপরীতে এমন নেতিবাচক আইনি পরিস্থিতিতে ডিজিটাল আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন অতি জরুরি বলে আমরা মনে করি।

সম্পাদক পরিষদ বলছে, অনলাইনে সংবাদ সরবরাহের জন্য সংবাদপত্রগুলোর আলাদা সরকারি অনুমোদন লাগবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথমত আমরা মনে করি যে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর যেমন অনলাইন সংবাদ সরবরাহের জন্য আলাদা করে কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না, সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও তেমন হওয়া যৌক্তিক। কারণ, সংবাদপত্রগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের মতোই সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রকাশ হয়। এরকমই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর যৌথ সভায়। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর প্রথম দফায় নিবন্ধনের জন্য ৩৪টি নিউজ পোর্টালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, এই তালিকায় দেশের পরিচিত, প্রধান ও গ্রহণযোগ্য সংবাদপত্রগুলোর পোর্টালের নাম নেই। আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে দ্রুত ও যৌক্তিক সমাধান আশা করি।

তথ্য বর্তমান পৃথিবীতে জনগণের অধিকার রক্ষার এক অন্যতম পূর্ব শর্ত দাবি করে সম্পাদক পরিষদ বলছে, এই বৃহত্তর স্বার্থে সংবাদপত্র সবার সহযোগিতা দাবি করতে পারে। বর্তমানের এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমাদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।

আরও খবর
ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর একান্ত চিন্তার ফসল : প্রধানমন্ত্রী
জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ১৪ দফা দাবি
শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে জুতাপেটা
বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা বিবেচনার সুযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার কাজে পাথরের পরিবর্তে ইটের ব্যবহার
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ব্যাপকভাবে চলছে মাদকের কারবার
গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে ফখরুল
জাল-জালিয়াতি প্রমাণিত হলেও বেঁকে বসেছেন সভাপতি
দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে
শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ গ্রেফতার ২

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি

সংবাদপত্র শিল্প অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাকালীন সংকটে সংবাদপত্র শিল্প এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি বলে জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। এ পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলো টিকে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার কথাও বলছে সংগঠনটি। বিশেষ করে পৃষ্ঠা সংখ্যা কমিয়ে, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করেও এ অনিশ্চিত পরিস্থিতি কতটা সামাল দেয়া যাবে- তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। সংবাদপত্র একটি সেবা শিল্প হিসেবে স্বীকৃত হয়েও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে দাবি-দাওয়া পেশ করা হলেও সরকারের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। বলেছে, মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পগুলো যে সহযোগিতা পায়, সংবাদপত্র তা থেকেও বঞ্চিত, বরং দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা শিল্পের প্রতি সরকারের উদাসীনতা ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান করোনাকালীন সংকটে বিশ্ব এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সব অর্থনৈতিক গতিশীলতা ও স্বাভাবিক জীবন থমকে গেছে। এমন অবস্থায় সংবাদপত্র শিল্প এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সংবাদপত্র শিল্পও প্রকটভাবে একই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পাঠক ও পত্রিকা প্রচারসংখ্যা কমে গেছে। বিজ্ঞাপনও কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। পত্রিকাগুলো টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা কমিয়ে, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় সংকোচন করেও এ অনিশ্চিত পরিস্থিতি কতটা সামাল দেয়া যাবে, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে আগে কখনও আসেনি। আমরা এমন অবস্থায়ও সব প্রতিকূলতা সামলে পত্রিকা প্রকাশ অব্যাহত রেখেছি। পাঠকদের কাছে সংবাদ পৌঁছে দেয়ার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে দিইনি। আমরা এই ঝুঁকির সম্মুখীন শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে সংবাদপত্র একটি সেবা শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর প্রথম লক্ষ্য বৃহত্তর পরিসরে দেশ ও জনগণের সেবা করা। কিন্তু এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন সাহায্য-সহযোগিতা সংবাদপত্র শিল্প কখনও পায়নি। সেবা শিল্প তো নয়ই, মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পগুলো যে সহযোগিতা পায়, সংবাদপত্র শিল্প তা থেকেও বঞ্চিত। এসব অবস্থা বিবেচনা করে সংবাদপত্রগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে, সরকারের তরফ থেকে কখনও তা আমলে নেয়া হয়নি, বরং দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা শিল্পের প্রতি উদাসীনতা ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ অব্যাহত রেখে জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দিন দিন তাদের পেশাগত ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। তাদের কাজ করতে হচ্ছে নানাবিধ চাপ ও হুমকির মুখে। সংবাদ প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীরা সেলফ সেন্সরশিপ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা একটি সুস্থ ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক।

বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের যত্রতত্র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানি বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের আলাদা কোন রক্ষাকবচ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সেখানে এর বিপরীতে এমন নেতিবাচক আইনি পরিস্থিতিতে ডিজিটাল আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন অতি জরুরি বলে আমরা মনে করি।

সম্পাদক পরিষদ বলছে, অনলাইনে সংবাদ সরবরাহের জন্য সংবাদপত্রগুলোর আলাদা সরকারি অনুমোদন লাগবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথমত আমরা মনে করি যে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর যেমন অনলাইন সংবাদ সরবরাহের জন্য আলাদা করে কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না, সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও তেমন হওয়া যৌক্তিক। কারণ, সংবাদপত্রগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের মতোই সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রকাশ হয়। এরকমই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর যৌথ সভায়। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর প্রথম দফায় নিবন্ধনের জন্য ৩৪টি নিউজ পোর্টালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, এই তালিকায় দেশের পরিচিত, প্রধান ও গ্রহণযোগ্য সংবাদপত্রগুলোর পোর্টালের নাম নেই। আমরা এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে দ্রুত ও যৌক্তিক সমাধান আশা করি।

তথ্য বর্তমান পৃথিবীতে জনগণের অধিকার রক্ষার এক অন্যতম পূর্ব শর্ত দাবি করে সম্পাদক পরিষদ বলছে, এই বৃহত্তর স্বার্থে সংবাদপত্র সবার সহযোগিতা দাবি করতে পারে। বর্তমানের এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমাদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।